কেস স্টাডি ১
মজার ঘটনাটা পেয়েছি আকবর আলি খানের পরার্থপরতার অর্থনীতি বইয়ে ।
পাকিস্তান আমলে সামরিক সরকার সবকিছুর সমাধান করতে চাইত এক নিমিষে। আজকে আইন হবে, কাল থেকে সব লোক ঠাণ্ডা হয়ে যাবে, এই রকম ছিল তাদের চিন্তাভাবনা।
দেশে শিক্ষিত মানুষের বাম্পার ফলন হচ্ছে। লক্ষ লক্ষ ছাত্রছাত্রী জিপিএ ৫ ইত্যাদি পেয়ে জাতির মুখ উজ্জ্বল করছে। আমাদের কালের মতো একটা ফার্স্ট ডিভিশন আর দুইখান লেটারের সন্তুষ্টি এখন আর নাই। সেই আমলের স্ট্যাণ্ড, স্টার, লেটার সবকিছুর মর্যাদা এখন ঢাকা পড়েছে জিপিএ গোল্ডেন জিপিএ-র নকশী কাঁথায়। সেই জাতির একজন হিসেবে আমার বুক তিনহাত ফুলে যাবার কথা। কিন্তু আমার নেহাত আধমূর্খ মেধার স্কেলে এই উন্নতির বহরটা ঠিক হি
তোমার আলোময় চুল কী ধীর অনুভব করি,
এক একটির পরখ করি নিবিড় সুন্দরতা
অন্য প্রেমিক অন্য চোখে দেখে নেয় ভালবাসার মুখ,
তোমার চুলের বিন্যাসে আমি পাই আমার মুগ্ধতা।
ইতালিতে তোমার নাম ওরা রেখেছে মেডুসা,
নাগিনীর মত আউলানো চূর্ণকুন্তল
আমি বলি তরঙ্গময়ী; আমার হৃদয়
ডিসক্লেইমারঃ মলিকিউল-এটম এর বাংলা 'অনু-তারেকানু' লিখবো কিনা কিংবা এমরফাস শব্দটির সঠিক বংগানুবাদ 'জগাখিচুরি' আর ক্রিস্টালাইন শব্দটির বংগানুবাদ 'লাইনে-আসা-সুশীল' হবে কিনা এসব নিয়ে বিস্তর ভেবেছি, কোন কুলকিনারা করতে পারি নি। তাই অনেক শব্দের বংগানুবাদ করিনি, যেগুলো যেভাবে করেছি সেগুলো ভাল নাও হতে পারে। সেজন্যে দুঃখিত। পরামর্শের দুয়ার খোলাই রইলো।
সকাল ৬টা পঁচিশ, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর, ২০৩৬।
১
ঘটনাটা ঘটেছে এক ঝড়ের রাতে । বাইরে বাতাসের গো গো শব্দ, গগন বিদীর্ণ করে দেয়া আলোর ঝলকানি আর মেঘেদের গর্জনে ধরনী কেঁপে কেঁপে উঠছিল । বাইরে চলছে তুমুল বর্ষণ । বাড়ির পাশেই আমগাছের ডাল মড় মড় করে ভেঙ্গে গেল । এমন সময় দ্রিম করে বিকট শব্দ তুলে বিদ্যুতের লাইন ছিড়ে গেল । মুহূর্তের মধ্যেই ঘুটঘুটেু আঁধারে তলিয়ে গেল সব কিছু । প্রয়োজনের সময় কিছুই হাতের কাছে পাওয়া যায় না । নিয়ম মাফিক কোন মোমবাতি পাওয়া গেল না । রান্না ঘরে গিয়ে দেখা গেল ম্যাচ বাক্সে একটা কাঠিও নেই ।
এবার কোরবানীর ঈদ পড়েছে বৈশাখ মাসে । আগামিকাল ঈদ । সবাই দেশের বাড়িতে চলে গেছে ঈদ উৎযাপন করতে । পুরো বিল্ডিং টাতে আমি একা।
আমার মৃত্যুর পর, হাত রেখো আমার চোখে,
প্রিয় আঙুলের আভা আর গমের সতেজ ঘ্রাণ
বয়ে যাক আমার ওপর। আমার ভাগ্যরেখা
পাল্টে দেওয়া তোমার কোমলতা ঘিরুক আমায়।
শরতের তাল পাকা গরম। ভ্যাপসা, অস্বস্তিকর। তবে তা শুধু বড়দের জন্য। আমাদের বয়েই গেছে শরৎকে কেয়ার করতে। ঘরকুনো হয়ে বসে থাকার দিব্যি তো কেউ দেয়নি! বিশেষ করে নানা বাড়িতে। মা-বাবার বারণ নেই, চাচার রক্তচক্ষু নেই, তাই অস্বস্তি¡র দুপুরে-ঘুমও নেই। নানা বাড়ির সাথেই বিশাল বাগান। আম, জাম, কাঁঠালের। বাগানের ঠিক মধ্যিখানে এক বিরাট তাল গাছ একপায়ে দাঁড়িয়ে আছে। সব গাছ ছাড়িয়ে আকাশে উঁকি মেরে। ধপাস করে একটা তার পড়ে। আমরা ছুটে যাই। কিন্তু কোথায় তাল! কে যেন কুড়িয়ে নিয়ে গেছে। ফিরে এসেছি। আবারও ধপাস! এবার ছুটে গিয়ে দেখি, তাল মুখে নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছেন শিয়াল মামা।
[justify] ঘটনা ১
চোখেমুখে উত্তেজনা চেপে রাখার নিস্ফল চেষ্টা করে, বড় ভাই আমাদেরকে জিজ্ঞেস করলেন, “ঐ যে, আরেকটা মেয়ে আছে না? ওর নাম যেন কী? আসলে পড়ে কোথায়?”
আমরা যে ওনার উত্তেজনা বুঝতে পারছি, সেটা ওনাকে বুঝতে না দিয়ে আমরা কথাবার্তা চালাচ্ছিলাম, “কোন মেয়েটা?”
আমেরিকার বড় বড় সুপারমার্কেটগুলোর দোকানে লোক টানার একটা জনপ্রিয় আইটেম হলো রোটিসেরি চিকেন। জিনিসটা আর কিছুইনা আমাদের দেশের মুরগীর গ্রিল। মার্কেটের ডেলি অংশে গেলে বড় বাক্সের মধ্যে যদি মুরগীকে শিঁকে গাঁথা অবস্থায় ঘুরতে দেখেন, তাহলেই বুঝলেন আপনি পাইলেন তাহাকে পাইলেন। এদের সবখানেই পাওয়া যায়, ওয়ালমার্ট হোক, ক্রোগার হোক কিংবা কস্টকো/স্যাম্স ক্লাব। দোকানে লোক আনার বঁড়শি হিসেবে এই জিনিস অতুলনীয় কারণ, এরকম (