ক’দিন আগে একখানা বই পড়তে পড়তে চমকে গেলাম আমাদের মস্তিষ্কের এক অপারগতা সম্পর্কে প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখিত একটি গল্প দেখে। আপাতদৃষ্টিতে সহজ এক গাণিতিক ফাঙ্কশন অনুধাবন করতে গিয়ে আমাদের মনে যে কেমন ধন্ধ লেগে যেতে পারে, তা বলতে গিয়ে লেখক উদাহরণ টেনেছেন দাবা খেলার আবিস্কার-কাহিনীর।
"সামিয়া"
আম্মুর ডাকশুনে বিছানায় নড়েচড়ে ওঠে সামিয়া। বিছানার পাশে রাখা ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে রাত ঠিক বারোটা বাজে। খাটের পাশে রাখা টেবিল ল্যাম্পটা জ্বালিয়ে, পানির গ্লাসটা হাতে নিয়ে একটা চুমুক দিতেই আবার আম্মুর ডাক শুনতে পায়-
"সামিয়া"
ব্যস্ত শহরের মাঝে ছায়ায় ঘেরা পাখির কলতানে মুখর নির্মল একটি গ্রাম। ফুল, পাখি ও নদীর নামে সেখানকার ঘরগুলোর নাম। মমতায়, যত্নে অবাধ সম্ভাবনা বুকে নিয়ে বেড়ে ওঠে গাঁয়ের বাসিন্দারা। মাথা গোঁজার জন্যে তারা পায় নিরাপদ আশ্রয়, বিকশিত হবার জন্যে পায় ভালোবাসা। আর জীবনধারণের জন্যে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় বিশুদ্ধ অক্সিজেন।
সচলায়তনের প্রেমে পড়ার ইতিহাস আমার আজকের নয়। বলতে গেলে অনেকদিন আগেই এই ব্লগের প্রেমে পড়েছি। তবে বুঝে উঠতে যেহেতু সে সময় পারিনি তাই আমার প্রেমপত্রগুলো সচলায়তনের আর্কাইভের কোন এক চিপায় এখনও হয়ত লুকিয়ে আছে। এবারের যাত্রায় সচলায়তনের দৃষ্টি আকর্ষণে সমর্থ হলাম। তবে আমি যতটুকু বুঝেছি সচলায়তনে লেখতে চান অনেকেই কিন্তু সহসাই বুঝে উঠতে পারেন না কিভাবে আপনার লেখাটি সচলায়তনে আসবে?
[justify]ঘড়িতে প্রায় সন্ধ্যা ছয়টা। বিয়ারে চুমুক দিতে দিতে সুইমিং পুলের ধারে আয়েস করে বসে সন্ধ্যা নামা দেখার আদর্শ সময়।
সারাদিন হোটেল রুমে বসে থাকতে থাকতে বিরক্ত হয়ে গেছিলাম, বার থেকে এক ক্যান বিয়ার হাতে নিয়ে বাগানে প্রবেশ করতেই সন্ধ্যার গোধুলি আলোতে পাম গাছের সারি এলোমেলো করে বয়ে যাওয়া মিষ্টি বাতাসে মনটা জুড়িয়ে গেল।
বাগানটা দারুন, দুই ধারের লন জুড়ে সার বেধে ফুলের বাগান আর মাঝ দিয়ে দিয়ে বড় বড় নারিকেল গাছ আর পাম গাছের সারি, পিছনে আকাশ তখন শেষ সূর্যের আলোতে রক্তিম বর্ণ ধারন করেছে, সমুদ্রের তীর থেকে ধেয়ে আসা বাতাসে এমনভাবে নারিকেল আর পামের সারি দুলছে মনে হচ্ছে যেন আকাশে আগুন দেখে গাছগুলো পালানোর চেষ্টায় হুটোপুটি লাগিয়েছে।
নোনাসমুদ্রে এতকাল কাটাবার পর মিঠাপানির প্রথম স্পর্শটা সুখের ছিল তা বলতে পারি না। তবে বলতে পারি স্পর্শটা বড় বিচিত্র ছিল। মুখে নিয়ে কুলি করে ফেলে দেবার পর শান্তি।
