।।এইম ইন লাইফ।।
জ্ঞান হবার পর থেকেই চিন্তিত হয়ে পড়ি আমরা, 'বড় হয়ে কী হবো?'
জীবনের তেত্রিশ বছর পার হয়ে গেলেও বুঝে উঠতে পারছিলাম না, 'বড় হয়ে কী হবো?'
গত দুইদিনে বুঝে গেলাম, বড় হয়ে আসলে কী হতে চাই!
তেত্রিশ বছরের অভিজ্ঞতায় বুঝলাম, বড় হয়ে আমি সংখ্যাগুরু হতে চাই!
কিন্তু একজন সংখ্যালঘু কী কোথাও গিয়ে কোনভাবে সংখ্যাগুরু হতে পারে?
গত রোজার ঈদের ছুটিতে সকল আত্মীয় স্বজনরা তখন গ্রামের বাড়িতে। আমার অনেকগুলো চাচা থাকায় চাচাত ভাইবোনের সংখ্যাও প্রায় দুই ডজনের মত। তাই ঈদের সময় আমাদের গ্রামের বাড়ি একটা বিয়ে বাড়ির মতই রূপ নেয়। মজা করার সকল আইডিয়াগুলাতেও আমরা বড় ছোট সবাইকে সাথে রাখি। সব বয়সীরাই এক হয়ে যায় আমাদের গ্রামের বাড়ি ঈদগুলোতে। গত ঈদ আগস্ট মাসে হওয়ায় চারদিকে তখন বর্ষার নতুন পানি। এখন এ পানিতে নেমে গোসল করতে ইচ্ছা না করলেও নৌকা ভ্রমন করতে নিশ্চয় কারো কোন সমস্যা নেই। প্রস্তাব করার সাথে সাথে বুড়ো থেকে বাচ্চা সবাই এক কথায় রাজি হয়ে গেল। শুধু বাকি রইল যাত্রা করার!
সা লি শ ।। সা গ র র হ মা ন
আতামিয়ার গাঢ়ের রগ ত্যাড়া। সে রগ ত্যাড়া গাঢ় আরেকটু ত্যাড়া করে বললো, আপনেগো সালিশ আমি মানি না।
মনা হিস্ হিস্ করে বললো, তুই এইসব কি কস্? তোর মরণের সাধ হইছে, নাহ্?
বদলে যাউ, বদলে দাউ!
ছিলো রুমাল, হয়ে গেলো একটা বেড়াল। ছিলেন লালমতি, হয়ে গেলেন হলুদমতি।
বন্ধু মোস্তাফিজ আমাকে আহমদ ছফার এই লেখার খোঁজ দিয়েছে। দুর্দান্ত লেখা! ছফা বঙ্গবন্ধুর শাসনামলের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেছেন। প্রত্যেকটি দিক নিয়ে মনে হয় আলাদা আলাদা লেখা দেয়া যাবে। এই মুহুর্তে আমার মনে ধরেছে নিচের অংশটুকু।
স্কুলে আমাদের এক সহপাঠী ছিল, নাম "আবু ওবায়দা মোঃ জাফর ইবনে সোলাইমান" অর্থাৎ- সোলাইমানের পুত্র, ওবায়দার পিতা, মোঃ জাফর। নামে কিছু আসে যায় না, এই সুনিদ্রিষ্ট বংশ পরিচয় সম্বলিত আরবী নামটিও ছিল খামাখা, কারন তার পিতার নামও সোলাইমান ছিল না, পুত্রের তখন কোন প্রশ্নই নাই। সবাই অবশ্য তাকে চাইনিজ জাফর নামে ডাকতো এবং সেটা যথার্থই ছিল, কারন তার চেহারায় মঙ্গোলীয় অবয়ব ছিল স্পষ্ট। আমাদের ছোটবেলায় যখন টেলিভিশনের আ
(ব্রেকিং নিউজ: জামাতের রক্ষাকর্তারা এখন চাঁদা উঠাইতাসেন। দাদা-দিদিমনিদের প্রতি উনাদের অপার ভালোবাসা!)
ফকির বানামু তোরে এরপর ভিক্ষাও দিমু
তবেই আমারে লোকে ক’বে বেশ দয়ালু অপার
ভিখারী বানানো হবে ইশারায় রাতের আড়ালে
ভিক্ষা দেয়ার কালে যাবতীয় মিডিয়া সজাগ
হাতের শঙ্খ খোল, কপালের লোহিত সিঁদুর
ঘরের আগুণে পুড়ে হবে আরো টকটকা লাল
একেএকে পোড়া হবে, মালাউন, সবক’টা বাড়ি
; যখন আমি ছোট ছিলাম, তখন সব কিছু সহজ লাগত। পাশের বাসায় যাওয়া মানে ছিল দুধভাত। আমাদের মাঝে অন্যরকম এক সৌহার্দের সম্পর্ক ছিল। বিকেলের আড্ডা থেকে শুরু করে কারও বাসায় মেহমান আসলে আমাদের উপস্থিতি, আমারা যেন সবাই আপন মানুষ ছিলাম। শুধু আমাদের পাশের বাসা নয়, আমাদের পাশের বাড়ি এবং তার সবগুলো পরিবার ছিল আমাদের চেনা জানা। আপন মানুষ। একবার আমাদের পাশের বাড়িতে তিন তলায়, এক ছোট্ট শিশু ঘরের ভেতর থেকে দরজার ছিটকি
প্রথমেই সতর্কতাবাণীর ঝামেলাটুকু সেরে নেই। এটি কোন বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা নয়। কেন নয়?
আমি ভাগ্যবান মানুষ; সবার এক্টা হ্যাপি বার্থডে থাকে, আমার ২টা আছে। ২য় জীবনের ১ম বার্থডেটা এখনও পালনের সময় আসে নাই। তো আমার বয়স হইলো একুনে সাত মাস। আমার পরিবার ও ২টা। সেই সচল বহুভাবে পাশে ছিলো, আছে।
আজকের দিনটা অন্যরকম ছিলো। দীর্ঘ একটা প্রতীক্ষার অবসানের আগের দিন। অনেকটা চৈত্র সংক্রান্তির মত। সূর্য ডুবে যাওয়ার পর মনটা উদাস হয়ে গ্যালো। ভাবলাম, হ্যাপেনিং ডে'র আগের রাত আজ, সামান্য ডাল-রুটি'র বদলে কয়েক পদের সামুদ্রিক মাছের কালিয়া; কবুতর বা হাঁসের কোর্মা; মটর পোলাউ কী নসিব হতে পারতো না (কী হাল, খাবারের নাম ও আজকাল মনে থাকেনা) ! আর পরে ভরপেটে একটা হাভানা সিগার! নসীবে বেনসন লাইট ও নাই