ক্লাসে ফার্স্ট হয়েও কখনো ফার্স্ট হবার মর্যাদা উপভোগ করতে পারিনি, নতুন বছরের শুরুতে নতুন ক্লাসের রোলকলে নিজের নাম শুনার জন্য ক্লাসের শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতো। বাবার সরকারী চাকুরীর সুবাদে বাংলাদেশের অনেক জায়গাতে থাকা হয়েছে, বছর বছর স্কুলও পাল্টে যেতো। তখন ক্লাস ফোরে পড়ি, উত্তরবঙ্গের কোন এক জেলায় থাকি। প্রতিদিন নিয়ম করে স্কুলে যেতাম, স্কুলের পাঠ শেষে ছয় বা আট ওভারের ক্রিকেট ম্যাচ খেলে বাসায় ফির
কাদের মোল্লার ফাঁসির মধ্য দিয়ে নাকি পাকিস্তানের পুরনো ক্ষতকে জাগিয়ে তোলা হয়েছে। এই কাদের মোল্লার নাকি অপরাধ ছিল সে অবিভক্ত পাকিস্তানের প্রতি অনুগত ছিল। আজ ৪২ বছর পর যদি তোদের এমন বধোদয় হয়ে থাকে তাহলে কেন এতগুলো বছর এই পিশাচগুলোকে এদেশে ফেলে রাখলি তোরা? নিয়ে যেতে পারলি না তোদের পাকিস্তানে। উপরন্তু আমাদের ক্ষতের উপর মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে রাজাকারকুলশিরমণি গোলাম আজমকেও পাঠিয়ে দিলি বাংলাদেশে। এখন তো সত্যিই জানতে ইচ্ছে করে এসবের মাঝে কি অন্য কোন মতলব লুকিয়ে ছিল?
লিখতে বসলাম। জানিনা কি লিখতে বসেছি। লিখতে ইচ্ছা করছে তাই লেখা শুরু করা। লেখা শুরু করাটাও আরেক ঝামেলা। কি দিয়ে শুরু করবো। শুরু করতে যেয়ে আর শুরু করা হচ্ছে না। যাই হোক, শুরু যখন হোলই শুরুই করি। কাদের মোল্লার চা খাওয়া দিয়েই শুরু করি।
ভোররাতে ঘুম ভেঙ্গে গেল নাসিমার। গলা শুকিয়ে কাঠ। দুঃস্বপ্ন দেখেছেন। পাশে মেয়েটা অঘোরে ঘুমুচ্ছে। ওকে ডাকতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত ডাকলেন না। কিন্তু খুব কথা বলতে ইচ্ছে করছে তার, বুকের ভেতরের পাথরটাকে নেড়ে চেড়ে গুমোট ভাবটা কাটাতে চাইছেন তিনি। চাদরটা গায়ে জড়িয়ে নিয়ে খাট থেকে নামতেই মেয়ে বিরক্ত গলায় বলল
-এত ভোরে উঠে পড়লে কেন মা?
-ইয়ে... সুমনকে একটা ফোন করবি, তিথি?
ভয়ে ভয়ে নাসিমা মেয়েকে বললেন কথাটা।
"খুব জ্বলে, তাই না?"
এবারতো আমরা শুধু চাই শান্তিমতো নিজের ঘরের ময়লা-আবর্জনা পরিস্কার করতে। ওগুলাকে ডাস্টবিনে নিয়ে মাটি চাপা দিয়ে রেখে আসতে পারলে অনেক আরাম লাগতো; কিন্তু ঐদিকে খুব দূর্গন্ধ, একটু দুরেও, ঘরেও অনেক কাজ; তাই আবর্জনাগুলো ঘরেই মাটি চাপা দিচ্ছি। এতেও ডাস্টবিনের পিত্তি জ্বলছে; চোখের পানিতে সমগ্র ডাস্টবিনজুড়ে বৃষ্টিপাত শুরু হয়ে গেছে!
আয় তো তোদের মুণ্ডুগুলো আয় দেখি ‘ফুটোস্কোপ’ দিয়ে,
দেখি কত ভেজালের মেকি আছে তোদের মগজের ঘিয়ে।
কোনখানে বেশি স্যামকাকুডর, কোনপাশে কম ভাজা কার
কোন বামে তোর তেল গ্যাস নাই, কোন ডানে চাটে রাজাকার
'বিজয়ের মাস বিজয়ী থাকুক বাংলাদেশে। বিজয় দিবস অমানুষের বিরুদ্ধে মানুষের বিজয়ের প্রতীক হোক সমগ্র বিশ্বে।
বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার মাইল দূরে থেকেও প্রতিটা মুহুর্তে বাংলাদেশে হৃদয় পেতে রেখেছে যে বন্ধু সেই বন্ধুর জন্য একটি সবুজ পতাকার ভালোবাসা। বাংলাদেশ তোমাকে ভোলেনি, যেমন তুমি ভোলোনি তোমার প্রিয় বাংলাদেশকে।
বঙ্গবন্ধুর একত্তরের ৭ মার্চের সেই ঐতিহাসিক ভাষণের পর থেকেই পূর্ব বাংলার মানুষ মনে মনে প্রস্তুতি নিচ্ছিল কোন একটি যুদ্ধের। যদিও তার প্রকৃতি ও প্রাবল্য সম্পর্কে সাধারন মানুষের কোন প্রকার ধারনা ছিলোনা। তবে তাদের মধ্যে মুক্তির আকাঙ্খা জাগ্রত হয়েছে প্রবলভাবে। ছাত্রনেতাদের এবং বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন বক্তৃতা থেকে বাংলার মানুষ 'মুক্তিযুদ্ধের চেতনা' হৃদয়ে ধারণ করেছে। এর রূপ সম্পর্কেও জেনেছে।
___________________________________________________________________
শীত ঋতুটা কি অন্যরকম, বছরের অন্য সময়ের চেয়ে?