মূল - জর্জ ওরওয়েল
অনুবাদ - পদব্রজী
না লিখতে না লিখতে একসময় লিখতে পারাটাই থমকে যায়। বয়স বাড়তে থাকে। ক্রমশ বিষয়টা একদা লিখতাম পর্যায়ে চলে যায়। মাঝে মাঝে নিজের আর "নিজ সময়ের" বাকিদের পুরনো পোস্টগুলি দেখি। প্রতিটা মানুষেরই একটা নিজ সময় থাকে। মূল্যবোধগুলি কোন না কোনভাবে সেই সময়ের মূল্যবোধে বন্দি হয়ে যায়। নিজের সময়কাল অতিক্রম করে যাওয়ার মেধা সবার থাকে না। রবিবুড়ো অনেক চেষ্টা করে অনেকদূর এগিয়ে ছিলেন। বাকিরা তার এক-চতুর্থাংশও পারে নাই। আমি
ফ্ল্যাশব্যাকঃ কেষ্টা ব্যাটা
================
৬ মার্চ ১৯৯৯ঃ উদীচীর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বোমা বিস্ফোরণ, যশোর (নিহত ১০, আহত ১০৫)
- ও ভাই, এইটা কে করছে?
- কে আবার আম্লীগ। দেশটারে শেষ করে দিল!
-------------
১৪ এপ্রিল ২০০১ঃ পহেলা বৈশাখ উদযাপন অনুষ্ঠানে বোমা বিস্ফোরণ, ঢাকা (নিহত ১১, আহত ১২০)
ছোটবেলায় বেলায় মাঝি বলতে একজনকেই চিনতাম। নারাণ মাঝি। ওঁর বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার হাঁসখালি থানার পাখিওড়া গ্রামে। আসলে পাখিওড়া আর আমাদের গ্রাম পাশাপাশি। সেকালে কাঁটাতার ছিল না। চোরাচালান ছিল অবাধ। নারাণ মাঝিই চোরাচালানিদের ‘সবে ধন নীলমনি’। তাছাড়া পাশাপাশি গ্রাম, গাঁয়ের বেশিরভাগ মানুষই রিফিউজি, তাই আত্মীয়-স্বজনের বিরাট একটা অংশ রয়ে গেছে ওপারে। ইছামতী সেকালেও খরস্র্রোতা ছিল না। তবে এখনকার চেয়ে অবস্থটা বেশ ভালো ছিল। তাই নায়রী পারাপারেও নারাণ মাঝির ডাক পড়ত।
অসময়ের ঘুম, ভাংতেই সব কেমন লাগতে শুরু করল। পাশের স্টুডিওটাতে একটা ইন্ডিয়ান ছেলে থাকে। বেশ কয়েকবার দেখা হয়েছে হাটতে চলতে। ছেলেটা নতুন বিয়ে করেই চলে এসেছে পিএইচডির জন্য। ভাবেসাবে মনে হয় বেশ ধার্মিক গোছের। ঘুম ভেঙ্গেছিল পাশের রুমের পুজার মন্ত্র শুনে, কেমন যেন গা ছমছম করছিল। বিছানা নাই, নিজের ম্যাট্রেসটার উপর গুম হয়ে বসে ছিলাম বেশ কিছুক্ষন! শীতের বিকেলে গরম কফির কাপ হাতে নিয়ে বসে থাকতে খুব ইচ্ছা করছিল। সন্ধ্যা হতে খুব দেরী নেই। ঘরে খাবারও তেমন কিছু নেই। নাহ, বের না হলে হচ্ছে না!
(১)
বিএনপি-জামাতের এই নির্বিচারে মানুষ নিধন কর্মসূচী কোন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নয়।
আমার প্রিয় লেখক আমার বাড়ির কাছেই থাকেন। মাঝে মাঝেই ওঁকে দেখি আমাদের বাড়ির সামনের রাস্তা দিয়ে সকালবেলা দৌড়ে যেতে। ওঁর পরনে থাকে লাল রঙের একটা ট্র্যাকসুট আর পায়ে সাদা রঙের কেডস।
এই খবরটি দৈনিক বাংলায় এসেছিল ১৯৭২ সালের দোসরা জানুয়ারী। বিজয়ের পরপর জেনারেল রাও ফরমান আলীর ডেস্ক ডায়রী সরকারের লোকজনের হাতে আসে। রাও ফরমান আলী হল সেই পাকিস্তানী সামরিক কর্মকর্তা যে শহীদ বুদ্ধিজীবি হত্যার পরিকল্পনা সাজিয়েছিল। বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করার পরিকল্পনা যে সাময়িকভাবে কিছুটা সফল হয়েছে তার প্রমাণ হল দেশের সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক প্রথম আলোর [url=http://www.prothom-alo.com/opinion/article/4294
অচলপত্রের একটি প্রচ্ছদ : রবীন্দ্র-হতবার্ষিকী