আগেকার দিনে পরিবারের নানী-দাদীরা বিশ্বাস করতেন, সদ্যভূমিষ্ঠ সন্তানের মুখে কয়েক ফোঁটা মধু দিলে নাকি সে বড় হয়ে মিষ্টভাষী/মিষ্টভাষিণী হয়। কিন্তু সদ্যভূমিষ্ঠ সন্তানের আনন্দে আত্মহারা পিতামাতা যদি মধু জোগাড় করতে মধুরভাবে ব্যর্থ হন তাহলে চিনি কিংবা স্যাকারিন এর প্রয়োগ ঠিক একই কর্ম সম্পাদনে ব্যবহৃত হতে পারে কিনা এই বিষয়ে তারা কিছু বলে জান নাই। কেউ এর প্রয়োগে আশানুরূপ ফল পেয়েছেন বলেও আমার অন্তত জানা নাই।
প্রাইভেট অফিসে ‘অফিস টাইম’ বলে ধরাবাঁধা কোনো নিয়ম নেই, তবে ঢাকা শহরের প্রতিটি রাস্তাতেই বাধ্যতামূলক জ্যাম যে থাকবেই তা এখন ধরাবাঁধা এক নিয়ম হয়েই দাঁড়িয়েছে । কোনোদিনই তাই রাত ন’টার আগে বাড়ী ফেরা হয় না উজ্জলের। অফিস গুলশানে আর বাড়ী শ্যামলীতে, পথে হুজ্জৎ কম নয়; তবু রাত ন’টা পার হয় না কখনও। উজ্জলের বৌ মিথিলা দশ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। ডাক্তার বলেছেন পরের সপ্তাহেই প্রত্যাশিত তারিখ। এ সময়টা সত্যিই বিপজ্জনক, মিথিলাকে সব সময় চোখে চোখে রাখতে হয়।
কুলদা রায়
এমএমআর জালাল
এক.
নিউ ইয়র্ক টাইমস পত্রিকাটি নিয়মিত পড়ি। এ পত্রিকায় কারেকশন নামে একটা টুল আছে। ১৬ এপ্রিলে দেখি সেখানে কয়েকটি সংশোধনী দেওয়া আছে।
১। প্রথম পৃষ্ঠায়—রুজভেল্ট আইল্যান্ড গার্ডেন ক্লাবের একটি ছবি ছাপার ক্যাপশন ভুল হয়েছিল।
‘একদিন সকালে একমনে খবরের কাগজ পড়ছি, বলাই আমাকে ব্যস্ত করে ধরে নিয়ে গেল বাগানে। এক জায়গায় একটা চারা দেখিয়ে জিজ্ঞেস করল, “কাকা এ গাছটা কী।”
দেখলুম একটা শিমুল চারা বাগানের খোওয়া দেয়া রাস্তার মাঝখানে উঠেছে।’
কখন, কীভাবে বিস্ফোরণ ঘটবে এবং তা কে ঘটাবে সে সম্বন্ধে জানতে রাষ্ট্রযন্ত্রের এখনো বাকি……হারবার্ট, নবারুণ ভট্টাচার্য
[justify]
আমাদের ঘরে রাতের বেলা কখনও আলো জ্বলে না।
সবই ঠিক আছে। সবার মত আমরাও সকালে উঠি, গোসলে যাই। খেয়ে-টেয়ে যে যার কাজে যাই, আবার ফিরে আসি। কিন্তু সমস্যা শুরু হয় সন্ধ্যা হলেই। ঘরে আলো জ্বালানো হলেই মা চেঁচিয়ে বলেন, ‘আলো জ্বালাইল কে রে? কে জ্বালাইল? ওরে চোখ যে জ্বালা করে...’
গত পরশু দেখলাম ‘লা মিজারেবল’, অনেকটা দেরি-ই হয়ে গ্যালো দেখতে তারপরেও তো দ্যাখা হয়েছে এটাই মূল ব্যাপার।