বাসে উঠেই বারি সাহেবের মনে হলো বিরাট ভুল হয়ে গেছে। আগেরবারই মনে মনে তওবা করেছিলেন নতুন বড় বড় বাসগুলোতে উঠবেননা, এইগুলার ছাদ উঁচা, ধরে দাড়ানোর রডও উঁচা। মনে হয় বাসের মালিকদের ধারনা দেশের সব মানুষ একরাতেই ছয় ফুটি হয়ে গেছে!
দেশ সবেমাত্র স্বাধীন হয়েছে, চারদিকে দাঙ্গা তখনও থামেনি। এইতো সেদিন একটা ট্রেন কলকাতা যাবার পথে পুড়িয়ে দেয়া হলো কুষ্টিয়াতে। সবাই বললো এটা মুসলিম লীগের ছেলেপেলেদের কাজ, কিন্তু এটাতো মানুষেরই কাজ। এরই মাঝে একদিন ঘটা করে পাকিস্তানকে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ঘোষণা করা হলো। পুরো ভারতবর্ষে তখন স্বাধীনতা উল্লাসে মত্ত, দাঙ্গার দিকে ফিরে তাকানোর সময় সরকারের কোথায়?
ছবি তুলি আর এর বদৌলতে ঘুরাঘুরি করা হয়। পুরান ঢাকার রাস্তায় ছবি তুলে কাটছে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের বেশিরভাগ সময়। অনেক দিন ধরেই ভাবছি দেশের বাহিরে ছবি তুলতে যাব।অবশেষে অনেক দিনের জমানো কিছু সম্বল আর কিছু ধার করে গেল অক্টোবর এ পাড়ি দিলাম নেপালের পথ। এখানে থাকছে কাঠমান্ডু এ তোলা ছবি।ভক্তপুর আর পোখারাতে তোলা ছবি গুলো জমানো থাকলো অন্যকোন সময়ের জন্য।
ক্যাসেট শোনার দিনগুলো এখন ইতিহাস; ল্যান্ডফোনে ঘন্টার পর ঘন্টা কথা (এনডাব্লিউডি সহ) থেকে মোবাইলে অনেকক্ষণ কথাবলা আর এসএমএস এর সময়গুলো হুট করে চলে গিয়ে সেখানে ডেটাইউজ করা; গন্তব্যের জন্য হেটে ক্লান্ত হওয়া, রিকশায় উঠেই গন্তব্যকে পাওয়া আর তারপরে অনেক রাতে ঘরে ফিরে যাপিত ক্ষণগুলোর ফাস্ট রিক্যাপ; বড় হয়ে যাওয়া আর বড় হয়ে কেন বড় হলাম সে আফসোস কাটাতে নিজেকে অনেক ব্যস্ত করে তোলা, গ্রাউন্ডহগ ডে'র কনর সাহেব
আমার অফিসটা যে গলিতে তার নাম Chemin d’Entre Bois। ফ্রেঞ্চ ভাষায় ক অক্ষর গোমাংস আমি ভেবেছিলাম, চেমিন ডেন্ট্রে বইস। আমার যার কাছ থেকে দায়িত্ব বুঝে নেবার কথা, তাকে পেলাম পরদিন। জিজ্ঞেস করলাম, এই বিদ্ঘুটে নামের মানে কি?
“রাজনীতিবিদদের জন্য জটিল করে যাব রাজনীতি” বলে ছিলেন মেজর জিয়া। কিন্তু তা পূর্ন বাস্তবে পরিণত করে দেখিয়েছে এরশাদ। “মুক্তিযোদ্ধারা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান”। নীচে লেখা ছিল হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদ। এই ধরণের ব্যানারে সাজানো ছিল রাজধানী ঢাকার পথ-ঘাট। ঠিক একই সময়ে অনেক সময় এরশাদের ব্যানারের নীচেই ঝুলত; মেজর ফারুক- রশিদের ফ্রিডম পার্টির বক্তব্য; “ শেখ মুজিবকে হত্যা করে দেশ স্বাধীন করেছি ১৫ই আগস্ট ১৯৭৫।
পৌষ বা পৌষের কাছাকাছি কোনো সকাল। গ্রাম-বাংলার বধূরা বটি আর কাঁচা হলুদের ডাঁই নিয়ে বসে। সকালভর চলে হলুদ চেরার কাজ। হলুদ চিরতে হয়, চিরলে শুকায় তাড়াতাড়ি। না শুকালে গুঁড়ো হবে কী করে?
লেখক: ইস্ক্রা
আইন বিভাগ, সম্মান প্রথম বর্ষ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।
কৃতজ্ঞতা: সেলিম রেজা নিউটন, সুস্মিতা চক্রবর্তী, লোকমান কবীর, তানিয়া পারভীন, তাওসীফ হামীম, মাসুম সরকার ও ফেসবুকের সকল বন্ধুরা।
ছোট্ট একটা ছেলে - একটা ছড়া পড়ে তার মনের মধ্যে খুব কৌতূহল জাগলো। ছড়ায় একটা যন্ত্রের কথা লেখা, যে যন্ত্রটার কথা এর আগে কখনো পড়েনি বা শোনেনি ছেলেটি। বাসায় কয়েকটাই বিশ্বকোষ ছিল (তখন বাংলাদেশ ও বিশ্বের ডায়রী ইত্যাদি নামে বের হতো বিশ্বকোষগুলো)। সবকয়টি তন্ন তন্ন করে খুঁজেও যন্ত্রটার কথা কোথাও পেলো না ছেলেটি। তখন সে গিয়ে তার বড় ভাইকে জিজ্ঞেস করলো যন্ত্রটার কথা। ভাই শুনে তো হেসেই লুটোপুটি!