জ্যোৎস্নারাতের ড্রইং খাতায় ফেলে আসি আমার নীল পালকের পাখিদের। আরো ফেলে আসি লালচে-বাদামী ভুলভ্রান্তির বিষাদ-দাগ, সাদা হয়ে নামা তুমুল বৃষ্টির ঝরোখার ওপারে হারিয়ে যাক ওরা। অবিশ্রান্ত বর্ষণে ধুয়ে যাক, ধুয়ে যাক ওদের সবকটি আঁচড়।
আজ রাতে বিডিনিউজে প্রকাশিত একটা খবরে অনেকেই দুশ্চিন্তিত হয়েছেন। কেউ কেউ বিরক্ত হয়েছেন। খবরটির শিরোনাম, ইন্টারনেট আপলোড গতি কমলো।
প্রতিদিন সকালে ইমেল দেখা শেষ হলেই ঢুকি সচলায়নে। একদম নিয়ম হয়ে গেছে। একদিন ঢুকতে গিয়ে দেখি পাতাটা খোলে না। প্রথমে ভাবলাম হয়তো সাময়িক কোনো সমস্যা, দ্রুত নিষ্পত্তি হয়ে যাবে। কিছুক্ষণ পরে আবার চেষ্টা করলাম, খুললো না। সারাদিনে পারলাম না খুলতে।
এক.
আমি ভাই একা মানুষ। একা চলতে পছন্দ করি। দোকাতে আমার মেলে না।
।।১।।
স্কুলে ঢোকার মুখেই তপনের দেখা পায় সজল। স্কুলের গেটের কাছের ঝাঁকড়া বটগাছটার নিচে আমড়াওয়ালার দোকানের সামনে। আমড়াটাকে ফুলের মতো কেটে ওতে ঝাল লবণ মাখিয়ে দিয়েছে আমড়াওয়ালা।
সজলকে দেখেই তপন দ্রুত বড় একটা কামড় বসিয়ে দেয় আমড়াতে। গোটা দুয়েক আমড়ার পাপড়ি চালান হয়ে যায় পেটে। সজল কিছু বলার আগেই তপন বলে ওঠে...
“তোকে নিজামী স্যার গতকাল খুঁজেছিল ক্লাসে...”
৪০০ বছরের পুরনো ঢাকা। আমার শৈশব, কৈশোরের শহর। আমার প্রিয় শহর। জ্যাম, ধুলো, দূর্গন্ধ আর প্রতিদিন হাজার বার "এই শহরে মানুষ থাকে না" বলার পরেও আমার প্রানের শহর।
কিন্তু সেদিন সত্যিই স্তব্ধ হয়ে গেলাম আমার প্রিয় শহরে কিছু নরপশুর ধ্বংসজজ্ঞ দেখে। এই শহরে প্রায়ই কিছু না কিছু হয়। মাসে একটা বড় সমাবেশ আর পুলিশের সাথে মারামারির খবর তো নতুন কিছু না। ৫ তারিখের সমাবেশ নিয়েও সেরকম কিছুই হবে ভেবেছিলাম। কিন্তু বেলা বাড়ার সাথে সাথে অবাক হয়ে দেখলাম কিভাবে নির্বিকারে কিছু মানুষ শহরটাকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করে! আরও অবাক হওয়ার মত ব্যাপার হচ্ছে যারা এগুলো করছে তারা হয়ত প্রথমবারের মত এই শহরে এসেছে!!
আমার কতো স্বপ্ন! কতো চাহিদা! শেষ হয় না আর... গত শুক্রবার এমনই এক স্বপ্নেরর প্রজেক্ট বাস্তবায়নের প্রস্তুতি চলছিলো NAEM অডিটোরিয়ামে...যেখানে আমিই থাকতে পারি নি এবার। মনটা পড়ে ছিলো সেখানেই। সেদিন সারাদিন তাই স্মৃতিচারণ করলাম বসে বসে...
স্বপ্নের পথচলা...
হেফাযতে ইসলামীর ঢাকায় তাণ্ডব চালানোর দৃশ্য দেখে অনেকের চোখই কপালে উঠে গেছে। কেউ কেউ বিশ্বাসই করতে পারছেন না যে হেফাযতীরা বাংলাদেশেই বাস করে। অথচ কদিন আগেই শাপলা চত্বরে হেফাযতের প্রথম সমাবেশের সময় এদের অনেকেই সেখানে গিয়েছিলেন, অনেকে তাদেরকে আপ্যায়নও করেছিলেন। আবার তারাই এখন হেফাযতকে ধিক্কার দিচ্ছেন। বলছেন এরা আসলে ইসলাম কী সেটাই ঠিকমতো জানে না, এদের হাতে ইসলাম মোটেই নিরাপদ নয়।
হাঁসুলী বাঁকে বাঁশবনের তলায় পৃথিবীর আদিম কালের অন্ধকার বাসা বেঁধে থাকে। সুযোগ পেলেই দ্রুত গতিতে ধেয়ে ঘনিয়ে আসে সে অন্ধকার বাঁশবন থেকে বসতির মধ্যে।
...হাঁসুলী বাঁকের উপকথা, তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়