" জাস্টিস ডিলেইড ইজ জাস্টিস ডিনাইড" বহু ব্যবহারে এত ক্লিশে করে ফেলেছি এই বাক্যটাকে!
[উগ্রভুদাই = যুক্তি ছাড়াই জায়গা-বেজায়গায় "উগ্র" শব্দ জুড়ে দিয়ে নিজেকে ভুদাই (বলদ) হিসেবে প্রমান করে যে ব্যক্তি।]
আজ হঠাৎ মতির কথা মনে পড়ল। ক্যাডেট কলেজে মতি আমাদের স্কুল জীবনের সহপাঠী ছিল। আমাদের সাথে মতির সহপাঠ কলেজের শেষ দিনটি পর্যন্ত দীর্ঘায়িত হয় নি। গ্রাম্য প্রকৃতির মতির নিতান্ত গোবেচারা চেহারায় রূপোর টাকার মতো তেমন উজ্জ্বল কোন বৈশিষ্ট্য আমার চোখে পড়ে নি। আমরা ছিলাম ভিন্ন ভিন্ন হাউসের বাসিন্দা। আমার তিনতলার খোলা তলোয়ার হাউস, মতির নিচতলার বীরশ্রেষ্ট হাউস। মাঝখানে বাঁশের কেল্লা হাউসের গা বেয়ে নামা প্রশস্ত সিঁড়ির দু-দু'টি স্তর। সে বয়সে স্তর পেরুবোর ক্ষেত্রে ঘাম ঝরাবার কায়ক্লেশ হয়ত একেবারেই গা করতাম না, তবে খুব সূক্ষ্ম হলেও ভিন্ন হাউসে অবস্থানের একটা মানসিক বাধা ছিল। সেই বাধা পেরিয়ে জ্যোতিষ্কের সাহচর্য হয়ত কামনীয় হতে পারে, কিন্তু নিতান্তই সাধারণ একটি ছেলের সাথে বন্ধুতা ঘটবার তেমন আগ্রহ মনে জাগে না।
রানা প্লাজা দুর্ঘটনার অল্প ক'দিন পরের কথা, তখন আমি উত্তরা ক্রাইম ডিভিশনে কর্মরত। শুক্রবারে সাধারণত আমি অফিস করিনা,তবুও ওদিন গিয়েছিলাম আলিয়স ফ্রসেসে।ফ্রেঞ্চ স্পিকিং দেশগুলোতে ইউ এন মিশন করতে গেলে ফ্রেঞ্চ জানা বাধ্যতামূলক- এটা শুনে খোঁজ খবর করতেই যাওয়া। ফেরার পথে হঠাৎ শুনি আমার মোবাইল ফোনে কে জানি বার বার চেষ্টা করছে। কিঞ্চিৎ বিরক্ত হয়ে কয়েকবার রিসিভ করলাম, কথা ঠিকমত শোনা যাচ্ছিলন
সে বহুকাল আগের কথা। আফ্রিকার ঘন জঙ্গলের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে খাল। খালের পাশেই জঙ্গলের ভেতরে ছিল এক বড় গাছ। সেই গাছে বাস করত এক ছোট্ট পাখি। একদিন সকালে যখন সে বসে বসে ডিমে তাঁ দিচ্ছিল, গাছের পাশ দিয়ে একটা হাতি যাবার সময় তার গায়ের সাথে ধাক্কা লেগে নড়েচড়ে উঠলো গাছ। রাগের চোটে তেড়েফুড়ে ছুটে আসলো ছোট্ট পাখি - "বেকুব হাতি, গাছ নাড়াচ্ছো কেন? এভাবে তুমি গাছ নাড়ালে আমার ডিম গুলো ভেঙে যাবে না?
মোটামুটি জ্ঞান বুদ্ধি হওয়ার পর ষাটের দশকের শেষাংশ থেকে দীর্ঘ চল্লিশ বছরের বেশি সময় ধরে দেখে আসছি আমাদের গ্রামটিকে। এই সময়কালে গ্রামটির প্রাকৃতিক ও ভৌত কাঠামোয় কিছু পরিবর্তন এসেছে, কিন্তু আমুল পরিবর্তন এসেছে এ গ্রামের অধিবাসীদের যাপিত জীবনে। আবহমান কাল থেকে চলে আসা রীতিনীতি, নিয়মকানুন, কর্মপদ্ধতি, সংস্কৃতি, কৃষ্টি, প্রযুক্তি, সর্বোপরি মানুষের জীবনাচরণে এসেছে দৃশ্যমান ব্যাপক পরিবর্তন। পিছু ফিরে দেখলে ঠিক বিশ্বাস হতে চায় না যে এভাবে বদলে গেছে এ গ্রামের এতকিছু। শত শত, কিংবা হাজার বছর ধরে যা ছিল প্রায় অপরিবর্তনীয়, কালের এই ক্ষুদ্র পরিসরে তার আমুল পরিবর্তন ঘটলো আমারই চোখের সামনে। এক অর্থে এ আমার পরম সৌভাগ্য যে আমি এ পরিবর্তনের সাক্ষী, তবে এতে প্রাপ্তির আনন্দ যেমন আছে, হারাবার বেদনাও আছে অপরিসীম।
“হি ইজ অ্যা গুড ম্যান”- ছবিটার দিকে একটানা মিনিটখানেক তাকিয়ে, চোখ-মুখ ভুরু কুঁচকে, দুই-চারবার সাপের মত জিহবা বের করে নিচের ঠোট ভিজিয়ে উপর নিচে মাথা দুলিয়ে গমগমে কন্ঠে বলল জ্যুড। জ্যুড সেঙ্কুঙ্গু আমার বাথরুম্মেট, বাড়ি উগান্ডা, পেশায় শিশুচিকিতসক। বাংলাদেশে এসেছে পাবলিক হেলথে মাস্টার্স করতে। আমরা দুজন থাকি পাশাপাশি রুমে, কিন্তু দুজনের জন্য বাথরুম একটাই; সেই সুত্রে আমরা বাথ্রুম্মেট। মানুষের স্বভাব বি