জেমস রেনেল, বাংলার গ্রহনযোগ্য একটি মানচিত্র তিনিই প্রথম অঙ্কন করেন
[justify]
ইদানিং মনে হচ্ছে যেন চারিদিকে আত্মহননের মচ্ছব লেগেছে। বেশ কদিন ধরেই পত্র-পত্রিকায় দেখছি, এখানে সেখানে আত্মহত্যার খবর। একি সুখে থাকতে ভুতের কিল, নাকি ভুতের কিল অসহনীয় হওয়ায় এই পন্থা অবলম্বন !
হাতে আজো রক্ত লেগে আছে
এই হাতে, আঙুলের সমষ্টিতে
আমি তাকে শ্বাস রোধ করে মেরেছি যৌবনে
বেহালা বেচেছি - বোনের কলেজে ভর্তি
বউয়ের বালা বেচেছি - বাসা ভাড়া তিন মাস বাকি
থিয়েটার স্কুলে আর যাইনি - চাকরিটাই দরকারি ছিলো বেশি
এক মধ্যরাতে
চারফর্মার লিটল ম্যাগাজিনটাকেও
গলাটিপে হত্যা করলাম - ‘জলছবি’ তার নাম ছিলো
এসব মৃত্যুর মিছিলের ছায়ায় পেয়েছি পূনর্জন্ম এক
এ জীবন আসন পেতেছে সূর্যশিখরে
[আম্মুটা পঁচা। এক্কেবারে পঁচা। কিচ্ছু বোঝে না। কালকে আমি লিখছি আম্মু আমার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। বলল- কী করিস? আমি বললাম- লিখি। আম্মু বলল- কী লিখিস? আমি বললাম- খাতা লিখি। এরপর আম্মু বলল দেখি তো! এরপর আম্মু খাতা হাতে নিল আর চোখ বড় বড় করল। আম্মু যখন ভয় পায় তখন চোখ বড় বড় হয়। আম্মু বলল লেখা কই? আমি বললাম খাতায়। আম্মু বলল কই? আম্মু লেখাও চেনে না! আবার আমাকে শেখায়- আ তে আকাশ। আমি খাতা খুলে দেখিয়ে দিলাম- এত এত লেখা। আম্মু বলল- তুই তো দেখি শুধু অ আ লিখেছিস। দুই- পাতা। আমি বললাম- এটা লেখা তো। অ আ না তো। আম্মু বলল কোথায় লেখা সব অ আ। আম্মু পড়তে পারে না। আমার খাতায় সব লেখা। সবার কথা লেখা। নানার কথা লেখা। আব্বুর কথা লেখা। খালামনির কথা লেখা। নানুর কথা লেখা। আম্মু পড়তে পারে না। আম্মু শুধু অ আ পড়তে পারে। আম্মু পঁচা। আম্মুর কথা আর লিখব না। আম্মু কিচ্ছু বোঝে না। ]
ছেলেটা আমাদের স্কুলে ক্লাস সিক্সের ফার্স্ট টার্ম পরীক্ষার ঠিক এক সপ্তাহ আগে ভর্তি হয়েছিল। ইংরেজীর ক্লাস চলছিল, রঞ্জন স্যার ক্লাস নিচ্ছিলেন। রবিন আর ঝন্টু বেঞ্চের উপর একে অন্যের কান ধরে দাঁড়িয়ে ছিল, আর মাথা নীচু করে কুটকুট করে হাসছিলো। আর আমরা হাসছিলাম ডেস্কের তলায় মুখ গুজে। স্যার একখানা রামধমক দিবেন এমন সময় হেডস্যার একটা ছেলেকে নিয়ে ক্লাসে ঢুকলেন। ঢুকেই রবিন আর ঝন্টুর দিকে তাঁর বিখ্যাত ভ্রু উলটানো হাসি দিয়ে একটু দেখলেন। রঞ্জন স্যার গদ্গদ মুখে এগিয়ে আসলে হেডস্যার আমাদের দিকে তাকিয়ে বললেন,
শূন্য প্রাসাদে সাইকি এদিকে চায় ওদিকে চায়, যতদূর চোখ যায় চেয়ে চেয়ে দ্যাখে। না, নেই নেই কিউপিড নেই কোনোখানে। সে আসবে না। মনকে শক্ত করে সাইকিও বেরিয়ে পড়ে প্রাসাদ ছেড়ে। বাকী জীবনটা সে হারানো স্বামীকেই খুঁজবে। তাছাড়া তার জীবনের আর প্রয়োজন কী?
মুখবন্ধ