১
ধর্মগড়ের প্রকৃতিতে তখনও ভোরের রেশ কাটে নি। কুয়াশার লেপ মুড়ি দিয়ে শুয়ে থাকা শীতের মলিন দিনটিকে সদ্যজাত ভোর ভেবে পাখিরা তখনো কাকলিমুখর। মাঝে মাঝে ঘুঘুর প্রলম্বিত উদাসী ঢাক। সকালেই ঘুম ভেঙে গিয়েছিল তবু চোখে লেগে ছিল আবেশী আলস্য। গতরাতে পড়ে শেষ করা ‘উয়ারী-বটেশ্বর শেকড়ের সন্ধানে’ সিথানের পাশে পড়ে আছে। এক বিলুপ্ত নগরী আবিষ্কার ও উৎখননের রোমহর্ষ আমাকে অধিকার করে রেখেছিল গতরাতে।
চুপি চুপি ঘড়ির কাঁটা কখন যে অনেকদূর পথ পরিভ্রমণ করেছে বুঝতে পারিনি। সকাল নয়টা বেজে ছয় মিনিট। ফোনটা তখনি এলো। জানালা দিয়ে ভেসে আসা ঘুঘুর স্বর ছাপিয়ে সেলফোনের ভেতর থেকে ভেসে আসা কোকিলের মতো স্বর আমাকে সচকিত করে তোলে। “আমি ডঃ শাহনাজ বলছি, ডিসি সাহেব আপনার ফোন নম্বর দিয়েছিলেন...”
জাফর ইকবাল স্যার আমার খুব প্রিয় মানুষের একজন। ছোটবেলায় স্কুলে টিফিন না খেয়ে, স্কুলে হেটে হেটে গিয়ে রিক্সার ভাড়া বাচিয়ে জমানো টাকা দিয়ে যতগুলা বই কিনেছিলাম, বোধকরি তার ৬০ ভাগ বই জাফর ইকবাল স্যারের লিখা। ওনাকে আমার যত না তার লেখার জন্য ভাল লাগে তার চেয়ে বেশি ভাল লাগে তার সাধাসিধে কথাগুলার জন্য। খুব অবলীলায় এবং খুব সহজ ভাবে অনেক অনেক কঠিন কঠিন কথা খুব সহজেই উনি বলে ফেলেন। স্যারের একটি সাধাসিধে কথা
[justify]
গেল সামারে নিশীথ সূর্যের দেশে বেড়াতে গিয়েছিলাম এক ঝটিকা সফরে। যদিও আমি এখন যেই দেশে থাকি সেটাকেও নিশীথ সূর্যের দেশ বলা যায় তবুও কোন ছোটতে মামা/চাচা/ খালা কারো বিসিএস গাইডে পড়েছিলাম নিশীথ সূর্যের দেশ হল নরওয়ে, সেই থেকে মাথায় গেঁথে গেছে নরওয়ে নামটা। আর সত্যি বলতে কি এই অতি রোমান্টিক নামকরণের জন্যই আমার নরওয়ে যাবার বিশাল আগ্রহ ছিল সবসময়েই।
প্রিয় মিস্টার নিকন,
সপ্তাহটা খুব খারাপই গেল। ছ্যাঁক খেতে খেতেই কিভাবে যেন কাটিয়ে দিলাম। (দুষ্টু লোকেরা তফাত যাও, ছ্যাঁক আগুনেও খাওয়া যায়, হুঁহ)। প্রথমটা খেলাম গত শনিবার বিকেল ঠিক ৫টায়। বিস্তারিত বলা যাবেনা, শরমের কথা। আর শেষটা গতকাল বিকালে, তাও উপর্যুপরি। সাইড এফেক্ট হিসাবে আপাতত বিজ্ঞানের খেতা পুড়ি। বিজ্ঞানের কাঠখোট্টা গল্পের চাইতে মানুষের গল্প অনেক মজার। আর সে গল্প যারা বানায় তারা থাকে অনেক অনেক দূরে, আফসোস।
আকাশটাকে আরেকটু উঠতে বললাম উঠলো
নদীটাকে আরেকটু নামতে বললাম নামলো
নিখোঁজ আমাকে খুঁজে বের করে
আকাশের সব'কটা বিস্ফোরণ
বুক ভিজিয়ে নিভিয়ে দিলো জীবিত অসুখ -
চেয়েছিও তাই একসময়
এক প্রস্তাবিত নিঁখুত পরিকল্পনায়
মিথ্যে আগুন আর হাসপাতালের করিডোর।
একটা কাটা দাগের চিহ্ন মুছে যেতে কতদিন সময় লাগে? কিংবা আদৌ কি মুছে যায়?
শীতকালে কার্পাস তুলাকে ঘিরে আমাদের গ্রাম যেন উৎসবে মেতে উঠত। গরিব চাষিরা বাঁচত হাঁপ ছেড়ে। মানুষের দুঃখ-দুর্দশা অনেকটাই প্রশমিত করে দিত তুলো নামের এই ফসল।
জন্ম ১৯১৯, মৃত্যু ২০১৪, গায়ক, মানবাধিকার কর্মী।
(পিট সীগারের জন্য ভালবাসা)
ফুলগুলো সব গেলো কোথায়? অনেক দিন তো হয়ে গেলো,
ফুলগুলো কেনো দেখিনা আর? সময় তো কেটে গেলো।
কোথায় গেলো তারা?
ছিঁড়ে নিয়ে গেছে কি মেয়েরা?
কেনো তারা বুঝছে না?
কিছু কেনো শিখছে না?
তরুণীরা কোথায় চলে গেলো? অনেক দিন তো হয়ে গেলো,
বিদায় পিট সিগার।