এক. প্রশ্নবোধক
সব কিছু বলে দিতে হয়!
বোঝ না?
এত চিৎকার এত প্রতিধ্বনি
কিছু কি শোন না?
রাজনীতি শিখে গ্যাছো, তাই না?
টার্ম ফাইনাল পরীক্ষার মাঝেই সিদ্ধান্ত নেয়া ছিল যে পরীক্ষার পর ঘুরতে যাব। পরীক্ষা শেষের সাথে সাথেই ঠিক করে ফেললাম এবার গন্তব্য সিলেট। সে অনুযায়ী প্রস্তুতিও নেয়া হল। ইচ্ছা জাফলং, মাধবকুণ্ড, হাম হাম, শ্রীমঙ্গল কোন কিছুই বাদ দেয়া হবে না। সবার কাছেই পর্যাপ্ত টাকা থাকলে টাঙ্গুয়ার হাওড় ও দেখে আসা হবে। দিন টা ছিল সম্ভবত জানুয়ারীর ২৫ তারিখ। প্রতিদিনের সন্ধ্যার আড্ডায় গিয়েছি। হঠাৎ দেখি ইমন আর তৌহিদ
তাজউদ্দীন স্যারের ক্লাস মানেই হই হই দৌড়া দড়ি করে ক্লাসে ঢোকা। তাই আগের ক্লাস টা শেষ করেই একমিনিট দেরি না দোতলা থেকে নিচতলায় নেমে যাই। আজ কাল ক্যাম্পাসটায় ও মানুষ গিজ গিজ করে। লিফটের সামনে গিয়ে দেখবো ইয়া বড় লাইন। তার চেয়ে ভালো আগে যাওয়া।
খবরগুলো একসাথে করছি এখানে। চাইলে আপনারাও যোগ করতে পারেন, কোন নতুন তথ্য এবং আপডেট থাকলেও এখানে যোগ করতে পারেন। পরিস্থিতি সামগ্রিকভাবে অস্থিতিশীল তাই পর্যবেক্ষণ প্রয়োজন।
আমার জন্ম সত্তুরের দশকের শেষের দিকে, স্বাধীন বাংলাদেশে। আমি বাহান্নর ভাষা আন্দোলন দেখিনি, ঊনসত্তুরের গনআন্দোলন দেখিনি, একাত্তুরের মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি। আমি দেশের ইতিহাস পড়েছি বইয়ে। কিন্তু এসব ঘটনা আমার মনে জীবন্ত হয়ে আছে অন্য একটি কারনে। স্বাধীনতা উত্তর প্রজন্মের আর সবার মতো, আমি ছোটবেলা থেকেই এসব ঘটনার কথা শুনেছি বড়দের মুখে। ইংরেজিতে যাকে বলে, first-hand account; বাংলায় “প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণ
আমাদের প্রি-ক্যাডেট স্কুলের পূব পাশে আকাশী রঙের যে বিল্ডিংটা দুপাশের অন্যান্য হেঁজিপেঁজি দোকানপাটের মাঝখানে একলা একা দাঁড়িয়ে আছে, যাতে সারাটা সকাল বোরিং ক্লাশের পর ভীষণ ক্লান্ত হয়ে সারি সারি বইয়ের আলমারীর মাঝে মুখ লুকাতাম,- দ্বিতীয় শ্রেণীর বার্ষিক পরীক্ষার পর ১০ টাকা ফি দিয়ে ঐ পাঠাগারে ভর্তি হবার পর থেকেই যে সাহিত্যের প্রতি আমার ভালোবাসা জন্ম নিয়েছে তা কিন্ত নয়। কিংবা, কবে কখন কীভাবে সাহিত্যের প্র
-তোমাকে তো আজকাল পাওয়াই যায় না। ফোন ত করোই না আমি করলেও ধরনা। মোবাইল বাজতেই থাকে। কি করছ আজকাল?
-ক্লাস থাকে। সামনে পরীক্ষা...তার মধ্যে চলছে শাহবাগ...এই জন্যেই আরকি।
-শাহবাগে যাও তুমি?
