মানুষের যে 'বৈশিষ্ট্য'টাকে আমি সবচেয়ে বেশি অপছন্দ করি সেটা হচ্ছে গড়পড়তা হওয়া। Mediocrity এর বাংলা করলাম গড়পড়তা হওয়া। জানিনা অনুবাদটা ঠিক হল কিনা(সম্ভবত সেটাও গড়পড়তাই হয়েছে)। খেয়াল করলে দেখবেন যে প্রথম লাইনে বৈশিষ্ট্য শব্দটাকে আমি ইনভার্টেড কমার মধ্যে রেখেছি। কারন আমি এখানে মানুষের দোষ নিয়ে কথা বলছিনা, তাহলে হয়তো অসততা বা ভণ্ডামির কথা তুলতাম।
এই ঘটনাটি অনেকেই জানেন না। ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ বিকেল সাড়ে চারটায় পাকিস্তানীরা ঢাকার রেসকোর্সে আত্মসমর্পন করলেও চট্টগ্রাম শহর তখনো বিপদমুক্ত হয়নি। চট্টগ্রামের পাক বাহিনীর আত্মসমর্পনের কথা ছিল পরদিন। সেদিন চট্টগ্রাম আরেকটি ভয়াবহ রক্তপাতের সাক্ষী হতে পারতো। ঘটনাটি ঘটতে যাচ্ছিল আগ্রাবাদ হোটেলে। সাক্ষী ছিলেন জাপানী রেডক্রস কর্মী তাদামাসা হুকিউরা।
যারা শিক্ষক হয়েছেন তাদের একাংশ পুলিশ বা আমলা হতে চেয়েছিলেন, এমনকি অনেকে এখনও তা মনে করে দীর্ঘশ্বাস ফেলেন ।শিক্ষক হওয়ার পরও যাদের মাথা থেকে ক্ষমতাচর্চার আশা বা সেই মানসিকতার মোক্ষ ঘটেনি তারা শিক্ষকতা পেশাকে নানাভাবে জোতদার-জমিদারির স্তরে নামিয়ে এনেছেন ।মনের গোপন গহীনে মাতুব্বরি বা মোড়লপনার সাধ তারা পুষে রাখেন যত্নে ।সুযোগ পেলেই সেই সাধ দাঁত-নখ বের করে সামনের নিরীহ প্রাণীকে আক্রমণ করে বসে ।আবশ্যকভাব
সন্তানের লাশখানি জুড়ানোরও অবকাশ নাই।
তার আগেই পাল তোলে নোঙরের উল্কিরাঙা নিযুত পপাই
কৌটোভরা পালং শাকের
গুণে তারা জেনে গেছে, বুঝে গেছে, যুঝে গেছে ঢের
প্রত্যেকেরই জানা আছে জগতের যাবতীয় সমস্যার গূঢ় সমাধান
জগতের একমাত্র ঠিক পথ ধরে তারা প্রত্যেকেই নিজ বুকে আলোহাওয়া ঢুকবার একমাত্র রন্ধ্রটিতে কুলুপ সজোরে ঠেসে দু'যোজন পায়চারি করে রোজ সূর্য ওঠার আগে
এ কারণে প্রত্যেকেই নির্ভুল পাষাণ
[justify]২৫শে নভেম্বর ২০১৮
খবর-১: নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার সৈয়দনগর দড়িপাড়া এলাকায় নাজমা বেগমের ছাগল স্থানীয় মোরশেদ মিয়া ও তার সহযোগীরা চুরি করে নিয়ে যায়। নাজমা এই ব্যাপারে অভিযোগ করলে মোরশেদ মিয়া ছুরিকাঘাতে নাজমার বাম চোখ উপড়ে ফেলে।
- “লাল পানির নদী দেখেছ কখনো" ? আমার দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করলো নিক। মুখে মিটিমিটি হাসি।
- “না ত। এ নদীর পানি খেলে কি নেশা হবে নাকি ? পাল্টা প্রশ্ন করি আমি।
- "আরে ধুর। এ পানি সেই পানি না।" হাত নেড়ে কথাটা উড়িয়ে দেয় নিক। খানিকটা আশাহত অবার ভান করি আমি।
- “ও। তাহলে পানি লাল হবার কারন কি ? লোহার আধিক্য না লাল মাটির মিশেল ?”
নেতিবাচক ভাবে মাথা নাড়ে নিক। জবাব দেয় না। মিটিমিটি হাসে।
“ভাই কি ঢাকায় যান?”
“হু”
“আমি আগে কখনও ঢাকা যাই নাই। এইবারই ফাস।”
“ও”
“ভাইজান মনে হয় কতা বার্তা কম বলেন।“
“হু”
“বালা, কতা বার্তা কম কউনই বালা।”
“জী”
চৈত্রের এক পিচ গলা দুপুরে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে দাড়িয়েছিল সুমন্ত। তার চোখের সামনেই কংক্রিটের শাপলা ফুলটা ধীরে ধীরে ঘোরা শুরু করল। ডানে বামে তাকিয়ে সে দেখল এই অদ্ভুত ঘটানা আর কারোই নজরে আসছে না। সবাই যে যার কাজে ব্যস্ত।
প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকেই মানুষ নৌ পথ ব্যাবহার করেছে যোগাযোগ আর বানিজ্যের উদ্দেশ্যে। দিনের পর দিন, মাসের পর মাস কেটেছে সমুদ্রে। এসব সুদীর্ঘ নৌ পথে বিপদের আশংকাও কম ছিলনা।কখনও ঝড় আর জলোচ্ছ্বাসে তলিয়ে গেছে জাহাজ, কখনও জলদস্যুর হাতে গেছে প্রান, কখনও বা স্কার্ভির মত অনাবিষ্কৃত ব্যাধিতে ধুঁকে ধুঁকে মরেছে বনিক আর মাঝিমাল্লার দল। বিশ্রাম,জ্বালানি আর খাবার সংগ্রহের জন্য পথিমধ্যে অনেক পূর্বপরিচিত কিংবা সম্প
চিঙ্গিস আইৎমাতভের আলোড়ন তোলা সাহিত্যকর্ম হিসেবে যে নাম পাঠক মনে ভালোবাসায় জেগে থাকে, নিঃসন্দেহে সেটি 'জামিলা’। আইৎমাতভের সুবিখ্যাত এ সৃষ্টির প্রথম প্রকাশ ঘটে রাশান ভাষার মাসিক পত্রিকা 'Novyj Mir' এর ৮ম সংখ্যায়। প্রকাশের সাল ১৯৫৮। ওই একই বছরে কিরগিজ ভাষী পত্রিকা 'Ala-Too' এর দশম সংখ্যায় এটি প্রকাশিত হয়, তবে ভিন্ন নামে। কিরগিজ পত্রিকা 'আলা টু’ তে নভেলাটি 'মেলোডি(Melody)' নামে প্রকাশিত হয়। ১৯৫৯ সালে ‘জামিলা’ রুশ-কিরগিজ দু'ভাষাতে মলাটবন্দী হয়ে পাঠকের হাতে ধরা দেয়। ফরাসি সাহিত্যিক লুই আহাগঅঁ(Louis Aragon) 'জামিলা' পাঠে দারুণ মুগ্ধ হয়ে ১৯৫৯ সালেই বইটি ফরাসী ভাষায় অনুবাদ করেন। লুই আহাগঅঁ মতে, ‘জামিলা ''বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর প্রেমের গল্প"।