Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

সববয়সী

রহস্যময় মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের বিতর্কিত তালিকা নিয়ে তিনটি পর্যবেক্ষণ

শেহাব এর ছবি
লিখেছেন শেহাব (তারিখ: শনি, ৩০/১১/২০১৩ - ৪:৫২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[প্রথমে একটি বিষয় পরিষ্কার করে নেয়া প্রয়োজন। এই লেখাটি গত ৫ই মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে উগ্র ধর্মব্যবসায়ী সংগঠন হেফাজতে ইসলামের সারাদিন ব্যাপী ভয়াবহ সন্ত্রাসী কার্যক্রমের প্রেক্ষাপটে রাতে চালানো আইন শৃংখলারক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানের একটি অনুষঙ্গ নিয়ে। এটি কিন্তু এই অভিযানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ নয়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল সেই অভিযানে নিহত প্রত্যেকটি ব্যক্তির মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধান করা এবং


প্রতিপক্ষ যখন মানুষ

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৮/১১/২০১৩ - ৩:৪৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১.
আমি নিরপেক্ষ মানুষ না। আওয়ামী লীগ দুর্নীতি বাটপারি করেছে বলে বিএনপিকে ভোট দিয়ে জামাতকে ক্ষমতায় আনবো না। বরং ভোটদানে বিরত থাকবো। কিন্তু জব্বার সাহেব দোদুল্যমান (তাঁর ভাষায় নিরপেক্ষ মানুষ)। গতবার নৌকায় ভোট দিলেও তিনি এবার বিএনপিকে ভোট দেবার নিয়ত করেছেন। টেক্সিতে যাচ্ছিলেন দোকানে। দোকানের কাছের মোড়ে এসে অবরোধের কবলে পড়ে হঠাৎ ছুঁড়ে দেয়া বোমায় টেক্সিসহ আপাদমস্তক ঝলসে যান তিনি। ঝলসানো শরীরে জব্বার সাহেব বুঝতে পারলেন যারা গণতন্ত্রের নামে আন্দোলন করছে, যারা তাঁর কাছে ভোট ভিক্ষা করবে কয়েকদিন পর, তারা আসলে তাঁর কথা ভাবছে না। তাদের চোখে অন্য স্বপ্ন, অন্য জিঘাংসা। তিনি বাধ্য হলেন তার ভোট দেবার নিয়ত বদলে ফেলতে।


দিব্যদৃষ্টি

শব্দ পথিক এর ছবি
লিখেছেন শব্দ পথিক [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৮/১১/২০১৩ - ৩:৫৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বার্নস এন্ড নোবলের কফি কর্নারে জানালার পাশে বসে বই পড়ছিলাম। সুজান কলিন্সের 'ক্যাচিং ফায়ার'। বইটা ২০১২ এর বেস্ট সেলার লিস্টে আছে, ইদানিং সবকিছুই কেমন জানি উল্টা-পাল্টা হয়ে যাচ্ছে। কন্টেন্ট না জেনে বেস্ট সেলার লিস্ট দেখে বই পড়ি এবং আইএমডিবি রেটিং দেখে দেখি মুভি। এমন সময় চোখ ফিরিয়ে তাকে দেখলাম।