-যাই তো। না গেলে কি ভাবে হবে? যুদ্ধপোরাধীদের পার পেয়ে যেতে দেয়া যাবে না।
এই হল আমার মেডিকেলে পড়ুয়া ছোট ভাইয়ের অবস্থা। সে রাজাকারের বিচারের দাবীতে শাহবাগ যায়। স্লোগান দেয়।
ওর আরেকটা পরিচয় ছোট্ট করে বলে রাখি.....ও একজন কোরআন এ হাফেয। সমস্ত কোরআন শরীফ বুকে ধারণ করেই সে শাহবাগে যায় এবং "ফাঁসি চাই" বলে স্লোগান দেয়।
-শাহবাগে নাকি অনেক আজেবাজে কিছু হয় আর মানুষ নাকি শব ফটোশপে বসানো?
-কে বলল উল্টাপাল্টা?
-ফেসবুকে দেখি আর আমার দেশের মাহমুদুর রহমানের টেলিফোনের লিক হওয়া কথায় জানলাম।
-আমি তো অতসব জানিনা। যতটুকই সময় পাই শাহবাগে যেয়ে স্লোগান দিয়ে আসি। আমি তো ওখানে লাখ লাখ মানুষ দেখি মহাসমাবেশে। ফেসবুক দেখার সময় ও পাইনা।
কোন আন্দোলন আপনাকে বেকায়দায় ফেলেছে? কোন ভাবেই আর সেই আন্দোলন সামাল দিতে পারছেন না? চিন্তা নেই, আন্দোলন মোকাবেলা না করতে পারলেও আপনার গা বাঁচানোর জন্য আছে বিকল্প ব্যবস্থা। আন্দোলনে বিভ্রান্তি তৈরি করুন। বিভ্রান্তি সৃষ্টির জন্য অনুসরণ করুন এই সহজ ৪-দফা ফর্মুলা। এই ফর্মুলার কার্যকারিতার ব্যাপারে আমরা ১০০% গ্যারান্টি দিয়ে থাকি। অতীতে এই ফর্মুলা আপনার বাপ-দাদারা বারবার কাজে লাগিয়েছে। আপনিও পারবেন।
ভ্যাংকুভারে আসার পর এখানের এক একুশে ফেব্রুয়ারির অনুষ্ঠানে যেয়েই প্রথম জানতে পারি যে রফিকুল ইসলাম এবং আবদুস সালাম নামে নতুন প্রজন্মের যে দুইজন ভাষা সৈনিকের প্রশংসনীয় উদ্যোগে আমাদের 'শহীদ দিবস' 'আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস' হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে তারা এখন এখানেই থাকেন। তখন থেকেই ব্লগের জন্য তাদের সাক্ষাৎকার নেয়ার একটি সুপ্ত ইচ্ছা ছিল। মুস্তাফিজ ভাইরা ভ্যাংকুভারে চলে আসার পর আমাদের নানা ফর্মে
১৯৭১ সালে সংঘটিত মুক্তিযুদ্ধ আমাদের জাতীয় ইতিহাসের সবচে’ গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে গর্বিত হবার কথা। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিভিন্ন বর্ণনাকারীর বর্ণনায় সামান্য হেরফের হলেও তাদের মূল সুর এক হবার কথা। কারণ, মূল সত্যটি হচ্ছে সামান্য ব্যতিক্রম ব্যতীত এই ভূখণ্ডের সব মানুষের পাকিস্তানী শাসন, শোষন, আক্রমণ, জুলুমের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল, সাহস ভরে সন্মূখ সমরে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল এবং বিজয় ছিনিয়ে এনেছিল। সেই বিজয় ত্রিশ লক্ষ প্রাণের মূল্যে অর্জিত হয়েছে। কোটি কোটি মানুষকে সহ্য করতে হয়েছে শারিরীক-মানসিক অত্যাচার, চার লক্ষ নারীকে হতে হয়েছে ধর্ষণের শিকার। লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, স্থাপণা ধ্বংস হয়েছে অগণিত। এসবের সাক্ষী বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষ।