বইটা বহুদিন আগে বাংলাদেশের এক নামজাদা রবীন্দ্রগেঁড়ের বাসায় দেখেছিলাম। পাতা উলটে বুঝেছিলাম যে, রবীন্দ্রসঙ্গীত গায়নরীতির প্রায়োগিক দিকটি নিয়ে বইটা লেখা। কিন্তু সেই বিশিষ্ট রবীন্দ্রগেঁড়েটি বই ইত্যাদি ধার করলেও ধার দিতে চান না, দিলে যদি তাঁর চে’ বেশি শিখে ফেলে?
চেয়ে দেখি ছাতার মতন বড়ো পাতাটির নিচে ব’সে আছে
ভোরের দোয়েল পাখি—চারিদিকে চেয়ে দেখি পল্লবের স্তূপ
--জীবনানন্দ দাশ
(তোমার)
তোমার চেয়ে শত্রু বড়ো বিষন্নতা
তোমার চেয়ে শত্রু বড়ো ডায়েরি খাতা
তোমার চেয়ে স্বপ্ন স্মৃতি শত্রু বেশি
তোমার চেয়ে তোমার চুলই সর্বনাশী!
তোমার চেয়ে নীরব রাতই শক্তিশালী
অর্থবিহীন খামখেয়ালি খামখেয়ালি !
(আমার)
আমি অতি আলসে এবং ঘরকুনো
আমার চুলে ঘর ছাড়ে না উকুনও
আমার কিছু দুঃখ আছে, অ্যাতো সুক্ষ্ন যে
সন্ধ্যা হলে চা’য়ের কাপে সুখ খোঁজে
হরতালের চতুর্থ দিন। হাতে যা টুকটাক কাজ ছিল সেগুলোও গত তিনদিনে হয়ে গেছে। আজকে দুপুরবেলা তাই ফেসবুকে ঘুরতে ঘুরতে বাঘ ও হরিণ ছানা নামে একটা ভিডিওর লিঙ্ক দেখে খুলে দেখতে বসে গেলাম। প্রথমবার দেখে খুব মজা পেলাম। বাবা-মেয়ের যুগলবন্দী। বাবা খুব দরদ দিয়ে গানটা গেয়েছেন। আর এইটুকু বয়সের মেয়েও কম যায় না। নিজের গানের গলা আর এক্সপ্রেশন দিয়ে বাবার
রুটি-রুজির তাগিদে প্রায় প্রত্যেকদিন মোতালিব প্লাজা আর এর আশপাশের এলাকায় যাওন লাগে। আতকা মনে হইল এই এলাকার এত আসি, যেই রাস্তার খাড়ায়া চা-পান খাই তার নামটা কী? জিগাইলাম যাগো লগে কথা হয়, তো প্রায় বেবাক মানুষের উত্তর হইল রাস্তার আবার নাম কী? হাতিরপুল! কেউ কেউ কয় সোনারগাঁ রোড। কিন্তু একটা মানুষও পাইলামনা যে আমারে কইল বীরউত্তম সি আর দত্ত সড়ক!!
আমি রোবট টাইপের মানুষ। না পড়ে পরীক্ষা দিতে যেতে ভয় করে না কিংবা পরীক্ষার রেজাল্ট খারাপ হলে মন খারাপ লাগেনা। বয়ফ্রেন্ডের রোড একসিডেন্ট হলে উতলা লাগেনা। ক্রিকেট খেলায় আমার কোন প্রিয় দল নেই। রাজাকারদের ফাঁসি না হলে আমার কিছুই যায় আসে না।
অধ্যায় দুই: রাহুতলা
“তার মানে আপনি বলতে চাইছেন, আমাদের প্রজেক্টের কাজের জন্য এই গ্রামটিই বেস্ট?” টেবিলের অপর পাশে বসা মাঝারি গড়নের লোকটির দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করলেন রায়হান আবীর। লোকটি মাথা নাড়লেন। “যদিও আপনি ইতোমধ্যে আমাদের প্রজেক্ট কোঅর্ডিনেটরের কাছে ব্যাখ্যা করেছেন, কিন্তু আপনি কি আবারও আমাকে বলবেন কেন আমরা এই গ্রামটিকেই সিলেক্ট করবো?” রায়হান আবীরের প্রশ্ন শুনে লোকটি ব্যাগ থেকে তিন-চারটি মাঝারি আকৃতির ম্যাপ বের করে টেবিলে বিছিয়ে দিলেন।
“আমি জানতাম, আপনি বিস্তারিত জানতে চাইবেন। তাই কিছু ম্যাপ যোগাড় করেছি”- বলা শুরু করলেন ভদ্রলোক। নাম পাপন, পাপন রায়। “আসলে পত্রিকায় আপনাদের বিজ্ঞপ্তিটি দেখার পর যোগাযোগ করেছিলাম আপনাদের অফিসে। সেখান থেকে আপনাদের রিকোয়ারমেন্ট জেনে সে অনুযায়ী কয়েকটি স্থানের তালিকা তৈরি করি। তারপর প্রতিটি স্থানকে আলাদা আলাদাভাবে বিশ্লেষণ করে স্থানগুলোর একটা সিরিয়াল তৈরি করি এবং দেখতেই পাচ্ছেন এই গ্রামটি সিরিয়ালের সবার আগে। আমি মনে করি, অন্য স্থানগুলোর তুলনায় এটা নানা দিক দিয়েই এগিয়ে আছে”।
বাঙালি তুই ভীষণ পাজি, দাম দিলি না গোলাপির...
নিন্দা করলি স্বামীর নামে, বুঝলি না তার পোলা পীর!
কোপা শামসু খোঁপাটা তার, ভুরুটা কী মিহি রে--
লাইক দ্যাস নাই? তাইলে এবার করগা জবাবদিহি রে!
গোস্তনিটোল দোস্তরা তার আলবাঁদরের চরম টিম,
নরম সোহাগ না দিয়া তুই ঠাইসা দিলি গরম ডিম?
স্বগগে বসে কাঁদছে মেজর, সঙ্গে কাঁদে জানজুয়া,
ক্যামনে ভাবিস তুই গোলাপির এই যৌবন-মান জুয়া?
সকল যুদ্ধপরাধের বিচারই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমুলক, তবে প্রচলিত অর্থে নয় । স্বৈরশাসন, ধর্মান্ধতা, বর্নবাদের রাজনৈতিক আদর্শকে আস্তাকুড়ে ছুড়ে ফেলে নতুন আদর্শ গ্রহন করে নেয়ার অর্থে । যুদ্ধপরাধ/মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযুক্ত ব্যক্তিরা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই স্বৈরশাসক কিংবা কোন মৌলবাদী/বর্ণবাদী রাজনৈতিক আদর্শের অনুসারী । ভ্রষ্ট রাজনৈতিক আদর্শ বাস্তবায়নে জঘন্যতম কাজ করতেও তাদের বাধে না । তাদের পতনের সাথে সাথে পতন হয় তাদের রাজনৈতিক আদর্শেরও । ব্যক্তির সাথে সাথে বিচারের মুখোমুখি হয় ব্যক্তির রাজনৈতিক আদর্শও । আর তাই বিচার প্রক্রিয়াটাও হতে হয় দৃষ্টান্তমুলক ।
যাদের জন্ম কমপক্ষে আশির দশকের শুরুতে বা তারও আগে এবং গাঁয়ে--তাঁরা নিশ্চয় ‘ক্যাচর ম্যাচর’ শব্দের সাথে পরিচিত। এই শব্দটার উৎস দুটো বস্তুতে। একটা গরুর গাড়ির চাকায় আরেকটা ভাঁড়ার ঘরে রাজত্ব করা ঢেঁকিতে। পাঠক বলুন তো, ঢেঁকি কিংবা গরুর গাড়ির চাকা কী দিয়ে তৈরি?