আমাদের খেরোয়ালী ঋণ

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি
লিখেছেন আব্দুল্লাহ এ.এম. [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ২৭/১১/২০১৩ - ৭:৪৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কিছুদিন আগে চরম উদাসের লেখা একটি ব্লগে সহ ব্লগার সত্যপীর আলোচনা প্রসংগে একটা গুরুতর প্রশ্নের অবতারনা করেছিলেন- অজ পাড়াগাঁ বলতে কি ছাগলে ভর্তি গ্রাম বুঝায়, যেহেতু অজ অর্থ ছাগল? প্রশ্নটা কৌতুকবশে ছুঁড়ে দেয়া হলেও এটা নিয়ে কিঞ্চিৎ আলোড়িত হয়েছিলাম, আরে তাইতো! পাড়াগাঁ এর সাথে এরকম শব্দ সংশ্লেষের কারন কি? অভিধানগুলোতে "অজ" এর অর্থ এরকম- জন্মরহিত, ঈশ্বর, ছাগল, মেষ ইত্যাদি, যার কোনটির সাথে "অজ পাড়াগাঁ" ঠিক ম্যাচ করে না। সম্প্রতি হাতে আসা একটা বই থেকে জানলাম, অজ পাড়াগাঁর সাথে আসলে ছাগল কিংবা ঈশ্বরের সম্পর্ক নেই। কিছুদিন আগের আর এক বহুল আলোড়িত শব্দ "চুদুর বুদুর" এরও কিঞ্চিৎ দিশা পাওয়া গেল। সেই সংগে আরো অনেক শব্দের সংগে যেন নতুন করে আবার পরিচয় হলো।


গোল্লা হলো তীর্থস্থান, অশেষ উপকারী

ইয়াসির আরাফাত এর ছবি
লিখেছেন ইয়াসির আরাফাত [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ২৭/১১/২০১৩ - ৫:১৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গত উইকএন্ডে খুব ঘুরে বেড়িয়েছি, তার আগের সপ্তাহে বেশ কিছু কাজ জমিয়ে রেখেছিলাম। ফলে সোমবারে এসে দশ ঘণ্টা খেটে মরতে হলো। এই তিনদিন সংবাদপত্র দেখা হয় নি একেবারেই। আজ ভোরে ঘুম থেকে উঠে আধো জাগরণে ফেসবুকে ঢুকেই একটা ধাক্কা খেলাম। খবরে প্রকাশ, শাহজালাল বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডঃ মুহম্মদ জাফর ইকবাল পদত্যাগ করেছেন।


সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি
লিখেছেন সাক্ষী সত্যানন্দ [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ২৭/১১/২০১৩ - ১২:৪৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শ্রদ্ধেয় জাফর স্যার ও ইয়াসমীন ম্যাডাম কে ফেরার অনুরোধ করতে আসিনি। কোন মুখেই সেটা করার যোগ্য আমি নই। আমি আজ দুঃখিত নই, কেবলই লজ্জিত। আমাদের হাতে ফাইল নেই, আমাদের হাতে রাইফেল নেই, আমাদের হাতে আর্জেস গ্রেনেড কিংবা ককটেল নেই। আমাদের কাছে নেই পেপার স্প্রে কিংবা টিয়ার গ্যাস। শ্রদ্ধা মেশানো কিছু অকেজো ভালবাসা ছাড়া দেবার মত কিছুই নেই আমার কাছে। কবি নির্মলেন্দু গুণের কবিতায় পড়েছিলাম “হৃদয়ের মত ভয়ানক এক অস্ত্রের” কথা, সেটুকুই আজ সাথী আপনাদের। আপনি আমাদের চেতনার মেরুদণ্ড স্যার। আমরা আপনার মত আশা করতে চাই। আস্তে আস্তে হলেও মেরুদণ্ড সোজা করতে চাই। ভাল থাকুন স্যার, অনেক অনেক ভাল। এই শুভেচ্ছাটুকু ছাড়া দেবার যে কিছুই নেই এ নিঃস্ব হাতে।


উদ্ভট উটের পিঠে চলা আমরা এবং একজন জাফর ইকবাল

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী (তারিখ: বুধ, ২৭/১১/২০১৩ - ১২:৩৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

