পৃথিবীর মানুষের স্মরণশক্তি দিন দিন কমে যাচ্ছে নাকি জানি না, তবে ধৈর্য্য যে কমে যাচ্ছে তা নিশ্চিত করেই বলা যায়। গত ১টি মাসের কথায় ধরুন না, অন্যগ্রহের ফুটবল খেলে যাচ্ছে যে দল গত ৪টি বছর ধরে তাদের গত ১ মাসের পারফরমেন্স দেখেই সবাই বলাবলি শুরু করলো ‘নাহ, শেষ। বার্সা যুগ শেষ’। এটাকে স্মরণশক্তির দূর্বলতা বলুন আর ধৈর্য্যের অভাবই বলুন একটা কিছুর অভাব যে আমাদের হচ্ছে সেটা আপনাকে মানতেই হবে। তবে কি আমাদের
সন্ধ্যার আগে বৃষ্টি হয়েছে। এখনো জলের গন্ধ আসছে।
মফস্বলের ছোটো একটি শহরের একপ্রান্তে টিনের ঘর। তার বারান্দার বসে আছে মথি উদয় ও হারাধন। এই দুজনকে পণ্ডিত স্যার বিশেষ স্নেহ করেন। একা মানুষ তিনি। স্কুল শেষে তার বাড়িতে এ রকম দুটি-একটি ছেলেকে পড়ান।
রাবেয়া আখতারঃ
গার্মেন্টসের চাকরীটা চলে গেছে গতমাসে। জমানো টাকা প্রায় শেষ। নতুন এক জায়গায় চেষ্টা করছিল কদিন ধরে। আজকে যোগ দেবার কথা। ৩ বছরের ছোট ছেলেটাকে পাশের ঘরে রেখে বেরিয়েছিল। মাঝপথে বাসটা হঠাৎ চাকায় তীব্র আর্তনাদ করে থেমে গেল। বাসের উপর একের পর এক ইট এসে পড়তে লাগলো। যাত্রীরা আতংকিত। প্রাণ নিয়ে বেরিয়ে পড়ছে। চালক জানালা দিয়ে লাফ দিয়ে পালিয়েছে। বাসের সবগুলো জানালা ভেঙ্গে ফেলেছে। ইটের আঘাতে বেশ কজন আহত। পেছনের জানালা ভেদ করে এটা ইটের টুকরো তার মাথায়ও এসে পড়লো। মাথা ফেটে রক্ত পড়ছে। বাসের মধ্যে আগুন দেখা গেল। কোনমতে লাফ দিয়ে পড়লো বাস থেকে। ফাটা মাথা নিয়ে আধখানা জীবন নিয়ে দৌড়ে পাশের ফুটপাতে হুমড়ি খেয়ে পড়লো। আর কিছু মনে নেই। রাবেয়ার ফাটা কপাল জোড়া লাগতে মাস খানেক লেগেছে। আসলে জোড়া লাগেনি। স্বামী পরিবার সহায়সম্বলহীন রাবেয়ার চাকরীটা পাওয়া হয়নি। মাথার চিকিৎসা করাতে গিয়ে জমানো টাকা শেষ। ছেলেটার জন্য দুধ কেনা হয়নি এই এক মাস, আর কখনো কেনা হবে কিনা জানে না সে। জমানো টাকা শেষ হয়ে কর্জের শুরু। এরপর ভিক্ষা করতে হবে, নইলে শরীর বেচতে হবে। কোনটা সহজ রাবেয়া এখনো জানে না।
ইচ্ছে ছিলো গ্রীক পুরাণের বীরদের নিয়ে একটা কাহিনীমালা লেখার। পুরানো বিষয়। বাংলা ব্লগের যাত্রা শুরু হয়েছে সাত বছর হলো, এখনো এই বিষয়ে কেউ কিছু লেখেন নি তা তো না। বরং এই বিষয়টা লেখালেখির মধ্যে শীর্ষেই থাকবে। সে থাকুকগে, আমি আমার মতন লিখবো। বলে তো দিলাম। এখন দেখা যাক আসলে আমি কত বড় যোদ্ধা। অলসতার সাথে লড়াইয়ে আমি জিতলেই কেবল এই লেখালেখি হতে পারে। তাহলে শুরু হয়ে যাক-
বসন্ত কাল। জ্বলন্ত হলুদে ঝলসে আছে প্রকৃতি। চারপাশে এতো হলুদ যে চোখ ঝাঁঝিয়ে যায়। কৃষ্ণচূড়ায় ছেয়ে থাকা বন। হঠাৎই গাছে গাছে বিদ্রোহ শুরু হল। চারপাশ দাউদাউ করে আগুন জ্বলে উঠে। হুতাশন, সর্বত্র হুতাশন। নাকে এসে পোড়া গন্ধ জ্বালা ধরায়। ধড়মড় করে জেগে উঠলেন রংবালা। ততক্ষণে আগুন স্নানঘর, রান্নাঘর ছাড়িয়ে পাশের ঘরের পূবদিকের আলমিড়া পর্যন্ত চলে এসেছে। স্বপ্ন ও জাগরণের দ্বিধান্বিত সাঁকো পার হতে কয়েক সেকেন্ড সময়
সম্প্রতি মানবাধিকার রক্ষার জন্য পুরস্কৃত হয়েছেন আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (আমার উপলব্ধি ঃ আলমগীর যে দলেরই হোক তার কাজ হল বিনোদন দেয়া ! )
যেভাবে বাংলালিঙ্ক দামে পুরস্কার পাওয়া যাচ্ছে তাতে জামায়াতে ইসলামীর বর্তমান সময়ে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়াও বিচিত্র নয় ! বরং সম্ভাবনা আছে ( যে যাই বলুক পুরস্কার তো আম্রিকার হাতেই থাকে ! )
বাংলাদেশের ১৮তম রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের জন্মদিন ৯ মার্চ !
অনেকেই এই তথ্যটি জানেন না। অনেকে এই তথ্যটিও জানেন না তার মৃত্যুদিন ১১ মার্চ ও হয়ে যেতে পারতো ! ! !
অনেকে এই তথ্যটিও জানেন না যে তিনি বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতিও হয়ে যেতে পারতেন, হয়ে যেতে পারেন! আমরা কিছুক্ষনের মধ্যে সাময়িক অভিভাবকহীন ও হয়ে যেতে পারি!
৪২ বছরেও আমাদের ঘুম ভাঙেনি। অনেক হয়েছে এবার আমরা ভোর দেখতে চাই। প্রসঙ্গতই আমার এই লেখাটা যুদ্ধাপরাধী আর জামাত-শিবির নিয়ে। ব্যক্তিগত ভাবে জামাত-শিবির আমার খুবই অপছন্দের। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে জামাতে ইসলামের রাজনীতি বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে এই নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে দেয়া হয় আর ধীরে ধীরে বিভিন্ন কলাকৌশল অবলম্বন করে তারা আজ বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক দলের একটি। ২০০১ সালের সালে
বার্তা আসে
আসে সংকেত প্রবাহ
আমিও কুঠার হাতে
অরণ্যের গহীন ধাঁধায়
মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র কারিগর।
কাহিনী সংক্ষেপ--
বরিশালের এক গ্রামে মোতালেব কারিগর নামে একজন হাজামকে একঘরে করার ফতওয়া দেওয়া হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ যে তিনি একাত্তরে পবিত্র কোরআন শরিফ হাতে নিয়ে মিথ্যে কথা বলেছেন। তিনি লোকচক্ষুর আন্তরালে চলে যান।