আরব সাগরের উষ্ণ নীল্ জলে ঝড় ঝঞ্ঝার দেখা মিলে না খুব সহজে । এই সাগরে প্রাণঘাতী বা আগ্রাসী সামুদ্রিক প্রাণীরও দেখা মিলে না তেমন (কোনো হাঙ্গর বা অক্টোপাসের আক্রমনের খবর আসেনি কোনদিন)।দুই-এ মিলে শান্ত, উষ্ণ এই সমুদ্রে তাই নিরাপদ আশ্রয় গড়ে তুলেছিল নানা জাতের মাছ, কচ্ছপ, আর কোরাল। পশ্চিমে সোমালিয়া থেকে শুরু করে ইয়েমেন, ওমান, ইরান হয়ে ভারত পর্যন্ত এই বিশাল আরব সাগরীয় অঞ্চলে গড়ে উঠেছিল এসব প্রাণীর এক নিরা
১৯৭৫ স্বপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যা পরবর্তী সময়ে সামরিক জান্তা, জাতীয়তাবাদী শক্তি, আধা সেকুলার আওয়ামিলীগ, মিলিত জামাতি-জাতীয়তাবাদী শক্তি এবং হালের সাচ্চা মুসলামানের দল আওয়ামিলীগ ইত্যাদি বিভিন্ন গোষ্ঠির হাতে হাত বদল হওয়া ইতিহাসের শিক্ষার উপর অনেক গুলো লেন্স পড়ে গেছে । গত চার দশকে এদের কেউ আরোপ করেছে ধর্মানুভুতির লেন্স, কেউবা আবার জাতীয় ঐক্যের লেন্স । এতো গুলো লেন্সের ভেতরে দিয়ে আসা গোলাম আজম পরিচয়টি ঝাপসা হতে হতে দেশের অনেকের কাছে এবং সমগ্র বিশ্বের কাছে গোলাম আজম পরিচিত হয় জামাত-এ-ইসলামের নেতা গোলাম আজম হিসেবে । শুভ্র দাড়ি-গোঁফ আর অশতীপর বৃদ্ধ চেহারার আড়ালে ঢেকে যায় খুনী রাজাকার গোলাম আজম পরিচয়
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে কার্ড খেলতে একটা কমন সমস্যা হতো। টুয়েন্টি নাইন খেলার লোকের অভাব নেই, কিন্তু চারজন ব্রিজ খেলোয়াড় পাওয়া যায় না। টুয়েন্টি নাইন অল্পবয়সে খারাপ লাগে না, কিন্তু দীর্ঘদিন চালিয়ে যাবার মত মেরিট এটাতে নেই। কিছু কিছু সহপাঠীর অকশান ব্রিজ (বাংলাদেশে ইন্টারন্যাশনাল ব্রিজ বা আই বি নামে বহুল প্রচলিত) খেলার অভিজ্ঞতা ছিলো বটে, কিন্তু কন্ট্রাক্ট ব্রিজ খেলোয়াড় দুর্লভ।
(এটি মূলত: বিডিনিউজ২৪.কমের জন্য লেখা। কিন্তু আমি পাঠানোর পর পরই এই নিউজটি বের হয় যে কারণে আমার লেখা কিছুটা প্রাসংগিকতা হারায়। তাই ভাবলাম এখানে দিয়ে রাখি।)
[justify]
পৃথিবীর পাঠশালাঃ
"ক্যান উই গো টু ডিজনিল্যান্ড ফর মাই বার্থডে?"
"নারে মা...হাতে টাকা নেই একদম..."
"আব্বু ক্যান আই গেট অ্যান আইপ্যাড?"
"নাহ...ওই টাকার সমস্যা..."
"হাও অ্যাবাউট অ্যান আইপড টাচ?"
