আগেকার পর্বগুলি এইখানেঃ
পর্ব ১ -
http://www.sachalayatan.com/guest_writer/46479
পর্ব ২ -
http://www.sachalayatan.com/guest_writer/46554
পর্ব ৩ -
http://www.sachalayatan.com/guest_writer/46617
পর্ব ৪ -
http://www.sachalayatan.com/guest_writer/46698
পর্ব ৫ –
http://www.sachalayatan.com/guest_writer/46791
~যবনিকা~
টিকটিকিটা কী সুন্দর দেয়ালের গায়ে হেঁটে বেড়াচ্ছে! পায়ে নিশ্চয় চুম্বক আঁটা আছে। দেয়ালের এক মাথা থেকে আরেক মাথা পর্যন্ত বীরদর্পে হেঁটে বেড়ায়। মাঝে মাঝে থেমে যায়, যেন, যুদ্ধের ময়দানে শত্রুর বেরিকেডে আটকে পড়ে গেছে আর এই মাত্র জেনে গেল তার সব শেষ হতে চলেছে। হতাশ হয়ে সব আশা ভরসা ছেড়ে দিতে চাচ্ছে। নাহ! সে নিজেই তো দেখছি আরেকজনকে বধ করার জন্য শিকারে আছে!...
[justify]আমি মানুষটা ছোট থেকেই কিঞ্চিত বোকা কিসিমের। অন্যরা যে বয়সে এবং যে সময়ে সৃষ্টি রহস্যর মত বিশাল ব্যাপার সহজেই বুঝে ফেলে, সেই বয়সেও বাংলা সিনেমা নামক বস্তু দেখার কল্যাণে আমার ধারনা ছিল কারেন্ট চলে গেলে এবং শুধুমাত্র দরজা বন্ধ করলেই নতুন একটা শিশুর ট্যাঁ ফো শোনা যাবে...
অনেক রাতে ঘুম ভেঙ্গে গেল আফসারুল আমিনের। আসলে তিনি ঘুমানইনি। ঘুমের ভান করে পড়েছিলেন। মাঝখানে একটু তন্দ্রামত এসেছিল। তারপর যাকে তাই। না ঘুমিয়ে মড়ার মত ঘুমিয়ে থাকার অভিনয় করাটা খুব কষ্টের, অস্বস্তিকরও বটে। তবুও তিনি সেটা করতে বাধ্য হয়েছিলেন ফিরোজার কারণে। ফিরোজা তার স্ত্রী। তিনি বারবার এপাশ ওপাশ করায় সে কছিুতেই ঘুমাতে পারছিল না। শেষমেষ বিরক্ত হয়ে সে বলেই ফেলেছিল, “দিন শেষে শান্তিমত একটু ঘুমু
আমার শৈশবকে রাঙিয়ে দেয়া চলচ্চিত্র নির্মাতা ও অভিনেতা সুভাষ দত্ত চলে গেলেন। নিজের প্রথম পরিচালিত ‘সুতরাং’ ছবির মাধ্যমে সুহাসিনী কবরীকে তিনিই প্রথম ব্রেক দিয়েছিলেন। স্বাধীনতার আগে ও পরে নিজের পরিচালনায় নির্মিত বেশ কিছু চলচ্চিত্রে তিনি নায়কের ভূমিকায় অভিনয়ও করেছেন। ‘আলিঙ্গন’, ‘বিনিময়’, ‘আবির্ভাব’ ‘আয়না ও অবশিষ্ট’, ‘ডুমুরের ফুল’—সুভাষ দত্ত নির্মিত দর্শক নন্দিত কয়েকটি ছবি। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে
একটু বেলা করে ঘুম ভাঙ্গে শিশিরের। সে যতক্ষণে ঘুম থেকে ওঠে তার অনেক আগেই দৈনিক পত্রিকাটা দরজার নিচ দিয়ে বাসায় ঢুকে যায়। পেপারটা হাতে নিয়ে একটু পাতাগুলো ওলটায় শিশির। পেপার পড়তে তাঁর ভাল লাগে না। শুধু দুঃখের সংবাদ। তাঁর পরেও একটু চোখ বুলায়। হঠাৎ পেপারের একটা অংশে চোখ আটকে যায়। আর সাথে সাথে তার মনটাও বেশ ভাল হয়ে যায়।
ইদানিং
---------
কখনো কি পরীক্ষা করে দেখেছেন একটা তারের দুই মাথা বেঁধে টান দিলে কি হয়? প্রশ্নটা বোকার মত হয়ে গেল, নিশ্চয়ই দেখেছেন। এই পোস্টে উঁকি দিয়েছেন আর কখনো গিটারের তারে একটা টোকা দেননি, এমন হবার সম্ভাবনা খুবই কম। ফলাফলটা খুবই সাধারণ, শব্দ হয়। ফুঃ! আমাদের চারপাশে হরহামেশাই নানান শব্দ হচ্ছে, এ আর এমন কি?
জুবিলী রোডের এটিএম বুথ থেকে বের হবার পর থেকেই লোকটা পিছু নিয়েছে।
ফুটপাতে আরো লোক চলাচল করছে। আলাদা করে কাউকে সন্দেহ করা মুশকিল। কিন্তু এই লোকটাকে সন্দেহ করতে হলো। আমি সিগারেট কিনতে থেমেছিলাম এক খানে। সেই লোকটা আমাকে পেরিয়ে গিয়েও দাঁড়িয়ে পড়লো। আমি সিগারেট ধরিয়ে হাঁটতে শুরু করে লোকটাকে পাশ কাটালাম। খানিক পর লোকটা আবারো পিছু পিছু। আমি রাস্তা পেরিয়ে ওপারে গেলাম। লোকটাও রাস্তা পেরিয়ে ওপারে। কৈশোরে মাসুদ রানা পড়ে আসা আমি বুঝে গেলাম লোকটা আমাকেই টার্গেট করেছে।