।।১।।
আমি জ্ঞান-গর্ভ কোন কিছু লিখতে পারি না। প্রথম এবং প্রধানতম কারণ হচ্ছে জ্ঞানের অভাব। তবে এই অভাব থাকলেই যে জ্ঞান সমৃদ্ধ কিছু লেখা যাবে না – সেটা মনে হয় সত্য নয়। পত্র-পত্রিকা বা ব্লগে যেই সব লেখা মাঝে মাঝে পড়ি তাতে মনে হয় জ্ঞান-গর্ভ লেখার পূর্ব শর্ত হিসাবে গর্ভে জ্ঞান থাকতে হবে এই রকম কোন সাংবিধানিক বাধ্যবাধ্যকতা নেই।
অনলাইন জুড়ে ১১ বছরের শিশুকে ধর্ষন আর ধর্মান্তরকরনের খবরে তোলপাড়...
যারা এখনো মুখ দিয়ে সমানে মেয়েদের বেপর্দা থাকাকে ধর্ষনের পরোক্ষ কারন বলে দাবি করতেছেন, তাদেরকে দূর্বা জাহানের একটা স্টেটাসের কিছু অংশ ডেডিকেট করলামঃ
"তোমার কয়েকইঞ্চি যন্ত্রের কোন দোষ নাই?সব দোষ আমার উচুনিচু শরীরের?
প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মৃত্যু দিবসে ৭১ টিভির একাত্তর মঞ্চের আলোচনা অনুষ্ঠানে মেজর জিয়াউদ্দিন (কর্নেল তাহেরের সাথে যার ফাঁসির আদেশ হয়েছিল কিন্তু পরে অবস্থার প্রেক্ষিতে তাঁর ফাঁসি রদ করা হয়) নামে একজন প্রাক্তন সেনা সদস্য এসেছিলেন। উনি বলছিলেন যে "শেখ মুজিব কে সেনাবাহিনীর কিছু সদস্য মেরেছে তাঁর ব্যর্থতার জন্যে না, তাঁকে পছন্দ করত না সে জন্যে। সেনা বাহিনী স্যান্ডেল পড়া রাজনীতিবিদ দের কে অবজ্ঞার চোখে দেখত। রাজনীতিবিদরা এলাকার ছাপড়া চায়ের স্টলে চা খান...স্যান্ডেল পায়ে ধুলা মাখা পায়ে হেটে হেটে পাড়ার সবার সাথে হাত মেলান...এদেরকে সেনাবাহিনী তাচ্ছিল্যের চোখে দেখত।" কথা গুলো ভুলতে পারলাম না...কেমন যেন মনে গেঁথে গেল...মাথায় ঘুরতে থাকল। আবার ভারত পাকিস্তানের ইতিহাস টা মনে করার চেষ্টা করলাম............যা ভেবেছিলাম তাই। খাপে খাপে মিলে গেল। ৭১ পরবর্তী সময়ে সেনাবাহিনীতে যারা ছিল তারা কখনই সিভিল গভর্নমেন্টের অধীণে ছিল না। ১৯৫৮ সালে আইয়ুব খান খমতা দখলের পর থেকে ৭১ পর্যন্ত পুরটা সময়েই ছিল সামরিক শাসন। আর্মিরা উর্দি আর ভারী বুট পরা রাষ্ট্রপ্রধান দেখে ও তার অধীনতায় থেকে অভ্যস্ত। সাধারন সুতী কাপড়ের পাঞ্জাবী আর স্যান্ডেল পরা আটপৌড়ে এক নেতাকে সামরিক বাহিনীর সর্বাধিনায়কের উপর ওইসব তরুন আর্মি অফিসারদের নাখোশ থাকাটা তাই অস্বাভাবিক না। পাকিস্তান ফেরত একদল সেনাবাহিনী তাই শুরু থেকেই শেখ মুজিব সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষিপ্ত ছিল। সেই ক্ষোভ কে কাজে লাগিয়ে ফায়দা লুটেছে কয়েকজন আর্মি অফিসার এবং নিজেদের আক্রোশ থেকে করা মুজিব পরিবার নিধন কে শেখ মুজিবের ব্যর্থতার ফলাফল বলে চালিয়েছে দিয়েছে। আসলে তারা আবার আর্মি শাসনই বহাল করতে চেয়েছিল।
কিছু কিছু দিন যায় বেশ ক্লান্তিকর, কিন্তু কোন একটা কারণে ইন্টারেস্টিং, এবং মনে রাখার মতন। গতকাল দিনটি ছিল অনেকটা সেরকম। জুন মাসের দাবদাহ চলছে সারা দেশজুড়ে, ঢাকা শহরকে এককাঠি সরেস বলব আমি, রাজধানীর হরেকরকম গ্যাঞ্জাম ধুলোবালি জ্যাম ইত্যাদি মিলিয়ে গরমের কষ্টকে আরও বাড়িয়ে তোলে। কিন্তু তবু কোথায় যেন একটা মায়ার টান টের পাই ঢাকা শহরটার জন্য। আমার শৈশবের শহর, ভালবাসার শহর, প্রেমের শহর, বিড়ম্বনার শহ
এখন এখানে বাতাস স্থির, রোদ্দুরের মধ্য দিয়ে ধোঁয়ার মতন কীযেন আকাশের দিকে উঠে যাচ্ছে। এই শুকনো গরমে সব কিছু কেমন পুড়ে পুড়ে ওঠে। অথবা আমার চোখেই সব দগ্ধ লাগে? লালচে বাদামী পর্দা দোলে চোখের সামনে?
