লিরিক ৯
এই লাল মাখানো ভোরে
এই প্রজন্ম চত্তরে
এই ঘুম তাড়ানি রাতে
এই ঊর্দ্ধে তোলা হাতে
তুলছি যারা...
তুলছি যারা, তুলছ যারা
উঠছি কেঁপে দারুন অহঙ্কারে
এই লাল মাখানো ভোরে
সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার মানুষ তিরিশ হাজার টাকা চাঁদা তুলে চার মণ আতপ চালের পিঠা তৈরি করছেন। উদ্দেশ্য, শাহবাগে সমবেত মানুষদের জন্যে এ পিঠা তারা নিয়ে যাবেন।
এ কাজে তিন হাজার টাকা একাই দিয়েছে মণীষা। তার মাটির ব্যাঙ্কটি ভেঙে অনেকদিনের তিলোত্তমা সঞ্চয় সে তুলে দিয়েছে অন্যদের হাতে, যাতে শাহবাগে তারও কিছু অবদান থাকে।
মণীষার বয়স ছয় বছর।
বিশ্ববিদ্যালয়কে বলা হয় আলোকসঞ্চারী প্রতিষ্ঠান, মানুষের মনের ভেতরকার অজ্ঞানতা দূর করে তাঁকে পরিপূর্ণ মানুষ হিসাবে বিকশিত করাই এই প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য। কিন্তু ইদানীং খেয়াল করছি, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ভরে যাচ্ছে ছদ্মসাম্প্রদায়িক উত্তরাধুনিক ধান্ধাবাজে। এমনই একজন নব্যরাজাকার পিয়াস করিম, যে কিনা আবার ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো প্রতিষ্ঠানের অধ্যাপক হয়ে বসেছে!
এই লেখাটা লিখবো না ভেবেছিলাম। আজকের এই অভূতপূর্ব গণজাগরণের মূহুর্তেও যারা বিভিন্ন ধোঁয়াশার বিকিকিনিতে ব্যস্ত তাদের পথে আনার মতো কোন কথার যাদু আমার জানা নেই। এই স্বতঃস্ফূর্ত বাঁধ ভাঙ্গা গণজোয়ারে যারা রাজনীতির আবর্জনা খুঁজে পান, বা যারা এই গণস্রোতে নানা আবর্জনা মিশিয়ে এর প্রবাহকে আবদ্ধ করতে চান, অথবা যারা এই জোয়ারে কোন ভাবেই ভাসতে পারলেন না, এই অধমের সামান্য কথায় সেই হতভাগাদের ধ্যান-ধারণা বা মন
শাহবাগ
-শেখ ফেরদৌস শামস ভাস্কর
অ্যারিজোনা, যুক্তরাষ্ট্র
চলো চলো চলো যাই
শাহবাগ যে ডাকছে ভাই
তরুণ সমাজ
জেগেছে আজ
রাজাকারদের রক্ষা নাই।
বিকেল চারটে থেকে চারটে তিন মিনিট পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচী ছিলো। তিন মিনিটের জন্য থমকে যাওয়া দেশ। সবখানে, সবখানে একটা দাবীতে সোচ্চার কোটি কোটি মানুষ। ব্যাপারটাই কি অদ্ভুত!
বাপ মরেছে, ভাই মরেছে
বোনের খবর পাইনি আর
চুদুর বুদুর দেখসি বহুত
অহন খালি চাই বিচার।
তৃতীয় বিশ্বের একটি মুসলিম দেশে কি হচ্ছে তা নিয়ে অনেক বিদেশীদের তেমন একটা আগ্রহী না হলেও এত বড় আন্দোলন দেখে পুরোপুরি উপেক্ষাও করতে পারেনা। বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সংহতি প্রকাশ, বিভিন্ন দুতাবাসের সামনে দেশপ্রেমিক বাংলাদেশীদের একতা এবং সংহতি দেখে অনেকেই প্রশ্ন করে কি হচ্ছে তোমাদের দেশে?
(বাংলার এক ইঞ্চি মাটিও যেমন ওদের না, বাংলার এক ইঞ্চি ত্যানাও ওদের দিবো না। ত্যানা যদি প্যাঁচাতেই হয়, আমরাই প্যাঁচাবো)।
বেশ কিছুদিন আগের কথা। কাঁচা বাজারে কেনা-টাকা শেষ করে বের হচ্ছি, তখন বাজার থেকে বেরোনোর রাস্তার মুখে কিছু তরুণ একটু কথা বলতে চাইলো। আমি জিজ্ঞেস করলাম, “তোমরা কি আমার সঙ্গে কথা বলতে চাও?”। একজন কুণ্ঠিত-ভাবে আমার হাতে দুই প্যাকেট মাংস ধরিয়ে দিয়ে বলল, “আমরা ছাত্র শিবিরের পক্ষ থেকে তহবিল সংগ্রহের জন্য হজ্জ্বের দুম্বার মাংস বিক্রি করছি, আপনি যদি দুই প্যাকেট কিনতেন” ।