শাহবাগ আন্দোলনের একেবারের শুরুর দিকের কথা। কুখ্যাত রাজাকার কসাই কাদের ওরফে কাদের মোল্লার প্রত্যাশিত ফাঁসির রায় না পাওয়ায় সমগ্র বাংলাদেশ তখন জ্বলে উঠেছে। সেই আগুনের সবচেয়ে বড় শিখাটি জ্বলজ্বল করে জ্বলছে শাহবাগে। শিখার আগুন শুধু শাহবাগে স্থির থাকে না, আমরা জানি সেই আগুন বাংলার প্রতিটি মানুষের বুকে, সেই আগুন বাংলার প্রতিটি অলিতে গলিতে। আমরা যেইসব দুর্ভাগা স্বার্থপর, যারা সবকিছু ছেড়েছুড়ে দেশের ব
সারারাত উৎকণ্ঠা, ঘুম হয়নি একটুও। না, হয়েছে বোধহয় সামান্য; ভোরের দিকে। উচাটন মনও কখনও কখনও হার মানে ক্লান্ত শরীরের কাছে। আধো তন্দ্রায় ফজরের আযান শুনেছি। এরপর ঘুমিয়ে পড়েছিলাম অল্প কিছুক্ষনের জন্যে। কি যেন আবোল তাবোল স্বপ্ন দেখলাম, মনে করতে পারছি না। এখন ক’টা বাজে, সাতটা?
বিরাট এক স্পন্দনশীল অন্ধকার আমায় আষ্টেপৃষ্ঠে পেঁচিয়ে ধরেছে, চারিদিকে কালো জল ছলছল করছে। ওর মধ্য দিয়ে সাঁতার কাটতে কাটতে বেরিয়ে আসতে চাইছি আলোয়। তখনও কালো বা আলোর কথা ঠিক বুঝতে পারি না, কিন্তু একটা অদ্ভুত তাড়না আমায় ঠেলা মারে, আমার সদ্য তৈরী হওয়া মগজে কোটি কোটি বছর আগের যে স্মৃতি খোদাই হয়ে আছে, সেই স্মৃতিই আমার পূর্বসংস্কার, সেই আমাকে জানায় আলো আর কালোর গল্প।
শহীদ রুমী স্কোয়াডের সব সাহসী ওরে!
চাইছি ক্ষমা, করবে বলো কাপুরুষ এই মোরে?
হয়তো হবো স্বার্থপর আর ভীষণ ভীরু আমি
কোথায় সাহস সঙ্গী হয়ে আজ রাস্তায় নামি?
সোনালী ঝর্ণা থেকে রবিন যখন আলোর সংকেত দিচ্ছে ঠিক তক্ষুণি কলিং বেল বেজে উঠলো। বই বন্ধ করে চাবি হাতে নিচে গিয়ে দেখি আব্বু এসেছেন। ঘরে ঢুকে আব্বু হাতে নীল পলিথিন এর ব্যাগটা হাতে দিয়ে বললেন গামছাটা নিয়ে আসো তো বাপ। ব্যাগের বাইরে থেকেই বেশ বোঝা যাচ্ছে ভেতরে কমলা। আব্বুর হাতেও আর কিছু নাই। আব্বু কি ভুলে গেছেন?
শহীদ রুমী স্কোয়াডের উদ্যোগে আয়োজিত আমরণ অনশনে অংশ নেওয়া প্রতিটি মানুষের আবেগের প্রতি আমার অকুন্ঠ শ্রদ্ধা। শ্রদ্ধা জানাই এই আবেগী তরুণগুলোর প্রতি। কিন্তু আমি দৃঢভাবে বিশ্বাস করি একটি জাতীয় আন্দোলনে, একটি চেতনার যুদ্ধে আবেগ অন্যতম শক্তি হলেও তার সাথে প্রয়োজন বুদ্ধি-বিবেচনা-কৌশলের যথাযথ সমন্বয়।
ব্রজেন্দ্রনাথ মল্লিক
একাত্তরে দেশী/বিদেশী ইংরেজী পত্রিকায় মুক্তিযুদ্ধের উপর প্রকাশিত রিপোর্টগুলো আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ দলিল হিসেবে বিবেচিত হয়।
'বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ পাঠাগার ও গবেষণা কেন্দ্র' একাত্তরে দেশী/বিদেশী ইংরেজী পত্রিকায় মুক্তিযুদ্ধের উপর প্রকাশিত রিপোর্টগুলো বাংলায় অনুবাদ করার উদ্যোগ গ্রহণ করে। এই অনুবাদগুলো সবার মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার উদ্দেশ্যে অনলাইনে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হবে।
[প্রাক-কথনঃ
বই নিয়ে কথাবার্তা বলার মত আনন্দময় কাজ দুনিয়াতে কম। ফেসবুকে একটা গ্রুপ আছে- বইপড়ুয়া। এ গ্রুপে যাঁরা আসেন তাঁদের একটা ব্যাপার একরকম- সবাই বই পড়েন। শুধু পড়েন না, বই নিয়ে আলোচনা হয়- মন্তব্য, প্রতিমন্তব্য। চমৎকার একটা অভিজ্ঞতা।
বইপড়ুয়া'য় গিয়ে চুপচাপ থাকাটা মুশকিল। বই নিয়ে আলাপ করা হয়েই যায়।
মাঝে মাঝে বই পড়ে সেটা নিয়ে কথা বলতে ইচ্ছা করে। 'রিভিউ' বলাটা ঠিক হবে না এগুলোকে, তবে বই-তাড়িত কথা তো অবশ্যই।
এ ধরণের লেখাগুলোর সবচেয়ে ভাল লাগা অংশ হল পাঠকের মতামত, একই বই নিয়ে কত কত কথা পড়ুয়াদের। অদ্ভুত আনন্দের একটা ব্যাপার!
এবারের কথাগুলো তারেক নূরুল হাসান-এর 'কাঠের সেনাপতি' নিয়ে। বইপড়ুয়ায় করা পোস্টটারই খানিকটা পরিমার্জিত রূপ এটা, বলে রাখা উচিত!]