আমি নিজে মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে। ছোট বেলা থেকে মধ্যবিত্তদের নানান সমস্যার কথা শুনে শুনে বড় হয়েছি। ‘মিডল্ ক্লাস মেন্টালিটি’ নামের জনপ্রিয় একটা গালিই তো প্রচলিত আছে। সেই গালিটা অবশ্য আমরা মিডল্ ক্লাসরাই সবচেয়ে গম্ভীরভাবে নিজের আনন্দ ঢেকে রেখে আরেকজন মধ্যবিত্তের উপর সবচেয়ে বেশি ব্যাবহার করে থাকি। আমি নিজেই যে কতবার ভুরু কুঁচকে আরেকজনকে “মিডল্-ক্লাস-মেন্টালিটি” গালি দিয়ে মনে মনে হেসেছি তার হিসেব ন
কমিক স্ট্রিপ আঁকার অনেক সমস্যা। শুধু ছবি দিলে পুরোটাই নীড়পাতায় চলে আসে। তাই কিছু কথাবার্তাও দিলাম।
([i]এটি যতটি না লেখা তার চেয়ে বেশি হল এলোমেলো করে জট পাকানো চিন্তার সুতা। সে হিসেবে এটির জায়গা হওয়া উচিৎ ফেসবুক নোটে। সচলায়তন যেহেতু লেখকদের মঞ্চ এখানে কিছুটা কুণ্ঠাভরে দিচ্ছি। আমার মূল প্রশ্ন হল, বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিমন্ডলে কি আসলেই "আওয়ামী বিদ্বেষ" বলে অনন্য কোন অনুভূতি আছে?
প্রথমেই একটা ঘোষণা দিয়ে রাখি। আমি বিদেশি নই, ১০০% খাঁটি বাংলাদেশি। বছর তিনেক দেশ থেকে দূরে থাকার পর আবার এসেছি দেশে। দেশে আসার পর অনেক কিছু পরিবর্তন চোখে পড়েছে, সেটাকেই ৯৫% অভ্যস্ত, ৫% অনভ্যস্ত চোখে ধরার চেষ্টা করেছি। আজকে মূলত: ঢাকার সীমার মধ্যেই থাকব।এটা ব্লগর ব্লগর আর দিনপঞ্জি ক্যাটেগরির লেখা, সেভাবেই এটা ট্যাগান্বিত। সিরিয়াস বা গঠনমূলক কিছু এখানে পাবেন না।
আর, এখানে যে চিত্র তুলে ধরা হয়েছে সেটা আজকের ঢাকার সাথে নাও মিলতে পারে, এটা কয়েকদিনের অভিজ্ঞতার সারাংশ।
১। দেশের বাইরে কতদিন ছিলাম, অনুভূতির ওপর যে সেটার একটা প্রভাব আছে, তা এবারই প্রথম টের পেলাম। দেশ থেকে দূরে ছিলাম প্রায় সাড়ে তিন বছর। এর আগে অবশ্য বার কয়েক বিদেশ গিয়েছিলাম কয়েক দিনের জন্য। সেসব স্বল্প সময়ের বিচ্ছেদ আর ৩ বছরের বিচ্ছেদের পর ফিরে আসার মাঝে কতটা পার্থক্য সেটা প্লেন ঢাকার মাটি স্পর্শ করা মাত্রই স্পষ্ট ভাবে ধরা পড়ল, আগেরবার ফিরে এসে খুশি লাগছিল যে- যাক পরিচিত পরিবেশে ফিরে এলাম।। এবার ল্যান্ড করার পর প্রথমেই মনে হল জানালা দিয়ে আমি একটু মাটি দেখব, আমার বাংলাদেশের মাটি!
পাকিস্তানের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক রাখাটা কি জরুরী? (প্রথম পর্ব)
আগের পর্বে লিখেছিলাম পাকিস্তানের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক না রাখার যৌক্তিকতা সম্পর্কে। এই পর্বে আমরা দেখবো পাকিস্তান থেকে আমদানী না করে এবং পাকিস্তানী বিনিয়োগ (এফডিআই/জেভি) না নিয়েও আমরা নির্বিঘ্নে চলতে পারি কিনা।
৭ ডিসেম্বর, সময় সন্ধ্যা ৬টা।
স্থান মতিঝিল জীবন বীমা ভবন এলাকা।
তথাকথিত বিরোধীদলীয় জোটের ডাকা টানা 'অবরোধের' একটি দিন।
খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের বিরক্তি চরমে পৌঁছেছে। কাঁহাতক আর সহ্য হয় এইসব বেহুদা স্টান্টবাজি!
ডিসেম্বরের এই সময়টায় শ্রীমঙ্গলের চা-বাগানগুলোতে বড্ড শীতের প্রকোপ। শ্রীমঙ্গল থেকে শমসেরনগর যাবার পথে রাস্তার দু-ধারে সারি সারি চা-বাগান। শ্রীমঙ্গল থেকে শমসেরনগরের পথ ধরে কয়েক মাইল সামনে এগোলেই লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান। বড় রাস্তা থেকে ২০০ গজ ভেতরে ঢুকলেই আতিক সাহেবের বাংলো। আতিক সাহেব ফিনলের ডেপুটি ম্যানেজার, পরিবার ঢাকায় থাকে, তিনি বাগানের দেয়া বাংলোতেই থাকেন। পরিবারের সাথে দেখা করতে সপ্তাহান্তে ঢাকা