১৮৬৩ সালে চট্টগ্রাম মিউনিসিপ্যালিটির জন্মলগ্নে নগরবাসীর পয়ঃপ্রণালীতে নিয়ন্ত্রণ আনার জন্য নগরীর চার কোনায় দশটি করে চল্লিশটি বাঁশের তৈরী পাবলিক টয়লেট বানানো হয়েছিল এবং ঘোষণা করা হয়েছিল নগরবাসী এসব নির্দিষ্ট স্থান বাদ দিয়ে যত্রতত্র প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে পারবে না। তার প্রতিবাদ আন্দোলনে একদল নগরবাসী পাবলিক টয়লেটগুলো আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছিল। প্রতিক্রিয়া হিসেবে বৃটিশদের পাল্টা অ্যাকশানে শহর থেকে অর্ধে
ধুতরাকে গাঁয়ের মানুষে ভয় পায়। কারণ এর ফুল বড্ড বিষাক্ত। আমরাও ভয় পেতাম। কিন্তু মাঝে-মাঝেই ভুলে যেতাম ভয়ের কথা, ধুতরার বিষের কথা। মা-দাদীরা বলতেন, ধুতরোর ফুল নাকে শুঁকলে মানুষ পাগল হয়ে যায়। কথাটা কতটা সত্যি জানতাম না। তবে ধুতরোর ফুল নিয়ে খেলা করলেও নাকে শুঁকতাম না কখনও।
তোমার চোখ দুটি ভারী আশ্চর্য ছিল। কেমন যেন গভীর, অতল, একটু উঁকি দিলেই মনে হতো টুপ করে পড়ে যাবো। সেই চোখে কখনো চিকমিক করতো রোদ্দুর, কখনো বা মেঘলা হয়ে যেত, কখনও আবার তারা ঝিকমিক করতো। তবু সেই চোখের অপার রহস্যের দুয়ার কোনোদিন খুলতো না আমার কাছে।
ব্যস্ততা আমায় দেয় না অবসর !! এ পর্ব লিখতে লিখতে সময় বয়ে গেল যে! দুঃখিত সেজন্যে।
গত পর্বের শেষে কথা দিয়েছিলাম কিভাবে কার্বনের চেইন, বাকি-বল, গ্রাফিন ইত্যাদির মধ্যদিয়ে ইলেকট্রনের প্রবাহ পাওয়া যায় সে নিয়ে আলোচনা করবো; আলোচনা করবো এই পরশ পাথরের গবেষণা কতদূর এগুচ্ছে, আমরা কতদূর যেতে চাই সেসব নিয়ে। আসুন তাহলে শুরু করি।
প্রথমে ২১ শে এপ্রিল ২০১৩ সালের সকাল ১১ টা ৪০ মিনিট ৪০ সেকেন্ডে প্রকাশিত বিডিনিউজ২৪.কমের 'ড. তাহের হত্যামামলায় দুজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল' সংবাদটি পড়ে নিন (পিডিএফ কপি)!
ঘড়িতে দশটা পঞ্চাশ, এই সময়ে বদরুলের থাকার কথা ছিলো প্রগতি ফার্মের হেড অব মার্কেটিং সুমন কিবরিয়ার বাসার ডয়িংরুমে অথচ সে বসে আছে ফার্মগেট মোড়ে ছত্রিশ নাম্বার বাসের একেবারে পেছনের সারির একটি আসনে। অধিক জনসংখ্যা কি কারণে আর্শীবাদ বদরুল কোনদিনও বুঝতে পারেনি, তবু রাত বিরাতে টেলিভিশন টকশোতে কিংবা কোন কোন রাজনৈতিক নেতার উচ্ছ্বাস ভরা কন্ঠে সে মাঝে মাঝে শুনতে পায় অধিক জনসংখ্যা নাকি সম্পদ। তার মনে পড়ে ছেলে বে
বাড়িতে আরও কতগুলি মেয়ে ছিল, তবু ফাতেমাই ছিল সেরা, আর এ নিয়ে বিন্দুমাত্র সন্দেহ দেখায়নি কেউ! তাই যখন এক দুবাই-ফেরত ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে হুট করে বিয়ে হয়ে গেল, ভ্রু-টা পর্যন্ত কোঁচকালো না কেউ! বরং ঈদ-পার্বণ সামনে রেখে ফাতু যখন সোনায়-দানায় থলথল হয়ে বাড়ি আসতো, তখন মেয়ের উপচানো সুখে সবারই চোখ জুড়িয়ে যেত, শোকর-গুজরানও চলত পাল্লা দিয়ে, “হইব না? আল্লাহ্র নিজের হাতের জিনিস যে!”
বিদায় সরদার স্যার....
স্বাদহীন, অসহ্য, একঘেয়ে দিন শেষে
আমার আকাশে, ছুটি আসে।
সকালে সাদা-বেগুনি ফুল ফুটে
কচুরিপানার সবুজ বুকের কাছে।
আকাশের ওপারে, একটা আকাশ
শান্ত জলের স্নিগ্ধতায় ছবি আঁকে।
কাশফুলের নরম সাদা ঢেউয়ে
মেঘে মেঘে, মেঘ বালিকা হাসে।
বহুদূর অরণ্যের ঠিকানায় যেতে
প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষায় থাকে ট্রেন।
এই ছুটিতে, কোথাও না যাওয়ার সুখ
লেগে থাকে দিগন্তের হালকা নীলে।
একদিন ভাবছিলাম আর লিখবো না । কী হবে লিখে? তার চেয়ে চোখ মেলে দিয়ে, কান পেতে রেখে, মনের দরজা খুলে চুপ করে বসে দেখাই ভালো। মানুষের হৃদয়ের আলোছায়ার খেলাও তো এই আকাশ বাতাস মেঘ রোদ বন নদীর উপরের আলোছায়ার খেলার মতনই। যারা সত্যিকারের অনুভবী লেখক, যারা সত্যিকারের সূক্ষ্ম স্পন্দনশীল হৃদয় নিয়ে পৃথিবী দেখেন-তারা হয়তো পারেন এই আলোছায়ার খেলা তুলে ধরতে। আমার পক্ষে চেষ্টা করাই মূঢ়তা।