[justify]মিন, মিনু, মিনি - এক ভাই, দুই বোন। বয়স সপ্তাহখানেকের মত হল। ছোট ছোট পাখা গজিয়েছে সবেমাত্র। উড়াউড়ির প্রাইমারী ট্রেনিংটাও মোটামুটি রপ্ত হয়েছে তাদের। ব্লাড সাকিং মেথডোলজি সম্পর্কে থিওরিটিক্যাল জ্ঞান রপ্ত করলেও, প্র্যাক্টিক্যাল ট্রেনিংটা এখনো করা হয়ে উঠেনি ওদের। এতদিন তো মা নিয়ে আসতো, আর ওরা আরামসে চুষে খেতো। তবে সেই সুখ বোধহয় আর বেশিদিন থাকার নয়। কারণ জীবনের প্রথম শিকার অতিশীঘ্রি সম
১.
পুলিশ ষ্টেশনের ঘন্টা যেন কেমন! একঘেয়ে, বিষন্ন আর মাঝে মাঝে ভূতুড়ে! রাত ১২ টার ঘন্টা আরও বেশি কেমন কেমন! একে তো মাঝরাত তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি বার ঘন্টা এই সময় টাতেই বাঁজে।
ঢং ঢং ঢং...
গুনে গুনে ১২ বার। রাতের নিরবতা আর গাঢ় অন্ধকার ভেদ করে প্রতিটি ঘন্টার বাড়ি যেন বুকে এসে আঘাতকরে। আর যদি সেই ঘন্টা শুনে ঘুম ভেঙ্গে যায়, তাহলে তো কথাই নেই।
[justify]দেশ ছাড়ার আগে এনটিভিতে একটি সিরিজ নাটক দেখতাম, আমাদের আনন্দবাড়ী। মন খারাপ করা একটা নাটক, তারপরেও দেখতাম। কিভাবে যৌথ পরিবার গুলো ভেঙ্গে যাচ্ছে সেই নিয়ে গল্প। নাটকটির শেষ পর্ব আরো মন খারাপ করা। সবাই একেক দিকে চলে যায়, যৌথ বাড়িটি ভেঙ্গে ফেলা হয় নতুন কোন উঁচু এপার্টমেন্ট গড়ার জন্য। রাস্তা দিয়ে সেই বাড়ির মেয়েটি একা একা হাঁটতে হাঁটতে একরকম দম বন্ধকরা কষ্টকর অনুভূতি নিয়ে নাটকটি শেষ হয়। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে আমার আনন্দবাড়ী বলতে ছিল আমার হল, আমার ক্যাম্পাস। আমাদের আড্ডামুখর সেই সময়গুলি হারিয়ে গেছে, আমরা চলে গেছি একেক জন একেক দিকে। আমাদের আনন্দবাড়িটি অবশ্য ভেঙে ফেলা হয়নি, তবে সেখানে এসেছে নতুন মুখ।
[justify]দ্বিতীয় পুস্তক
৭.
আলো আর ছায়া, মেঘ আর রোদ। বৃষ্টি আর বিদ্যুৎ। এরা ঘুরে ঘুরে লিখে যাচ্ছে ধারাপাত আর বর্ণপরিচয়। গণিত, গান, গল্প, কবিতা। রচনা করে চলেছে অনন্ত সুর আর অগণিত কাহিনী। দেখতে পাই তবু পাই না। শুনতে যেন পাই মনে হয়, তারপরেই দেখি - না তো! মাঝে মাঝে যেন মনে হয় ওদের ভাষা একদিন বুঝতাম, কিন্তু তারপরেই চমকে জেগে উঠে দেখি- স্বপ্ন!
ঢাকার মিরপুর এলাকার একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কথা বলছি। এখানে প্রথম শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনার বাবস্থা আছে। স্কুলের পরিচালনায় যারা আছেন তাঁদের লক্ষ্য হচ্ছে এস এস সি পরীক্ষায় স্কুলের কলেজের একটা ভালো ফলাফলের জন্য ছাত্রছাত্রীদের প্রয়োজনীয় পড়াশোনার ব্যাপারটা নিশ্চিত করা। স্কুলের আশে পাশেই আছে বেশ কিছু কোচিং সেন্টার। স্কুলের বেশীর ভাগ শিক্ষক – পরিচালকরাই কোন না কোন কোচিং সেন্টারের মাল
আমি গল্পকার নই। তবুও গল্প ঘোরে মাথার ভিতরে। কোনোটিই পরিণতি পায় না। অর্ধেক মূর্ত হয়ে বাকিটুকুর প্রার্থিতায় মাথাকুটে মরে। তাকে সঙ্গত দিতে আমিও সঙ্গি হই তার। তাই এ লেখাকে গল্প না বলে গল্প ভাবনার পরিণতি প্রত্যাশা বলাটাই ভালো। এটা একটা প্রচেষ্টা । দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির মাঝে এটা বেসুরো ঠেকবে হয়তো। মন্তব্য জানালে কৃতজ্ঞ থাকবো।
রোদ ধরা খেলা