বাক্সের ভিতরে বাক্সের মতন নতুন নতুন স্মৃতি বার হয়ে আসছে কিন্ডারগার্টেন ক্লাসের কথা লিখতে বসলেই, রঙীন সব ছবি আঁকা বাক্স। তখন জীবন ছিল বিস্ময়ে ভরা, প্রতিটা দিন ছিল অদ্ভুত রকমের আশ্চর্য, প্রতিটা সকাল যেন হাতের মুঠোয় লুকিয়ে আনতো অচেনা উপহার। তখন তো বেশীরভাগই অচেনা আমাদের। নিজেদের পাড়ার বাড়ীঘর মাঠ রাস্তাগুলো পার হয়ে গেলেই অচেনা রূপকথার রাজ্য। আমবাগান কুলবাগান জোড়া পুকুর গাছপালায় ঘেরা অদ্ভুত অদ্ভুত বাড়ী
[justify]
।।১।।
দেশে যেতে আমার খুব ভালো লাগে।
যখন বাংলাদেশে থাকতাম তখন দেশের বাড়ি বলতে চাঁদপুরের গ্রামের বাড়িটাকে বুঝাতাম। আমাদের বন্ধুদের একেক জনের দেশের বাড়ি ছিল একেক জায়গাতে। কারও বাড়ি বরিশালে, কেউ সিলেটের, কেউ ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে, মনে হতো যেন বাংলাদেশটা এক বিশাল জায়গা, কত হাজার হাজার চেনা - অচেনা নাম। বিদেশে গমনের পরে সেই অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে, এইখানে সব বাংলাদেশির একটাই দেশ। কেউ যখন বলে যে সে দেশে যাচ্ছে - তখন বুঝতে হয় সে বাংলাদেশে যাচ্ছে, সেটা ঝালকাঠি না-কি মানিকগঞ্জ সেই প্রশ্ন পুরোই অবান্তর। আমরা যেই দিন মঙ্গলগ্রহে বসত গড়ব সেই দিন হয়ত দেশে যাওয়ার মানে হবে পৃথিবীর কোন এক জায়গা, সেটা সাংহাইও হতে পারে আবার রোমও হতে পারে।
আজকে জাকার্তার তাপমাত্রা ৩৪ ডিগ্রী। সকাল থেকে তেতে উঠেছে রোদ। আকাশ নীল। এক খন্ড মেঘও নেই কোথাও। গাছের পাতাটি পর্যন্ত নড়ছে না। পাথর বসানো খোলা রাস্তার পাশ ধরে হাঁটতে গিয়ে মনে হচ্ছে রিফ্লেকটরের ওপর দিয়ে হাঁটছি। চামড়া পোড়া রোদ চতুর্দিক থেকে ধেয়ে আসছে।
আমার এক বন্ধু গত ১৭ এপ্রিল তার ক্যান্সার মুক্তির ২ বছর পূর্তি উদযাপন করলো। আনন্দে ঝলমল হয়ে যখন আমাকে জানালো তখন আমার মনে হল- আমি তো আরেকটি এমন দারুণ সত্যি ঘটনা জানি! একটি পরিবারের মৃত্যুকে ফিরিয়ে দেয়ার গল্প, হাল ছেড়ে না দেয়ার গল্প। পৃথিবীর লক্ষ লক্ষ মানুষ ক্যান্সারের বিরুদ্ধে সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন, তাদের জন্য অনুপ্রেরণার গল্প। শুনুন।
কৃষ্ণপক্ষের কালিগোলা অন্ধকার রাত। গা ছমছমে একটা ডাক ভেসে আসে সজনে গাছের জমে থাকা অন্ধকারের আড়াল থেকে। বড্ড ভয়ংকর সেই ডাক। গাঁয়ের লোকেরা বলে জমকুলি ডাকে। রক্ত হীম করা করুণ সুরে। কু-উ-উ কু-উ-উ রবে। এই জমকুলি আদৌ কী, তা বলতে পারে না কেউ, শুধু ভয় পেতেই জানে। লাইট জ্বালিয়ে সজনে গাছের মাথটা একবার দেখে আসে সে সাহসও নেই কারও।
[জিএম এবং বিটি নিয়ে পাঠকদের মধ্যে কিছু অনিশ্চয়তা লক্ষ্য করলাম আগের পর্বে। সে জন্য এই আলোচনার আগে বিষয়টা একটু বলে নেই। আমার তথ্যসূত্র জার্মান ভাষা থেকে নেয়া, কাজেই ইংরেজী উচ্চারণ এবং বানানে হেরফের হতে পারে।
[justify]খালামনি, সকাল দশটায় কি কামরুলকে আবার নতুন করে বানিয়ে হাওড়ায় এনে দিবে ওরা। আমি কিছু না বলে যায়ানের দিকে ফিরে তাকালাম একবার। এই ছেলের হাজারটা প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে আমার দাঁত ভেঙ্গে যাচ্ছে প্রায়। জেরী ওকে কিভাবে সামলায় আল্লাহ মালুম। আমি কিছু বলবার আগেই পাশ থেকে জেরী বলে উঠলো বাবা, ওটা কাম্রুল না কামরূপ হবে। এরপর ও যায়ান কামরুলের নামে হাবিজাবি বকে যেতে লাগলো। সেদিকে ভ্রূক্ষেপ না করে চেয়ারে
বাংলাদেশে প্রতিবছরই বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্টার্নদের স্ট্রাইক পরিলক্ষিত হয়। প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই ইন্টার্নদের স্ট্রাইকের কারণ “কর্তব্যরত চিকিৎসকদের লাঞ্ছনা এবং নিরাপত্তার অভাব।” আমাদের দেশের মিডিয়া সবসময়ই অত্যন্ত একপেশেভাবে এই স্ট্রাইকের খবর দেয় এবং প্রায় সবসময়ই ডাক্তারদের খলনায়ক বানিয়ে রোগীদের দুর্দশার চিত্র তুলে ধরার একটা জনপ্রিয় প্রচেষ্টা লক্ষ্য করা যায়। এটা প্রায় কখনোই লেখা হয় না য
[আইজ্যাক আসিমভ আমার অন্যতম প্রিয় লেখক। তার 'হাঊ ডিড উই নো' সিরিজের 'যেভাবে আমরা জানলাম পৃথিবী গোলাকার' বইটি অনুবাদের একটি প্রচেষ্টা নিলাম। তিন পর্বে সমাপ্ত করার আশা রাখি]
পৃথিবী কি সমতল?
বহুকাল আগে, মানুষ ভাবত পৃথিবী বুঝি সমতল। কেননা তা দেখতে সমতল সমতলই লাগে।
মিসেস ডেকার আজকেই ফিরলেন হাইতি থেকে।
একাই গিয়েছিলেন মিসেস ডেকার। না গিয়ে উপায় কি! মি. এবং মিসেস ডেকারের বনিবনা হচ্ছে না দীর্ঘদিন ধরে। আর ইদানীং অশান্তি তো চরমে উঠেছে। তাদের পক্ষে আর একসাথে থাকা সম্ভব হচ্ছেনা। দুজন একে অপরকে রীতিমত ঘৃণা করতে শুরু করেছেন এখন!