"টাকা বড় ইয়ে..." মিনমিন করে আমাকে জানাতেই হয়।
বাকাট্টা বাকাট্টা হৈহৈ হৈহৈ। প্রবল চিৎকার চ্যাঁচামেচির মাঝে একটা সপ্নের পতন। সাকরাইন। পুরান ঢাকার পৌষ সঙ্ক্রান্তির উৎসব। ঘুড়ির উৎসব। যখন সাকরাইনের কথা মনে পরে যায় মনে হয় আগের জন্মের কোন মধুর সপ্ন দেখে এই মুহূর্তে জেগে উঠলাম। পৌষের শেষদিন জানুয়ারির মাঝামাঝি ১৪ বা ১৫ তারিখ। চারদিকে শুধু ঘুড়ি,ঘুড়ি আর ঘুড়ি। সাদা, হলুদ, লাল,নীল, বেগুনি গোলাপি সবুজ কোন রঙ নেই তাই খুজে দেখার মত।
গল্পের সুত্রপাতের গল্প-
তিনি মাঝে মাঝে গল্প লেখেন। সবগুলো ঠিক গল্প হয়ে উঠতে পারে না। তবু একজন স্থায়ী পাঠকের মনোযোগ পেয়ে তিনি লেখালেখি জারি রেখেছেন। এই পাঠক তাঁর লেখার ঠিক ভক্ত নয়। যদিও তাঁর সব গল্প মনোযোগ দিয়ে পড়ে। গল্পের রেটিং করে, সমালোচনা করে, মাঝে মাঝে উৎসাহও দেয়। লেখক সেদিন একটা নতুন সিদ্ধান্ত নিলেন। পাঠকের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহনে একটা গল্প হোক। কিন্তু এত রাতে কোথায় খুঁজবে পাঠককে। তাছাড়া ভৌগলিক দূরত্বও কম নয়। হোক দূর, হোক রাত, এখন ইন্টারনেট যুগ, এই যুগে পৃথিবীতে কিছুই দূর নয়, কোন সময়ই অসময় নয়। কিছু মানুষ আছে যাদের গরু খোঁজা করে বাস্তবে কোথাও পাওয়া না গেলেও ইন্টারনেটে বা ফেসবুকে ২৪ ঘন্টাই খুঁজে পাওয়া সম্ভব। তিনিও যথারীতি খুঁজে পেয়ে গেলেন পাঠককে। দূরবর্তী পাঠক তখন ঘুম থেকে উঠে নাশতা করতে বসেছে মাত্র। প্রস্তাব পেয়ে প্রথমে দোনোমোনো করলেও অবশেষে সে রাজি হয়েছে গল্প সৃষ্টির অংশীদার হতে। লেখক এখনো জানেন না কি গল্প হবে। গল্পের কাহিনী না জানলেও তার একটা চটকদার নাম ঠিক করা হয়েছে- "অপ্রত্যাশিত বিদ্যুতের চমক"।
ভুমিকাঃ
কিছু জিনিস থাকে প্রিয় থেকেও বেশি প্রিয়। আমার প্রিয় গাছের তালিকাটা বেশ লম্বা। কিন্তু অতিপ্রিয় গাছের কথা বললে সবার আগে আসবে পেটারির নাম। কবে কোথায় গাছটা প্রথম দেখি, সে স্মৃতি নিউরণের অতল সমুদ্রে গা ঢাকা দিয়েছে। তবে প্রথম মুগ্ধতার কথা এখনও স্পষ্ট। সে প্রায় বছর পচিশেক আগের কথা। ৮৯-এর বর্ষণমূখর এক দিনে গিয়েছিলাম এক ফুপুর বাড়ি। গ্রামটা ভারি সুন্দর। ঝোপ-জঙ্গল, নদী, মাঠ, শস্য, ঘাসফুলে আচ্ছাদিত এক আদর্শ বাঙালী গ্রাম। বর্ষার বিশুদ্ধ পানিতে গা ধুয়ে গোটা গ্রামটাই যেন পবিত্র চেহারা পেয়েছে। বৃষ্টিস্নাত গাছপালায় সবুজের অভিযান। সবুজ-সতেজ গাছপালা যেমন আমার শিশুহৃদয়ে দাগ কাটছিল, তেমনি বাহারি ফুলের নানা রঙে স্মৃতির ক্যানভাসে অঙ্কিত হচ্ছিল অমোচনীয় সব ছবি। সেই বর্ষার সেরা ছবি হয়ে আজও আমার মানসপটে গেঁথে আছে মামুলি এক মেঠো ফুল। এরপর পল্লীবাংলার কত গাঁয়ে, কত মাঠে কত অজস্রবার একে দেখেছি তার ইয়ত্তা নেই। প্রতিবারই গাছটা আমার বুকে অন্যরকম এক অনুভূতির জন্ম দিয়েছে, বুনেছে অন্যরকম ভালবাসার জাল। আর স্মৃতির পর্দায় ডানা মেলেছে শৈশবের সেই ছবি।