Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

সববয়সী

বাংলার তরু লতা গুল্ম- ৩৮ : শ্বেতদ্রোণ

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি
লিখেছেন আব্দুল গাফফার রনি [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ১৮/১১/২০১৪ - ১:১৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


সাদা খইয়ের মতো ফুটে রয়েছে অজস্র মেঠোফুল। ভ্রমর, বোলতারা ব্যাকুল হয়ে ছুটোছুটি করছে কে কোনটার দখল নেবে। খই ভেবে যদি অবচেনে আপনার হাত চলে যায় পুষ্পমঞ্জরির দিকে। যেতে দিন। আলতো করে তুলে নিন একটা সাদা খই। নির্ভয়ে ফুলের বোটার দিকটা মুখে পুরতে পারেন রাখাল বালকের মতো। মিষ্টি একটা রস এনজামই বাড়িয়ে দেবে জিভের তালুতে। এরপর নিশ্চয়ই দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছেন গোল একটা চাকের ওপর। সুন্দর না!
ওটাই কিন্তু ফুলটার মঞ্জরি।


জীবন নদীর পাঁকে পাঁকে

পুতুল এর ছবি
লিখেছেন পুতুল (তারিখ: সোম, ১৭/১১/২০১৪ - ২:১১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শুভ, আমি তোমাকে আমার প্রিয় কবিতাটির মত মুখস্ত করতে চাই। প্রথম নিঃশ্বাসের শব্দ থেকে হৃদয়ের প্রথম স্পন্ধন পর্যন্ত। তোমার ভাবনা গুলো, ইচ্ছে গুলো, চাওয়া পাওয়া গুলো আপনার করতে চাই, তবে তোমাকে গ্রাস না করে। আমি তোমাকে আমার অঙ্গে ধারণ করি নাই, অন্তরে, মনে, চিন্তায় চেতনায় বপন করেছি। সে বপিত বীজে পত্র-পল্লব অঙ্কুরিত হয়েছে, ফুটেছে ফুল। তার সৈরভ, গৌরব, ছায়া,গন্ধ আমাকে মায়ায় আচ্ছন্ন করে রাখে সারাদিন, সারাক্ষণ


আল-জাজিরার লন্ডন কার্যালয়ের সামনে আইসিএসএফ ও সকল প্রগতিশীল সংগঠনের প্রতিবাদ সমাবেশ

ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস স্ট্র্যাটেজি ফোরাম এর ছবি
লিখেছেন ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস স্ট্র্যাটেজি ফোরাম [অতিথি] (তারিখ: শনি, ১৫/১১/২০১৪ - ১০:৩৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কাতার ভিত্তিক সংবাদ চ্যানেল আল-জাজিরা কর্তৃক লাগাতারভাবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি, এবং চলমান মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের উপর একপেশে এবং ক্ষেত্র বিশেষে বিভ্রান্তিকর সংবাদ এবং আলোচনা পরিবেশন, এবং এর মাধ্যমে সংবাদ মাধ্যমটির ১৯৭১ এর ঘৃণ্য যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে বিশ্ব জনমত গঠনের অপচেষ্টার সংস্থাটির লন্ডন কার্যালয়ের সামনে এক শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে আইসিএসএফ (ইন্টারন্যাশনাল ক


ট্রেন সমাচার

মাসুদ সজীব এর ছবি
লিখেছেন মাসুদ সজীব (তারিখ: শনি, ১৫/১১/২০১৪ - ৪:৫৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গত বছর দুয়েক চাকরির সুবাধে নিয়মিত সাপ্তাহ শেষে বাড়ি ফিরতে হয় ট্রেনে। যদিও বাংলাদেশে ট্রেনের সাথে এই নিবিড় সম্পর্ক বহুকালের। তাই মোটামুটি যাত্রাপথের সকল সুযোগ-সুবিধা, হয়রানি, অনিয়ম, এমনকি প্রতিটি স্টেশানের মানুষের আচরণের সাথে বেশ পরিচিত। আর গত নির্বাচনের আগে বুঝেছিলাম বাংলাদেশের গনতন্ত্রের অন্যতম স্তম্ভের একটি হল ট্রেন। তাই সেখানে আক্রমন করে গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে ব্যস্ত ছিলো বাংলাদেশের সবচ


ধূমকেতুর বাষ্পপুচ্ছ

ছায়াপথের পথচারী এর ছবি
লিখেছেন ছায়াপথের পথচারী [অতিথি] (তারিখ: শনি, ১৫/১১/২০১৪ - ৪:৩১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

