[justify]জন গ্রিশামের দ্য ফার্ম পড়ছি। বহুদিন পরে থ্রিলার পড়া। টানটান উত্তেজনার বই। একবার ধরলে ওঠা যায় না।
[justify]সাধারণভাবে দেখলে আমাদের শরীরকে মনে হবে খুব সূক্ষ্ণ আর বিস্তারিত পরিকল্পনা করে তৈরি করা। কিন্তু এরকম সূক্ষ্ণ পরিকল্পনা আর এত আধুনিক ডিজাইনের এর পরেও আমাদের শরীরে হাজারো রোগ জীবাণু এত সহজেই বাসা বাঁধতে পারে কীভাবে? যে বিবর্তন প্রক্রিয়া প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে চোখ বা হৃৎপিণ্ডের মত জটিল অঙ্গ সৃষ্টি করতে পারল, সেই বিবর্তন কেন হার্ট অ্যাটাক বা আলঝেইমারের মত রোগগুলোকে সরাতে পারল না কেন?
সিনেমাহলে সিনেমা দেখতে গেলে একটা বিষয় নিয়ে আমার মনটা বড়ই খচখচ করতে থাকে। সিনেমার শুরুতেই বাংলাদেশের পতাকা উড়তে থাকে এবং ক্যারক্যারে আওয়াজ করে তারস্বরে বেজে ওঠে আমাদের জাতীয় সঙ্গীত। যেরকম ভৌতিকভাবে আচমকা এই পর্বটা শুরু হয়, সেরকম ভৌতিকভাবেই শেষ হয়ে যায়। ধড়মড়িয়ে দাঁড়িয়ে যাওয়া দর্শকরা হাঁফ ছেড়ে বেঁচে যাওয়ার ভঙ্গিতে আবার ধড়াম করে শরীরটা ছেড়ে দেন সিটের ওপর!
আমাদের একদম ছোটোবেলার স্কুলটা মানে যে স্কুলে কেজি ওয়ান থেকে ক্লাস ফোর অবধি পড়েছিলাম, সেটা ছিল বেশ বিচিত্র। তিনটি স্কুলের সমাহার বলা যায় সেটাকে। একটা মস্ত চৌকো উঠানের পুবের দিকে ছোটো একতলা একটা দালানে ছিলো কিন্ডারগার্টেন স্কুল, সেখানে কেজি ওয়ান আর কেজি টু এর ক্লাস হতো। উঠানের পশ্চিমের দিকে দোতলা দালান, সেদিকে প্রাইমারি স্কুল, ক্লাস থ্রী ফোর। আর উঠানের উত্তর দিকে ছিল সেই বিচিত্র সমাহার, একটা বিশাল
লতা তোমায় করছি মনে, অনেক করে, বুঝছো লতা,
পড়ছে মনে, ভাসছে চোখে, সেই সময়ের উচ্ছলতা,
বইছে বাতাস, উড়ছে তাতে তোমার চুলের গুচ্ছলতা,
আর তুমি না আমার দেয়া গোলাপ খোপায় গুঁজছো লতা।
তোমায় ছাড়া জীবন যাপন আমার ছিলো তুচ্ছ লতা,
হঠাত দেখি চলার পথে আমার ত্রুটি খুঁজছো লতা,
আমার উপস্থিতির চাপে নিজের সাথে যুঝছো লতা,
তাই আঁধারে হারিয়ে গেলাম সাঙ্গ করে উজ্জ্বলতা।
একটা সময় আসবে যেদিন আমায় তুমি খুঁজবে লতা,
শীত আসি আসি করা বছরের এই সময়টায় দুপুরগুলোর একটা ঝিম ধরানো ওম থাকে।
কুসুম কুসুম রোদ, রিক্সার অবিরাম ঝাঁকুনি আর রাস্তার সহস্র খুঁটিনাটি দৃষ্টিকে ক্লান্ত করে একটা স্বচ্ছ পর্দা নামিয়ে দিচ্ছিল রতনের সামনে। দু’ধারের দোকানগুলো মন্থর গতিতে সরে সরে যাচ্ছে। কোনটাকেই নজর করে দেখা হচ্ছেনা।
রতনের মাথার চারপাশে একঝাঁক ভাবনা নাছোড়বান্দা মাছির মতো ঘুরছে। বসছে, সুড়সুড়ি দিচ্ছে, আবার ঘুরে ঘুরে উড়ছে।
[justify]
- তোমার কি মন খারাপ?
- নাতো মামা।
- তাহলে এমন দেখাচ্ছে কেন তোমাকে?
- ভালো লাগছে না মামা।
- প্রেমে পড়েছো নাকি? প্রেমে পড়লে প্রেমিক মাত্রই মাঝেমধ্যে উদাস করা মন খারাপের রোগে ভোগে!
- আমি লজ্জা পেয়ে বললাম, কি যে বলেন?
- লজ্জার কি আছে? এই বয়সের সবাই একটু-আধটু মুগ্ধ হতে ভালোবাসে। আর সেই মুগ্ধতায় যখনই হাহাকারের ঢেউ উঠে তখন উদাস উদাস লাগে। তখনই মন খারাপ করা রোগ দেখা দেয়।