[justify]জোসেফকে নিয়ে আর পারিনা, মানুষ হিসেবে এমনিতে সে খুবই ভাল , কিন্তু দোষের মধ্যে একটাই বড্ডও বেশী কথা বলে। বাসস্টপ, বাসের ভিতরে, শপিং মল, পারকিং লট, লন্ড্রি রুম, বেইজমেন্ট যেখানেই দেখা হোক না কেন, শুরু হয় তার ননস্টপ বকবকানি। আমি যে নিজে খুব কম কথা বলার মানুষ এমন দাবী করছিনা কিন্তু শুধু কথা বললেই কি হবে, অন্য কারো কথাও তো শুনতে হবে নাকি!
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা নিয়ে বাংলাদেশের অনলাইন মিডিয়া এবং সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো বেশ গরম। ঘটনাটা প্রথম দিকে আমার চোখ এড়িয়ে গেলেও এই ব্যাপক শীতে একটু গরম আঁচ গায়ে লাগায় একটু নাক গলালাম। তাতে যা দেখলাম, বাংলাদেশের আবহমান কালের ঐতিহ্য বজায় রেখেই ঘটনার পক্ষে-বিপক্ষে ইতিমধ্যে বেশকটি পক্ষ তৈরী হয়েছে এবং তারা নিঃসন্দেহে সরব।
ক্লাস থ্রীতে শুরু হলো "হাতের কাজ" বলে একটা বিষয়ের ক্লাস। নানারকম কান্ড করতে হতো সেখানে, নারকেল দড়ি দিয়ে পাপোষ বানাতে হতো, রুমালে ফুল-লতা-পাতার সূচীকর্ম করতে হতো, রঙীন কাগজ বিশেষভাবে কুচি দিয়ে দিয়ে বাহারী মালা বানাতে হতো, মাটির আপেল কলা কমলালেবু আম--এইসব বানাতে হতো, সেগুলোর উপরে আবার রঙও লাগাতে হতো। কমলালেবুতে কমলা রঙ, সরলসোজা খানিকটা। কিন্তু সিঁদুরে আমে ঘন সবুজ আর বোঁটার কাছে লালের ছোঁয়া-এটা বেশ এ
সচলে ভ্রমণ কিংবা ছবি ব্লগ দেয়া একটা লজ্জ্বার বিষয় হয়ে গেছে আমার মত কিছু “আম” পাবলিকের জন্য। চোখ ধাঁধানো সব ছবি কিংবা দুর্ধর্ষ দুর্গম লোমহর্ষক রোমাঞ্চকর যাত্রা কাহিনী এখন ডালভাত। এভারেস্টে না উঠেও মহামতি তারেকাণু নিজেকে নিয়ে গেছেন এভারেস্ট উচ্চতায়, বাকিরাও সেখানে পৌঁছুবার পথ ধরেছেন।
[justify]আজকে একটি ধর্ষণের গল্প বলি। হ্যাঁ, এটিও প্রতিদিনের পেপারে উঠে আসা অসংখ্য ধর্ষণের ঘটনার একটি, পার্থক্য এইটুকুই যে ঘটনাটা আমি মোটামটি কাছ থেকেই ঘটতে দেখেছিলাম।
এই গল্পটি রবির মা, রবির বাবা আর রবির। রবিরা ছিল নিম্নবিত্ত, তথাকথিত সমাজের একদম শেষ পর্যায়ের মানুষ। সাঁওতাল এই পরিবারটিতে রবির বাবা ছিলেন একজন রিকশাচালক। উনাদের আসল নাম পরিচয় আমি জানিনা, শুধু জানতাম উনারা রবির বাবা আর মা।
শৈশব আর কৈশোরের ফেলে আসা মুহূর্তগুলো এই মধ্যবয়সে জানিনা কেন ফিরে ফিরে আসে আমার এই প্রবাসি জীবনধারায়। এক যুগ আগে ফেলে আসা রাজধানী ঢাকার ঐ শহুরে কোলাহল, মহল্লার ছেলেদের হুটোপুটি আর ফেরিওয়ালার ডাক শুনতে পাই আমি এই দূর পরবাসে। সত্য আমি জানি, দেশে ফিরলেও দেখা মিলবে না আর সেই শীলপাটা খোদাইকারিগরের। বহুজাতিক ব্রান্ডের গুড়ো মসলার প্যাকেটের সহজলভ্যতায় পেশা বদলিয়েছে শীলপাটা আঁকিয়ে কারিগর। কত যত্নের সাথেই না
দোকানদারের কাছে কাস্টমার মা বাপ। পত্রিকার কাছে বিজ্ঞাপন দাতা। বিজ্ঞাপন দাতা পত্রিকার সংবাদ বদলে দিতে পারে। বিজ্ঞাপনদাতা পত্রিকার উপর পেশাব করে দিতে পারে। আমি প্রগতির ধ্বজাধারী পত্রিকা, মুক্তিযুদ্ধের ধারকবাহক, কিন্তু রাজাকারও আমার উপর উপর পেশাব করে দিতে পারে যদি সে হয় কোটি টাকার বিজ্ঞাপনদাতা।