ডেমোক্রেট প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন। আমেরিকার ইতিহাসে অন্যতম সফল প্রেসিডেন্ট। ক্লিনটন এ্যডমিনিস্ট্রেশনের সময় আমেরিকা অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছিল। আমেরিকার ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে একটানা অর্থনৈতিক উন্নয়ন, ২২ মিলিয়ন নতুন কর্মসংস্থান যা কিনা কোন একক রাষ্ট্রপতির আমলে সর্বোচ্চ, সর্ব কালের সর্বোচ্চ বাড়ী বিক্রয় হার, আমেরিকার ইতিহাসের সর্বনিম্ন বেকারত্বের হার, শিক্ষা ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নতি সহ আরো ডজন ডজন সাফল্য গাঁথা ছিল ক্লিনটন এ্যডমিনিস্ট্রেশনের। কিন্তু তারপরও ক্লিনটনের পর কোন ডেমোক্রেট প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে আসতে পারেনি। ক্লিনটনের স্থলাভিষিক্ত হলেন রিপাবলিকান জর্জ বুশ (জুনিয়র)/ এই জুনিয়র বুশের আট বছরে আমেরিকা কোথা থেকে কোথায় গেছে তা নিয়ে নতুন করে কিছু বলতে চাই না। কিন্তু আমার সবচাইতে অবাক লাগত এই ভেবে যে কিভাবে আমেরিকার মানুষ ক্লিনটনের উত্তরসূরি হিসাবে বুশ কে নির্বাচিত করল?
গত ২৩ জুলাই মঙ্গলবারে মার্কিন রাষ্ট্রদুত ড্যান মজিনার বাসায় ইফতার পার্টি ছিল। সেখানে এক টেবিলে বসেছিলেন সৈয়দ আশরাফ, এইচ এম এরশাদ, ক্যাপ্টেন এবি তাজুল ইসলাম, মওদুদ আহমদ। পাশের টেবিলের কোনোটিতে ছিলেন মোহাম্মদ নাসিম, মঈন খান, অধ্যাপক আবদুল মান্নান, আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। সুশীল সমাজ, সিনিয়র সাংবাদিকরাও উপস্থিত ছিলেন।
মিথলজি শব্দটির আকর্ষন যেনো অনতিক্রম্য। ছোট থেকে বড়, বাচ্চা থেকে বয়স্ক সবার মধ্যেই মিথলজির প্রতি এক দুর্নিবার আকর্ষন আছে। মিথলজি মানে কি?
ভ্রমণকাহিনী আর কাহিনীলেখক দুইটাই আমি খুবই অপছন্দ করি। কারণ আর কিছুই নাঃ আদি অকৃত্রিম ঈর্ষা। এইযে তারেক অণুর জন্য শতকরা ৯৯ ভাগ পাঠক হীনমন্যতায় ভুগি সেইটা কি কোন ভালো জিনিস? ভ্রমণের ব্লগগুলো আমি চটজলদি চোখ বুলাই, ছবি দেখে মনে মনে ভাবি আমিও যাবো। বেশিরভাগ সময় আমি হিংসায় পড়ে শেষ করতে পারি না। তাহলে আমি কেন ভ্রমণকাহিনী লিখছি? আবার কেন, প্রতিশোধের আশায়। জীবনে বহু সময় সচলায়তনে পার করেছি, করতেছি। সেইসব সময়ের দাম আছে না? এই লেখা পড়ার জন্য মডুদের সময় নষ্ট হবে। লেখা ছাপানোর যোগ্য হলে কথাই নেই! শিরোনাম পড়তে গড়ে তিরিশ সেকেন্ড লাগলেও হাজার লক্ষ পাঠকের সময়ের হিসাব করেই কেমন জানি দাঁতগুলো আপনিই বিকশিত হয়ে যাচ্ছে।
গমনপথ সংক্রান্ত
শীর্ষেন্দুর উপন্যাস 'গয়নার বাক্স'। সেই গল্প নিয়ে সম্প্রতি সিনেমা বানিয়েছেন অপর্ণা সেন।
মূলত একটি গয়নার বাক্সকে কেন্দ্র করে গল্প। অদ্ভুতুরে গল্প।
সেই গল্প নিয়ে, সাম্প্রতিক সিনেমায় ভূতের আছড় নিয়ে, শিল্পী নির্বাচন নিয়ে, অভিনয় নিয়ে, সিনেমার নির্মাণ নিয়ে এবং আরো অনেক অনেক প্রসঙ্গ নিয়েই আলাপ করা যেতো, নাহয় বলা যেতো চারটে ভালো আর দু'টো মন্দ কথা। সিনেমাটা ভালো মন্দ মিলিয়ে আগাচ্ছিলো বেশ।
বেশ ভালই দিন চলে যাচ্ছিল। সকালে ঘুম থেকে উঠে বাবাকে নিয়ে বাজারে যাই, বাবাকে চায়ের দোকানে বসায় রেখে আমার ঘুরাঘুরি শুরু হয়ে যায়। ৩০/৪০ মিনিট পর পর এসে দেখে যাই বাবা অন্য কোথাও যাবে কি না অথবা কোন কিছু লাগবে কি না?
দিনে আমরা কতটুকু সময় বই পড়ার পেছনে দিই?
অথবা, সপ্তাহে একটা বইয়ের কতটুকু পড়ি? কিংবা, মাসে ক'টা বই পড়ি? বছরে?
ক’দিন ধরেই পাখিকে মনে পড়ছে খুব। পাখি। মিষ্টি একটা মেয়ে। আমাদের ওয়ারির বাড়িতে ভাড়াটে ছিলো। ওর মা আমাদের চলচ্চিত্রের একজন অভিনেত্রী ছিলেন। খুব রূপসী মহিলা। ধবধবে ফর্সা। হাস্যোজ্জ্বল চেহারা। কথা বলেন বরিশাইল্যা একসেন্টে। আমাকে খুবই পছন্দ করতেন তিনি। আদর করে আমাকে সম্বোধন করতেন—‘জামাই’।