“আমি যুগে যুগে আসি, আসিয়াছি পুনঃ মহাবিপ্লব হেতু
এই স্রষ্টার শনি মহাকাল ধূমকেতু!
সাত— সাতশো নরক-জ্বালা জ্বলে মম ললাটে,
মম ধূম-কুণ্ডলী করেছে শিবের ত্রিনয়ন ঘন ঘোলাটে।“


এসেছি দৈব পিকনিকে

তাসনীম এর ছবি
লিখেছেন তাসনীম (তারিখ: শুক্র, ১৪/১১/২০১৪ - ১১:০৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]
-১-

হিসেব করে দেখলাম শেষ দিনলিপি লিখেছিলাম দুই বছর আগে। প্রতি দুই বছরে একটা দিনলিপি লিখলেই আমার চলে যায়। আমার দিনগুলি মোটামুটি একই রকমের, একদিন ডায়েরি লিখে কন্ট্রোল-সি দিয়ে কপি করে বাকি ৩৬৪ এর পাতায় পেস্ট করে দেওয়া যায়। সুতরাং প্রতি দুই বছরে একবার করে দিনলিপি লেখার অপরাধ অবশ্যই ক্ষমার যোগ্য।


বাঁশি

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: সোম, ১০/১১/২০১৪ - ৬:১১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এই ঘর, ওই ঘর, বাগান, উঠান, কুয়াতলার নিম হাওয়া, পুকুরঘাটের নারিকেলছায়ায় কয়েক দন্ড, এইসব ঘোরাঘুরিতেই বেলা কেটে যায়। ব্যস্ত সকাল গড়িয়ে কখন দুপুরে মিশে যায়, ঘুঘুর ডাকে নির্জন হয়ে আসে। কাজের মাঝে তখন একটুখানি বিশ্রামের নিভৃতি।


নিভিয়ে দিয়ে গেলে সব আলো

নীলম এর ছবি
লিখেছেন নীলম [অতিথি] (তারিখ: সোম, ১০/১১/২০১৪ - ১:৫৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আপু চলে গেল। এক এক করে চারিদিকের সব আলো নিভিয়ে দিয়ে। ঘর আলো করা ওর সেই উজ্বল হাসি, ক্যান্সারের প্রবল আঘাতেও যেটা এতটুকুও ম্লান হলো না তাকে সঙ্গে করে নিয়ে চলে গেল চিরতরে। অসুস্থ অবস্থায়ও সবার প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে পাশে থাকা মানুষটা আমাদেরকে অতল শূন্যতায় ডুবিয়ে নিমিষেই নেই হয়ে গেল। ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মাত্র ২৮ বছর বয়সে ব্রেস্ট ক্যান্সার ধরা পড়ে আপুর। তারপরে সার্জারি-কেমোথেরাপি। কিছুদিন ভালো থাকা


বাংলার তরু লতা গুল্ম ৩৭ : মাকাল ফল

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি
লিখেছেন আব্দুল গাফফার রনি [অতিথি] (তারিখ: সোম, ১০/১১/২০১৪ - ১:৫৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


আমি ঢাকায় থাকি, কিন্তু তিন-চার জোড়া চোখ গ্রামের জলাজঙ্গল খুঁজে ফেরে বুনো গুল্ম লতা। এরা আমার সাগরেদ। চাচাতো-খালাতো ভাই।
২০১৪ সালের কোরবানী ঈদ। বাড়ি গিয়ে শুনলাম সুসংবাদটা। আমার খালাতো ভাই সাহেদ নাকি মাকাল ফলের একটা আড়ৎ দেখে এসেছে সরিষাঘাটের মাঠে। সরিষাঘাট আমাদের পাড়া থেকে দু-কিলোমিটার দূরে। আঁট-ঘাট বেঁধেই যেতে হবে।
তবে ভয় একটা আছে। সাহেদ দেখে এসেছে বর্ষাকালে। এখন শরতের শেষ প্রায়। এতদিনে গাছ মরে গেছে কিনা সন্দেহ।
ঈদের তৃতীয়দিন। শাহেদের বড় ভাই পারভেজকে নিয়ে চললাম সরিষাঘাট। সাইকেলে। পিসরাস্তা আর বাওড়ের মাঝখানে জঙলা একটা গর্ত। বুনো গুল্ম লতায় ঠাঁসা। গর্তের ভেতর মাঝারি আকারের একটা মেহগনি আর একটা শিশু গাছ। সেই গাছদুটে বেয়ে, জড়িয়ে-কুড়িয়ে উঠেছে হাজার লতার একটা উদ্ভিদ। এটাই আমাদের চরম প্রার্থিত মাকাল ফলের গাছ। মাকালের লতা-পাতায় চাপা পড়ে গাছদুটোর ‘ত্রাহি মধুসূদন’ অবস্থা।