এই পোস্টের বিষয়বস্তু "হায়েনা"।
বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবরের শিরোনাম এবং চুম্বক অংশে বলা হচ্ছে, "ফেসবুক স্ট্যাটাসে প্রধানমন্ত্রীকে ‘হায়েনা’ ডাকায় বুয়েটের প্রভাষককে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।"
এটুকু পড়ে আওয়ামী-/হাসিনা-বিদ্বেষীদের ক্ষিপ্ত হওয়ার কারণ আছে, বুয়েটের ছাত্র-শিক্ষকদেরও ক্ষিপ্ত হওয়ার কারণ আছে। এই ক্রোধের সাথে সহমর্মিতা রেখেই মুদ্রার অপর পিঠের দিকে তাকানোর অনুরোধ করছি। প্রথমে এ-পিঠ দেখি।
১।
ট্রেনটা আস্তে আস্তে গতি কমিয়ে আনছে, দরজার কাছেই দাঁড়িয়ে ছিলো নীলা। কাঁধের ব্যাগটা কাঁধেই ঝোলানো আর পাশেই চাকা লাগানো ট্রাভেল ব্যাগ। এখানে ট্রেন বেশীক্ষণ থামে না, নীলা জেনেছে আসার আগেই। এখন ট্রেনটা থামতেই লাফ দিয়ে নেমে ককিয়ে উঠলো নীলা। পেটের সেই ব্যথাটা। ধুত্তেরি ছাই, মনেও থাকে না।
এ্যমনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সাবেক প্রধান বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত আইরিন খান। শাহবাগের আন্দোলন ও যুদ্ধাপরাধের বিচারের ব্যাপারে এ্যমনেস্টি ইন্টারন্যানশনালের মনোভাব বিষয়ে ইন্টারনেটে একটু খোঁজাখুঁজি করছিলাম দিন কয়েক আগে। এই সুত্রেই জানতে পারলাম যে ২০০৯ এর শেষে আইরিন খান কে এ্যমনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের প্রধানের পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে প্রায় ৫ মিলিয়ন ডলার অতিরিক্ত অর্থ দিয়ে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ টি ছিল গোয়ান্টানা মোবে তে যেসব মুসলিম বন্দী ছিল তাদের উপর অত্যাচারের ব্যাপারটি অতিরিক্ত একপেশে ভাবে বিশ্বের সামনে আনা যেখানে ওই টেরোরিস্ট বন্দীরা যে কি পরিমান নাশকতা ও নৃশংসতা ঘটিয়েছে সে বিষয়টি এ্যমনেস্টি অতটা সামনে আনেনি। অর্থাৎ আইরিন খান গোয়ান্টানা মোবে তে আটক থাকা বন্দীদের মানবাধিকার রক্ষায় যে পরিমান সোচ্চার ছিলেন তার কিয়দাংশও ছিলেন না ওই বন্দীরা যে সব মানবতা বিরোধী কাজ করেছে সেগুলোর প্রতিকার করা বা অন্তত সেগুলোকে বিশ্বের কাছে জানানোর ব্যাপারে। এই অভিযোগে আইরিন খান কে সরাসরি অভিযুক্ত করা না হলেও জঙ্গীবাদের উত্থান ও বিস্তারের প্রতি নমনীয় মনোভাবাপন্ন বলে মন্তব্য করে তাকে সরে যেতে বলা হয়। মনে করা হচ্ছিল যে জঙ্গীবাদের জন্যে "অতি" মানবতা দেখানো আইরিন খান সরে গেলে জঙ্গীবাদ নিয়ন্ত্রন সহজ হবে। আইরিন খান সরতে রাজি না থাকায় তাঁকে বিপুল অর্থের প্রস্তাব দেয়া হয় এবং আইরিন খান তাঁর বার্ষিক