আবহাওয়া ঠিক আছে। জলের কোলাহলও তেমনি। ঘনত্বে একটু পার্থক্য, আর রঙে। এখানকার রঙটা যেন ফ্যাকাসে। তবু কেউ কেউ বলছিল যে যাই বলুক, যত সুখ শান্তি সব মিষ্টি জলের নদীতে। অগাধ ঝড়ঝঞ্ছাবিক্ষুব্ধ সমুদ্রে অনিশ্চিত জীবনযাপন করার চেয়ে এখানে অনেকটা নিশ্চিন্ত জীবন। চাইলে যখন তখন কূলের কাছাকাছি যাওয়া যায়, গাছ লতাপাতা ফুল পাখিদের সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। সমুদ্রে কি তা সম্ভব? তবু এতকালের অভ্যেস সমুদ্র। এই নেশা কাটানো মুশকিল। আমি ওদের পিছু পিছু নদীতে আসার পর সেই কথাই ভাবছিলাম।
রকমারীর সোহাগ/লিটন ভাইয়া,
আপনাদের সাথে পরিচয় অনেকদিনের । আমার মত অনেকের কাছেই আপনাদের প্রাথমিক পরিচয় অবশ্যই রকমারীর কর্ণধার হিসেবে নয় । আমাদের একটা বড় অংশের পড়ালেখার প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টে দেবার পেছনে আছেন আপনারা । দেশের সেরা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েও আপনারাই এপর্যন্ত আমার দেখা সবসময়ের সেরা শিক্ষক । আপনারা প্রথম শিক্ষাগুরু যারা শিখিয়েছেন সবকিছুকে প্রশ্ন করতে । "মুখস্ত বিদ্যা প্রতিভাকে ধ্বংস করে" - এই বুলি এখন সবার মুখে, কিন্তু একমাত্র আপনাদেরই একে সত্যিকার অর্থে একটি সংস্কৃতি হিসেবে লালন করতে দেখেছি ।
ইচ্ছের গভীরে ডুবি
কত কিছু পেতে চায় মন!
কত সুর, এলোমেলো কত আলাপন…
দশ বছর আগের কথা।
সেদিন বাসায় তাড়াতাড়ি ফিরতে চেয়েছিলাম ইউনিভার্সিটি থেকে... দ্রুত কাজ গুছাচ্ছিলাম তাই। অন্যান্যদিন এক্সপেরিমেন্ট চালাই রাত আট টা দশটা পর্যন্ত কিন্তু সেদিন এক্সপেরিমেন্টের পাম্প বন্ধ করে দিলাম সন্ধ্যা ছয়টার মধ্যে। তাড়াতাড়ি করে লগবুকে সেইদিনকার উল্লেখযোগ্য খুঁটিনাটি তথ্যাদি টুকে রাখছি... উদ্দেশ্য রাত সাড়ে আটটার মধ্যে বাসায় ফেরা যেন কম্পিউটারের সামনে বসে হাই ভলিউমে সেইদিনের বিবিসি বাংলার অনুষ্ঠান "প্রভাতী" টা শুনতে পারি। তারিখ টা ছিল ইউএসএ তে ১৩ এপ্রিল আর বাংলাদেশে ১৪ এপ্রিল ২০০৪ অর্থাৎ ১৪১১ বাংলা সালের শুরুর দিন পহেলা বৈশাখ। না। বাংলাদেশের বিবিসি বাংলার নববর্ষের কোন অনুষ্ঠান শুনব বলে এত তড়িঘড়ি করছিলাম না সেদিন। তড়িঘড়ি করছিলাম কারণ সেদিন ছিল বিবিসি বাংলার চালানো "হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী" জরিপের সব চাইতে বেশী নাম আসা বাঙালীর নাম ঘোষণার দিন। ২৬ মার্চ ২০০৪ থেকে বিবিসি বাংলা প্রতিদিন যে একজন করে বাঙালী ব্যক্তিত্বের নাম ঘোষণা করে আসছে, আজ তার বিশতম এবং শেষ দিন। এরই মধ্যে উনিশ জনের নাম জেনে গেছি।