খুলনায় কয়েক দিন ধরে বাসায় থেকে থেকে কেমন বিরক্ত লাগছিল। এদিকে স্বামী-স্ত্রী দুজনে মিলে একসাথে কখনও সুন্দরবনে যাইনি। রাতে ভাবছিলাম দুজনে মিলে সুন্দরবন ঘুরে আসি। সকালে উঠে বাসা থেকে হাটা শুরু করলে কেন যেন লঞ্চ ঘাটে গিয়ে হাজির হলাম বিভিন্ন ট্যুর সম্পর্কে জানতে। তখনো বেশিরভাগ লঞ্চ কোম্পানির অফিস খোলেনি। একটা অফিস খোলা পেলাম।অফিসের মালিক
মাঘদুপুরের ফড়িংডানা-রোদ্দুরে আস্তে আস্তে মিশে যায় তোমার জাফরানি ওড়নার রঙ। দিঘির পাশের নারকেলগাছগুলোর নিচ দিয়ে যে পথটুকু চলেছে আলোয় ছায়ায়, সেই পথের নাম ছায়াবিতান । এখন ঘুঘুর ঘুমেলা ডাকে ভরে আছে এই রাস্তা। আর একটু পরে এই পথ দিয়ে তুমি আসবে।
ঘুরতে যাওয়ার শখ অনেক দিন থেকেই, কিন্তু কাজ, সময় আর সর্বোপরি পয়সার কারনে ইচ্ছা থাকলেও যাওয়া হয়ে উঠে না। বেশ কিছুদিন যাবত আছি দেশের বাইরে, কামলা দেওয়া হয় ইউরোপের এক কোম্পানিতে, আর্থিক সঙ্কট এর কারনে আর বন্ধু বান্ধবদের পীড়াপীড়ি থাকা স্বত্বেও যেতে পারি নাই অনেক গুলো ট্রিপে তাদের সঙ্গী হয়ে, তাই সব সময়ে ঘুরতে না যাওয়ার বিষণ্ণতায় ভুগতাম। যাই হক অবশেষে নিজেকে বললাম আর কত এবার যাবই যাব।
মাঘ মাসে হাড়কাঁপানো শীতের ভয়ে এখন সকালে ঘর ছেড়ে বেরোতেই মন চায় না। অথচ শীতের সকালের সৌন্দর্যের তুলনাই হয় না। সাধারণত ডিসেম্বরের শুরুতেই বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হয়ে যেত। পড়াশোনা আর স্কুলের ভূত ঘাড়ে চেপে বসা তো দূরে কথা, ত্রিসীমানায় ঘেঁষতে সাহস পেত না। তখন দিন গুণতাম, আশায় থাকতাম, কবে নানাবাড়ির পথ ধরব। কারণ শীতের তাতরস আর গরম গুড়ের লোভ। আমাদের গ্রামে অবশ্য রস-গুড়ের চল ছিল না বললেই চলে। কিন্তু আমার নানা বাড়িতে-- রস-গুড়ই তাদের প্রধান চাষাবাদ।
প্রত্যহ জীবনের ব্যবহারী নিজের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র হারিয়ে ফেলার অভ্যেস আমার ছোটবেলা থেকেই ছিলো, আজও আছে। ক্লাস ফোর থেকে ফাইভে যখন উঠলাম, পরীক্ষায় ভালো করার জন্যে বাবা একটা লাল রঙ্গের জ্যাকেট কিনে দিয়েছিলেন। সেই জ্যাকেট আমার ছেলেবেলার সেই সময়টা কে হুমায়ুন আজাদের কবিতার মতো লাল করে তুলেছিলো। কতদিন আমি সেই লাল জ্যাকেট বুকে নিয়ে ঘুমিয়েছি তার কোন ইয়াত্তা নেই। অথচ মাস দুয়েক যাওয়ার আগেই নদীর ওপারে পানের ব
সর্তক বাণী: এটি একটি প্রচণ্ড রকমের এলোমেলো এবং বেশ বড় পোস্ট! অযথা পাঠকের সময় নষ্ট হইলে পোস্টদাতা কোনো ভাবেই দায়ী থাকবে না।
আমি একটু একটু করে স্বাধীনতার পর পর আমাদের নেতাদের দেয়া বক্তৃতাগুলো পড়ার চেষ্টা করছি। এই বক্তৃতাগুলো থেকে আমরা জানতে পারব কি করে ধর্মনিরপেক্ষতা, জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র এই জিনিসগুলো মুক্তিযুদ্ধের পর পর বাংলাদেশে বোঝার, বোঝানোর ও চর্চার চেষ্টা করা হচ্ছিল। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই এই ধারণাগুলো একটি সর্বদলীয় কমিটির মাধ্যমে আমাদের বাহাত্তরের সংবিধানে জায়গা করে নেয়। বক্তৃতাগুলো থেকে আমরা বুঝতে পার