[justify]ফেসবুকে প্রথম দেখলাম খবরটা। ২৬ মার্চ, স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে লাখো কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে বিশ্বরেকর্ড করার যে উদ্যোগ তাতে ইসলামী ব্যাংক তিন কোটি টাকা অনুদান দিয়েছে, সেটা নেয়া-ও হয়েছে। নিশ্চিত ছবি তোলা হয়েছে, পত্রিকায় সেটা আমরা দেখবো এবং আমাদের আর কোনদিন মরে যেতে ইচ্ছা করবে না!
মনে আছে একবার স্কুলে ইংরেজির শিক্ষক শ্রেণীকক্ষে এসেই ঘোষণা দিলেন- "আজ কোন পড়া হবে না। আমি ডিকটেশন দেবো। দেখতে চাই বানানে তোমরা কতটা পাকা।"
শীতপাহাড়ী কুয়াশার ভিতরে একলা চুপচাপ
দাঁড়িয়ে থাকা এক দৃষ্টিহীন সরলগাছ
আমাকে বলেছিল, "জানো, দক্ষিণে বসন্ত এসে গিয়েছে?"
আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম, সে জানলো কেমন করে?
এখনও তো যাযাবর পাখিরা ফিরে আসে নি!
বাতাসের ভিতর অস্ফুট গানের মতন ফিসফিস করে
সে বললো,"ভাবছো আমি জানলাম কেমন করে?"
আমি ওর খসখসে বাদামী কান্ডের উপরে হাত রাখলাম,
“দোস্ত আমাকে বাঁচা। খুব বিপদের ভিতর পড়েছি।” হঠাৎ একদিন ফোনে বাল্যবন্ধু আফানুর রহমান আদনানের এই আর্জি শুনে নিজেকে সামলাতে পারলাম না।
“কেন কি হয়েছে? কোন ফৌজদারি ঝামেলায় পড়েছিস নাকি?” জিজ্ঞাসা করলাম।
[justify]১.
ফেসবুকে লগইন করেছেন, আপনার হোমে দেখবেন আপনার এক ফেসবুক বন্ধুর আপডেট,
'ফিলিং ওয়ান্ডারফুল'-ইটিং ফ্রায়েড চিকেন এন্ড ফ্রেন্চ ফ্রাইস এট কেএফসি উইদ অমুক এন্ড তমুক।
আপডেট দিবে ভালো কথা, কোন সমস্যা নেই। কিন্তু এই মানুষটি গলির মাথার কাশেমের দোকানে বসে পেয়াঁজু খেতে খেতে আপডেট দেয় না, তখন সেল ফোনের স্ট্যাটাস বক্স বন্ধ হয়ে যায় সন্দ করি।
পাণ্ডা বলতেই আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে সাদা কালোর মিশেলে প্রকৃতির এক অপূর্ব সৃষ্টিকে। ভালুক গোত্রের এই নির্বিবাদী শান্তশিষ্ট প্রাণীটি কিন্তু নিজ গোত্রের অন্য প্রাণীদের মতই শক্তিধর, কিন্তু অহিংস নিরামিষাশী (বাঁশখেকো) পাণ্ডাদের শক্তির প্রকাশ দেখা যায় না বললেই চলে। এহেন এক নাদুস-নুদুস প্রাণীকে নিয়ে একটি তুমুল এ্যকশন ভিত্তিক ‘কুংফু’ চরিত্রে উপস্থাপনের আইডিয়াতে চোখ কপালে উঠেছিলো তাই অনেকের। শেষ পর্যন
যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে যারা ব্যক্তি হিসেবে বা কোন সংগঠনের সদস্য হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন তারা গত ডিসেম্বরের ১২ তারিখে তাদের পরিশ্রমের প্রথম ফলটি পেয়েছেন। এটি হল কাদের মোল্লার ফাঁসী, ১৬ কোটি মানুষের বহুআকাংখিত ন্যায়বিচার। ১৯৭১ সালে যারা এই দেশে শতাব্দীর সবচেয়ে নৃশংস গণহত্যার একটি চালিয়েছিল, যারা অনেক অত্যাচার নির্যাতন করেছিল তাদের ভিকটিমদের যে প্রাপ্য ন্যায়বিচার এটি কিন্তু একটি বিরাট কর্মযজ্ঞ। সেটি
১
প্রদীপ বিরক্ত মুখে পঞ্চম কাপ চা হাতে নিয়ে বসে আছে চায়ের দোকানে। সকাল থেকে কিছুই পেটে পড়ে নি। চিনি বেশি দিয়ে চা খেলে ক্ষুধা কমে যায়। কিন্তু খালি পেটে চিনি বেশি দিয়ে পরপর পাঁচ কাপ চা খেলে যে বমি ভাব শুরু হয় তা জানা নেই প্রদীপের। এখন তার বমি পাচ্ছে। প্রানপন চেষ্টা করছে বমি আটকানোর। সে বমি বিষয়ক চিন্তা ভাবনা বাদ দেয়ার চেষ্টা করলো। অন্য দিকে মনোযোগ দেয়ার চেষ্টা করছে প্রদীপ। উজ্জ্বল আসলে চায়ের দাম তো দেবেই সাথে কিছু টাকাও দেবে।
শেষ বিকেলে বসে ছিলাম ক্যাম্পাসের মুক্তমঞ্চের সিঁড়িতে । লাল রঙের সূর্যটা মুক্তমঞ্চের পিছনের আকাশমণি গাছের পাতার আড়ালে অদৃশ্য হচ্ছিল ক্রমশ ।
হু হু করে বাতাস হচ্ছে সেই দুপুর থেকে । অদূরের ঝোপঝাড়ের আড়াল থেকে আসা গাঁজার গন্ধ, ঝালমুড়ি বিক্রেতার ঝালমুড়ির গন্ধ আর মহুয়া ফুলের গন্ধ
মিলে কেমন যেন মাতাল মাতাল আমেজ ।
কিচ্ছু বদলায়নি এই ক’বছরে ।