বাংলা ব্লগের ইতিহাস ২০০৬ থেকে। শুরু থেকেই সেখানে ছাগুরা মুখ দিয়ে, ল্যাদায়ে, বেসবল ব্যাটের ও জাহান্নামের অনন্ত আগুনের ভয় দেখায়ে এটাকে নিজের টার্ফ বানাতে বহু চেষ্টা করছে। ইতিহাস সাক্ষী, রাতের পর রাত জেগে আম ব্লগাররা পেইড ব্লগারদের সেই ল্যাদানি ছাগুদেরকেই গিলাইছে, অনলাইন ময়দান ছাগুময়দান হতে পারেনাই। এক প্ল্যাটফর্ম থেকে অনেক প্ল্যাটফর্ম হইছে, ছাগুদের ও একটা বানানো হইছে; কারন ততোদিনে তারা জানে ব্লগ ক
শাহবাগ গণজাগরণ মঞ্চ গোটাতে হবে- সরকার তথা আওয়ামী নেতৃবৃন্দের এমন মনোভাবেরই খবর পাওয়া গেছে। মঞ্চ যেন তাদের বাপ দাদার তালুক- ব্যাপারটা এমনই। শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ কি আওয়ামী লীগের কথায় হয়েছে? নাকী আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরাই “ ক তে কাদের মোল্লা তুই রাজাকার” বলে মঞ্চের খুটিখানা গেড়ে দিয়েছিলো? আওয়ামী লীগ-বিএনপির ডাকে আজকাল কেউ কি আসে?
(এই লেখাটি শাহবাগের সংগ্রামের প্রেক্ষিতে আমার ভাবনা। প্রকাশিত হয়েছে কলকাতার একটি পত্রিকায়)
সারাদেশে মহাসমারোহে শিবিরের ডাকা হরতাল চলছে...
প্রস্তুতি চলছে লংমার্চের...
গণজাগরণ মঞ্চ বন্ধ করতে বলা হয়েছে, রুমি স্কোয়াডের অনশন থামিয়ে দেওয়া হয়েছে...
বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে আমার ব্লগ, গ্রেপ্তার করা হয়েছে ব্লগারদের...
ইউটিউব তো আগে থেকেই বন্ধ...
একে একে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে সব কটা জানালা... যারা এই দেশটাকে ভালোবেসে দিয়ে গেছে প্রাণ, তারা আর চুপি চুপিও আসবে না হয়তো...
১
বেদচর্চিত যুগে, ব্রাহ্মণ শাসিত সমাজে বসে চার্বাক বলেছিলেন, "ভন্ড, ধূর্ত আর নিশাচরেরাই বেদের কর্তা"। সৃষ্টিকর্তা ঈশ্বরকে উড়িয়ে দিয়ে বলেছিলেন "বিশ্বজগৎ নিজের নিয়মেই ভাঙে, গড়ে, তার জন্য সৃষ্টিকর্তা ঈশ্বরের দরকার নেই"। নৈতিকতার পাশব মানদণ্ড লোভ আর ভয়ের অসারতা তুলে ধরে বলেছিলেন, "স্বর্গ, নরক, পুনর্জন্ম বলে কিছু নেই, আত্মা অবিনশ্বর নয়"। প্রাচীন ভারতের বস্তুবাদী এই দর্শন গ্রন্থিত হয়েছিল। যুক্তিতর্ক দিয়ে ঈশ্বরকে নাই করে দেয়া দর্শনের কপালে যা জোটা স্বাভাবিক, চার্বাক দর্শনের বইগুলো পুড়িয়ে দেয়া হলো।
আমাদের দেশে আমরা কিভাবে কিভাবে যেন কিছু বিষয় নিয়ে কথা বলার জন্যে বা মনের ব্যাকুলতা প্রকাশ করার জন্যে কিছু নির্দিষ্ট সময় বা মেয়াদকাল ঠিক করে ফেলেছি। সর্বজনবিদিত গ্রহণযোগ্য সময়সীমার আগে পিছে হয়ে মেয়াদত্তীর্ন হয়ে গেলেই আমাদের ভ্রূ কুঁচকে যায় আর মনে মনে ভাবতে থাকি- এই সময়ে এটা একটু কি অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গেল নয় কি?
শহীদ রুমী স্কোয়াডে অনশন শুরু হওয়ার পরে মানুষজনের শাহবাগ যাওয়ার ইচ্ছা খুব বেশি দেখিনি । আমার এক বন্ধুর (নাম বলতে চাচ্ছি না) সাথে এগুলো নিয়ে নিয়মিত আলোচনা করি অফিস থেকে ফেরার পরে ।
১
শুকরিয়া আদায় করিয়া এই লেখাটা শুরু করিলাম, কারণ এই দেশে 'আপত্তিকর' কোন কিছু আর মানিয়া নেওয়া হইবেনা। যদিও আপত্তিকর এর সংজ্ঞা এখনও জানা নাই। সরকার মহোদয় ফরমাইয়েছেন যে - 'আপত্তিকর' কোন কিছু দেখলেই ঠুশ করে নালিশ ঠুকে দেওয়া যাবে। নালিশ ঠুকার ঠিকানা, complainmoha@gmail.com । এই তড়িৎ ডাক(ইমেইল) ঠিকানাখানা লেখা আকারে(প্লে