বেতনের চাইতে প্রায় পাঁচ গুন বেশী অর্থ নিয়ে নীরবে রফা করে সরে যান। এই বিপুল পরিমান অর্থ কেন আইরিন খান কে দেয়া হল এ নিয়ে এ্যমনেস্টির নিজেদের কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ দেখা দেয়ার প্রেক্ষিতে বর্তমান প্রধান বলেন যে যেহেতু আইরিনের ভুমিকা প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছিল তাই অর্থের বিনিময়ে তাকে সরে যেতে বলা ছিল একটি আপোষ এবং একে "Least Worst Outcome" উল্ল্যেখ করে বলেন এব্যাপারে যেন এ্যমনেস্টি বা আইরিন কোন পক্ষই আর কথা না বলে তার জন্যেই এব্যাবস্থা।
সৈয়দ আবুল মকসুদ, স্বনামধন্য গবেষক, প্রাবন্ধিক ও কলাম লেখক। ইদানিং প্রথম আলোয় নিয়মিত কলাম লেখেন, তার স্যাটায়ার ধর্মী লেখাগুলো সত্যিই সুপাঠ্য। কিন্তু আজকের (২৬-০৬-২০১৩) প্রথম আলোয় এক লেখায় তিনি কতিপয় মহিলা সাংসদের কুরুচিপূর্ণ ভাষা ব্যাবহার নিয়ে লিখতে গিয়ে আবহমান বাংলার নারীর কোমল মাতৃরূপের সাথে তুলনা করে বাংলার মায়েদের চূড়ান্ত অপমান করেছেন। অশোভনতা পুরুষ বা নারীর একক কোনো ব্যাপার নয়, কিন
তখন গভীর রাত -
মহাসড়কের সাদা দাগ টানা কালো অন্ধকার পথ;
কুয়াশা কুন্ডলী পাকায়ে দুর্ভেদ্য দেয়াল তুলে রেখেছে সারা উত্তর-বঙ্গে;
গাড়ি আর চলছে না।
আমরা কিছুটা পথ যাই, কিছুটা দাঁড়াই, চা-পানি খাই, সিগারেট ফুঁকি
আমরা ভাবতে থাকি, প্রকৃতির এ কী খেলা!
এত শীত, কুয়াশার এ্ত প্রতিরোধ কখনো দেখিনি!
সিগারেটের টুকরো পায়ের তলায় পিষতে পিষতে ভাবি -
বিশ্ব পরিবেশ সম্মেলনে এবারের থিম,
শুনেছিলাম সেই সে কবে, রাষ্ট্র নাকি লড়বে,
আঙ্গুলেতে জয় দেখানো কাদের বোধহয় মরবে
কদিন ব্যাপক উথাল পাথাল সবই এখন ঠান্ডা।
আম জনতার মাথায় কেবল সদাই পিটছে ডান্ডা।।
একাকী নদীটির ধারা আলোর সীমা ছাড়িয়ে সন্ধ্যার দিকে চলে গেছে চুপচাপ। গভীর, নীল, নির্জন স্রোত। আধা ঘুম, আধো জাগা সেই ধারা বয়ে চলেছে নিজেরই নীলাভ সবুজ স্বপ্নের ভিতর দিয়ে।
দিনের বেলা বাবা অফিস থেকে ফিরে, মধ্যাহ্নভোজন সেরে শেষ দুপুরে একটু ঘুমুতেন। ওই সময়টা ওনার শোবার ঘরে আমাদের যাওয়া ছিলো বারণ। একেবারে কারফিউ জারি থাকতো সেসময়টা।
সমালোচনা প্রসঙ্গে অনেকে অনেক কথা বলে গেছেন। তবে মোক্ষম কথাটি বলেছেন জীবনানন্দ দাশ, ‘সমারূঢ়’ কবিতায়। সমালোচককে কবিতা লেখার আহবান তো জানিয়েছেন-ই সাথে তাকে ‘অধ্যাপক, দাঁত নেই- চোখে তার অক্ষম পিঁচুটি’ ইত্যাদি বলে গালমন্দও করেছেন। জীবনানন্দের যে স্বভাব তাতে এরকম বলাটা কেমন বেমানান লাগে যেন! তবে তিনি সমালোচকদের এরকম বলতে বাধ্যই হয়েছিলেন।