কাম্পোফনতানা(campofontana)এক পাহাড়ি জনপদ যেখানে একাধিক গুচ্ছগ্রাম(contrada)মিলিয়ে সর্বমোট ১১২ জন মানুষের বসবাস। পাহাড়ের ঢালে ৫/৬টি পরিবার নিয়ে গড়ে উঠে এক গুচ্ছগ্রাম। জীবিকার তাগিদে এই পরিবারগুলি বংশ পরস্পরায় করে আসছে পশুপালন আর কৃষিকাজ। আদিম এই পেশায় নেই কোনও ধরাবাঁধা ঘণ্টাসূচী, শহুরে মানুষদের মতন উইকএন্ডের সকালে লেপমুড়ি দিয়ে বিছানায় একটু আড়মোড়া দেয়ার অবকাশ নেই কাম্পোফনতানাবাসির। দুধ ধোয়াতে উঠতে হবে বছরের প্রতিটি দিন ভোরের আলো না ফুটতেই।
লাল চুলের একজন জার্মান ছাত্রী তার বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়া তে ঢুকল হন্তদন্ত হয়ে। কাউন্টার থেকে মেন্যু পছন্দ করে বিল চুকিয়ে গিয়ে একটি টেবিলে বসল সে। খাওয়া শুরু করতে গিয়ে তার খেয়াল হল যে সে কাটা চামচ আনতে ভুলে গিয়েছে। অগত্যা তাকে উঠতে হল কাটা চামচ নেয়ার জন্য। “আমার কাটা চামচ টা প্লিজ”-কাউন্টারে গিয়ে হাসি মুখে বলল সে। কাউন্টারে থাকা লোকটিও তাকে হাসি ফিরিয়ে দিয়ে কাটা চামচ দিয়ে দিল।
মোটামুটি বলা যায় দুই নিঃশ্বাসে পড়ে শেষ করলাম জর্জ ওরওয়েলের এনিমেল ফার্ম বইখানা। এক কথায় অসাধারণ। মাত্র একশ পাতা। অর্থাৎ অফিস যাওয়া আসার পথে এক এক দুই ঘন্টার জ্যামকে আনন্দদায়ক করার জন্য যথেষ্ঠ। বইটি ব্রিটিশ কৃষক জোনসের 'ম্যানর ফার্ম' এর পশুপাখিদের জীবনের গল্প। এদের মাঝে
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতাসংগঠক বেলাল মোহাম্মদ চলে গেলেন! একাত্তরে আমাদের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধের নয়টি মাস এই বেতার কেন্দ্রটি বাঙালির স্বপ্নের বাতিঘর হিশেবে উদ্দীপনার দীপ্ত মশালটি প্রজ্জ্বলিত রেখেছিলো। আক্রান্ত ও অবরুদ্ধ বাঙালি কী বিপুল আগ্রহ নিয়ে এই বেতার কেন্দ্রের অনুষ্ঠান শুনেছে!
পার্সিফোনি ছিল এক ফুটফুটে সুন্দরী মেয়ে। সে ছিল শস্যের দেবী দিমিত্রার মেয়ে। দিমিত্রা(Demeter) ছিলেন করুণাময়ী দেবী,তাঁরই করুণায় পৃথিবীর মাঠে মাঠে শস্য ফলতো, গাছে গাছে ফুল ফুটতো আর ফল ধরতো। পৃথিবীর মানুষেরা তাঁকে ভক্তিভরে পূজা দিতো, নৈবেদ্য দিতো।
শেষ ট্রেকিং এ গিয়েছিলাম বছর দুয়েক আগে, সান্দাকফু, নেপাল-ইন্ডিয়ার বর্ডারে, পশ্চিম বঙ্গের সর্বোচ্চ চূড়া। সচলে লেখাও দিয়েছিলাম দু পর্ব। কিন্তু আলসেমি আর মেরুদন্ডের স্পন্ডালাইসিস রোগে আর লেখা হয়ে উঠেনি। এর পর বেশ কবারই হিমালয়ে যাওয়া হয়েছে কিন্তু ট্রেকিং করে নয়, পরিবার নিয়ে সাইট সিয়িং ধরনের। নিরাপদ দুরত্বে দাঁড়িয়ে পর্বতের দিকে তাকিয়ে আহা উহু করা। তাই অনেকদিন ধরেই প্ল্যান করছিলাম আরেকটি ট্রেকিংয়ের। ইচ্ছ
এই বিষাক্ত জিনিসটা আমাকে আর ছাড়ল না, নাকি আমি একে ছাড়তে পারছি না? ৯/১০ বছর বয়সে হাতেখড়ি। ১৯৯০-১৯৯১'র সময়, তখন একে জানতাম বিড়ি নামে। আমাদের এলাকায় তখন নেত্রকোণার বিনোদ বিড়ির খুবই প্রচলন। দুই টাকার এক বান্ডেল বিড়ি (বিড়ির প্যাকেটটা দেখতে গোলাকার হওয়ার জন্যই মনে হয় সবাই প্যাকেটের পরিবর্তে বান্ডেল বলত), এক বান্ডেলে ২৫ কাঠি বিড়ি। একটাকায় ১২ কাঠি বিড়ি। সেই সময়ে এক টাকা ছিল আমার দিনের হাত খরচ। যে সময় থেকে বিড়ি খাওয়া শুরু করলাম, তখন টাকাটা পেলেই প্রথমে ২৫ পয়সার বিড়ি (৩ কাঠি) কিনতাম। বাকি ৭৫ পয়সা স্কুলে খরচ করতাম। বিড়ি খাওয়ার যায়গাটা ছিল আমার কাছে খুবই আকর্ষনীয়, আমাদের বাসার সামনেই। আমাদের বাসার সামনের দিকে এক মিনিট হেটে গেলেই একটা দো'তলা বিল্ডিং, সেই বিল্ডিং'র পাশে একটা বেশ বড় টিনের গুদাম ঘর, মাঝখানে একজন মানুষ হেটে যাওয়ার মতন যায়গা। এই ফাঁকা যায়গাটার একপাশের মুখ টিন দিয়ে আটকানো ছিল বলে বেশ অন্ধকার ছিল। কোনমতে একবার ঢুকে গেলে কেউ দেখে ফেলার কোন ভয় নাই।
[url=http://www.youtube.com/watch?v=xDwgA0Fb_ds] Do you ever ask yourself / Is there a Heaven in the sky/ Why can't we stop the fight?/ “cause we all live under the same sun/ We all walk under the same moon/