বুয়েটে এখন ১৪তম সপ্তাহের ক্লাস চলছে। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী ক্লাস চলবে আরো এক সপ্তাহ। আর নতুন ঘোষণা বলছে, আরো দুই সপ্তাহ ক্লাস বৃদ্ধির কথা। এই নিয়েই গত বেশ কয়েকদিন ধরে পরষ্পরবিরোধী অবস্থান বিরাজ করছে বুয়েটের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে। একদিকে শিক্ষার্থীরা চায় না আর ক্লাস বাড়ুক, অন্যদিকে শিক্ষকরা ক্লাস বৃদ্ধির দাবিতে অনড়। এই নিয়ে কয়েক দফার বৈঠক আর আলোচনাতেও কোনো ফল না আসায় উপাচার্যের প্রস্তাব দুপক্ষের দাবির মাঝামাঝি- এক সপ্তাহ ক্লাস বৃদ্ধি। কিন্তু শিক্ষার্থীরা এর আগে হরতালের কারণে তের সপ্তাহের টার্ম দুই সপ্তাহ বাড়িয়ে পনের সপ্তাহ করা মেনে নিলেও এবার আর এক সপ্তাহও ক্লাস না বাড়ানোর দাবিতে অনড়।
[justify]বারো বছর বয়সী এক কিশোরের একবার ইচ্ছে হলো কাচের জারে একটা তারা তৈরি করবে। এরপর, তার বয়স চৌদ্দ পুরো হতে না হতে ঠিকই তেমন একটা তারা বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিলো বিশ্বকে। না কোনো খেলনা তারা নয়। সত্যিকারের একটুকরো নক্ষত্রই বানিয়েছিলো সে। সূর্যের এবং অন্য আর সব নক্ষত্রের মধ্যে যেমন হাইড্রোজেন ফিউশন রিয়াকশনের মাধ্যমে অন্য পরমাণুতে পরিণত হয়, সঙ্গে উৎপন্ন হয় শক্তি, যেটাকে আলো আর তাপ হিসাবে আমরা
অ্যাশ (আশরাফুল) এর ভক্ত আমি সেই ছোট বেলা থেকে। ইন্ডিয়ান এজ লেভেলের ক্রিকেট টিম বাংলাদেশে এসেছিল কোনো একটা সিরিজ খেলতে, আমার ঠিক মনে নেই। এতদিন আগের কথা আর ছিলামও যথেষ্ট ছোট। অ্যাশ এর বয়স তখন ১৪ কি ১৫ বছর। ওই সিরিজেই প্রথম অ্যাশ এর ব্যাটিং দেখা। যতদুর মনে পরে ৭৪ রান করে আউট হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু, সেই যে চোখে লেগে গেল তার অসাধারণ ব্যাটিং তা একেবারে চোখ দিয়ে ঢুকে মনে গিয়ে যায়গা করে নিল!
আমার এখন নিজেকে বর্ষার পর পিচ উঠে গিয়ে গর্তে ভরে যাওয়া সড়কের মত মনে হয়। হৃদয় বল, মন বল- আমার সমগ্র অস্তিত্বে এখন শুধু ক্ষত আর ক্ষত। একটা বিশাল ক্লান্তি। ঝড়ে বিধ্বস্থ ফসলের মাঠের মত এলোমেলো হয়ে গেছি। ক্ষতগুলো সারতে ক'দিন লাগবে জানিনা, আদৌ সারে কিনা কে জানে।অনেকে বলে, সময় সমস্ত শোকের অসুখ সারিয়ে তোলে। আমি নিজেও বলেছি একথা কয়েকজনকে, এখন মনে পড়ছে। কিন্তু আমার উপর আঘাতগুলো এসেছে একটার পর আরে