উদ্ভট উটের পিঠে চলেছে স্বদেশ – কবি শামসুর রহমানের এ কথাটা প্রায়ই সমালোচনার জন্য ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন আড্ডায়, আলোচনায়, টক শোতে দারুণ ব্যবহার হয় এই পদগুলো। কিন্তু আমরা কি আদৌ ভেবে দেখি ‘স্বদেশ’কে উঠের পিঠে চাপাচ্ছে কে? না, প্রসঙ্গের অবতারণা কোন কোন রাজনৈতিক দলকে সমালোচনা করার জন্য করি নি। নয় কোন বড় কর্পোরেট হাউজ, মিডিয়া হাউজ বা অন্য কোন সংগঠনকে আক্রমণ করার জন্য। কথাটা বললাম আমাদের সমালোচনার জন্য। আমাদের বলতে নিতান্তই নিরীহ সাধারণ আমজনতাকে বোঝাচ্ছি। ‘আমাদের’ বলতে তাদের বোঝাচ্ছি যারা পরিবর্তন বলে বলে চিৎকার করে গলা ফাটিয়ে ফেলে কিন্তু পরিবর্তনের জন্য এগিয়ে যায় না। পরিবর্তন যে এমনি এমনি হওয়া সম্ভব নয়, সেটা বুঝেও যারা না বোঝার ভান করে এবং সবচেয়ে ভয়াবহ হচ্ছে যদি পরিবর্তনের জন্য কেউ এগিয়ে যায়, তাকে পেছন থেকে ক্রমাগত টেনে ধরে রাখার চেষ্টা করে।


পিটিশন : আপনার আর রাষ্ট্রযন্ত্রের বিকল্প সংযোগ

শেহাব এর ছবি
লিখেছেন শেহাব (তারিখ: মঙ্গল, ২৬/১১/২০১৩ - ৫:২০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আগে চলেন ঝটপট আমরা জাতীয় সংসদের কার্যপ্রণালী বিধির ১০০ নম্বর ধারাটি পড়ে ফেলি। কার্যপ্রণালী বিধি বা রুলস অফ প্রসিডিউর আপনি পাবেন জাতীয় সংসদের ওয়েবসাইটে। স্ক্রল করে চলে যান ৩৫ নম্বর পৃষ্ঠায়। আমি নিচে স্ক্রিনশট দিয়ে দিচ্ছি।


উৎস-পৃথিবী(১)

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: মঙ্গল, ২৬/১১/২০১৩ - ২:১৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অদীনা চুপ করে জানালা দিয়ে বাইরের দিকে চেয়ে থাকে। একা, একা, বড্ড একা লাগে তার এইসময়গুলোতে। বাইরে রোদ-ঝকমকে নিঃশব্দ দুপুর। চেয়ে থাকতে থাকতে তার মনে পড়ে অনেক, অনেক আগের এমন সব দুপুরবেলা। মনে পড়ে সেইসব দুপুরের নানা শব্দ। দুপুরজাগা রোদ্দুরের মধ্যে মিশে থাকতো সেইসব প্রিয় শব্দমালা। "হরে-এ-এ- ক মাল পাঁচসিকা"র ফেরিওয়ালা, "শিল খোটাও" ওলা, টিনালোহাওলার শব্দ। আরো থাকতো নিঃশব্দ কাগজকুড়ানি মেয়ে, যার রুখু বাদামী


মাটির পিরামিডের দেশে

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ২৪/১১/২০১৩ - ১০:১১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১৯১১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জগৎবিখ্যাত মানসিক রোগচিকিৎসক এবং মনস্তাত্ত্বিক সিগমুন্ড ফ্রয়েড তাঁর বন্ধু এবং সহকর্মী কার্ল গুস্তাভকে চিঠি লিখল ‘…… আসছে গ্রীষ্মের ছুটিতে আমার প্রয়োজন এমন এক লোকালয় যেখানে একটু একা থাকতে পারব শুধু ধারেকাছে অরণ্য থাকলেই চলবে’।
আগস্ট মাসে বন্ধুকে আবার চিঠি লিখে ফ্রয়েড জানিয়ে দেয় ‘...... রেননের এই মনোমুগ্ধকর পরিবেশে আমরা চমৎকার আছি, নিষ্কর্মা হয়ে বসে থাকার অপার আনন্দ আমি নিজের মাঝে খুঁজে পেয়েছি’।