এই উপকথা পাঞ্জাবের শতদ্রু নদের তীরবর্তী ফিরোজপুর অঞ্চলের।
এক দেশে ছিল এক গরীব বৃদ্ধা। তিনকুলে তার কেউ কোত্থাও ছিল না। এর বাড়ী ওর বাড়ী ধান ভেনে, মুড়ি ভেজে, ফসল তোলার মরশুমে জমিতে ঝরে পড়া শস্যমঞ্জরী কুড়িয়ে বা কারুর বাড়ীতে প্রয়োজন থাকলে ঠিকা কাজ করে দিয়ে কোনোক্রমে তার দিন গুজরান হতো। কোনোদিন দু'বেলা দু'মুঠো জুটতো, কোনোদিন বা একবেলা আধপেটা।
[justify]মায়িশা তার সামনে বসা মানুষটার দিকে তাকাল।
লোকটা ফোনে কথা বলছে আর দাঁড়িতে হাত বুলাচ্ছে। লোকটার মুখভর্তি দাঁড়ি। মায়িশা দাঁড়িওয়ালা মানুষদের এমনিতেই পছন্দ করে না। তাদের ম্যাথ টিচার, দবিরউদ্দিন, ওই লোকটারও এরকম দাঁড়ি; অবশ্য খুবই কাটছাঁট করা। তার বন্ধুরা বলে, দবিরউদ্দিন চুলের থেকে দাঁড়ির পিছনে সময় বেশি খরচ করে।
[এই গল্পের যদি কোন ভাল দিক থেকে থাকে, তবে তা ষষ্ট পাণ্ডবের। তিনি একটা প্রবন্ধ লিখেছিলেন মুক্তিযুদ্ধ কী। আমি একে গল্প বানাতে চেষ্টা করেছি মাত্র। হয়নি বা কতটুকু হয়েছে বা হবে নির্ভর করছে আপনাদের মূল্যবান মতামতের উপর। আপনাদের যে কোন পরামর্শ, মতামত কাহিনীর গল্পে উত্তরণ সহায়ক হবে। আমাদের জাতীয় কোন বিষয় নিয়ে কিশোর কিশোরীদের উপযোগী কোন গল্প কবি
পঞ্জিকার হিসেব মত শরতকাল আসতে আরও তিন হপ্তা বাকি। বাগানে ঘাসের উপর শিশিরকণায় ভোরের আলোর বিচ্ছুরণ কিন্তু জানিয়ে দিচ্ছে কোথাও হিসেবে গোলমাল হচ্ছে, শরতকালটা বুঝি এবার চুপি চুপি বেশ আগেই এসে পড়ছে। আকাশে সাদা ধবধবে মেঘের খেলাও জমেছে বেশ আজকাল। বারান্দায় বসে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে দেখি কার্পাস তুলোর মত মেঘের দলের ছুটোছুটি নীল আকাশ জুড়ে।
[justify]৯৫ কি ৯৬ সালের কথা, মতিঝিলের কলোনীপাড়ায় বসবাস। আমাদের কলোনীতে গাছপালার অভাব ছিল না। আম, কাঁঠাল, নারকেল, চালতা, বড়ুই, জাম, খেজুর ছাড়াও সন্ধ্যামালতি, মেহেদি, কৃষ্ণচূড়া আরো কত কি! ভাবছেন, বিশাল এলাকা জুড়ে আমাদের কলোনী?
[justify] বয়স বাড়াতে পারলে খুশী হয় এমন মানুষ বোধহয় খুব একটা মেলেনা। আর মেয়েদের বয়স নিয়ে তো কথা বলাই যাবেনা, তবে আমার হয়েছে এক্কেবারে উল্টা। আঙ্গুলের কড়ে দিন তারিখ গুনে গুনে বয়স কত হল বলে দিতে পারি সোজাসাপ্টা। দেখতে ছোট লাগলে ও আমি মানুষটা যে বিশাল বড়, সেটাই বুঝিয়ে দেয়া আর কি!। দেশের লোকজন অবশ্য এখন ও দেখলে স্কুলের খুকী বলে চালিয়ে দিতে চায়। তবে অফিসের লুকজন জব করি জানি বলেই
তখন আমরা ক্লাস সেভেনে। সেইবার পুজোর ছুটি পড়ার আগে আগে একটা সাংস্কৃতিক সংস্থা থেকে ছাত্রীদের মধ্যে যারা ছবি ভালো আঁকে তাদের কাছে আঁকার প্রস্তাব এলো। সেগুলো থেকে নির্বাচিত ছবিগুলো প্রদর্শনীরও নাকি ব্যবস্থা হবে স্কুলে, পুজোর ছুটির সময়। দর্শকেরা সেই ছবি কিনতে চাইলে তাদের সেই ছবি বিক্রি করে শিল্পীকে সেই অর্থের তিন-চতুর্থাংশ দেওয়া হবে। আমাদের তো চক্ষু চড়কগাছ, এরকম আগে কখনো দেখিনি বা শুনিনি আমরা। ছবির বি