নানা কারণে কম্পিউটারকে আমার হিংসা হয়।
প্রথমেই যেটা ঈর্ষনীয় লাগে (অন্তত আমার কাছে) সেটা হল তার স্মৃতিশক্তি! কী বিশ্রী রকমের ভাল স্মৃতিশক্তি তার। কিছুই ভোলে না!
বেশি বেশি লেটুস খেয়ে ফেললে নাকি অনেক ঘুম পায়। ঘুমিয়ে ত্যানা ত্যানা হওয়ার অবস্থা হয়।
আমার অবশ্য লেটুস খাবার পর কখনোই সেরকম লাগেনি। তবে আমি তো আর খরগোশ না। ফ্লপসি বাচ্চারা কিন্তু লেটুসের এই ঘুমপাড়ানি প্রভাবটা থেকে রেহাই পায়নি একদম। তারা ঠিকই ঘুমিয়ে কাদা হয়ে গিয়েছিলো।
সেই গল্পটাই আজকে তোমাদের বলি।
বাংলাদেশে স্যাটেলাইট টিভি দেখার সুযোগ হবার আগ পর্যন্ত টেলিভিশন চ্যানেল ছিল একটি। ফলে তখন রেডিও’র শ্রোতা সংখ্যা ছিল অনেক। স্যাটেলাইট টিভি আসার পর দুম্ করে রেডিও তার শ্রোতার বড় একটা অংশ হারায়। আবার এফ এম রেডিও চালু হবার পর থেকে রেডিওতে যখন নতুন গ্ল্যামার যুক্ত হয়, তখন নতুন শ্রোতা শ্রেণী তৈরি হয়। প্রথম আমলে বাংলাদেশ বেতারে (তখনকার রেডিও বাংলাদেশ) গানের ক্ষেত্রে এক ‘ওয়ার্ল্ড মিউজিক’ ছাড়া বাকী সময় কেবল বাংলাদেশী শিল্পীদের বা বাংলাদেশী চলচ্চিত্রের গান শোনা যেত।
মায়ের পেটে রইব না আর
যেই করেছি পণ,
বেরিয়ে দেখি এই আমি যে
সাত রাজারই ধন।
কতগুলো মুখ যে দেখি
আমার মুখের পর,
ভাবছি আমি ,কোথায় এলাম
লাগছে কেমন ডর।
সবার মুখে হাসি দেখে
কেটে গেছে ভয়,
কোলে পিঠে ঘুরে সবার
মন করব জয় ।
কপালটা নাকি নানার মতন
চোখটা নাকি দাদার,
নানি-দাদির অনেক কিছুই
আছে নাকি আমার।
হাসলে পরে টোলটা নাকি
ফুফুর থেকে নেওয়া,
হাতগুলো আর পাগুলো-তো
তোমরা যারা ছোট্টটি নেই আর-
তোমরা যেন কোনমতেই টম এন্ড জেরির ধার ধেরো না,
সুপারম্যানের পাওয়ার দেখে এত্তোখানি বাড় বেড়ো না,
নিনজা টার্টল দেখবে বলে সোফার দখল আর কেড়ো না,
উডপেকারের হাসির তোড়ে রামগরুড়ের মার ছেড়ো না,
সকালবেলায় পড়ার নামে গপ্পোকথার বই পোড় না,
দুই টাকাতেই ঝালমুড়ি আর চানাচুরের জেদ ধোর না,
কমিক্স পেলেই চোখ চকচক অমনি হঠাৎ আর সোর না,
ঠিক দুপুরে বাধ্য হয়ে নকল ঘুমের ভান কোর না,
বাচঁতে হলে জানতে হবে এই কথাটি শুধুমাত্র AIDS এর ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য নয় বেশিরভাগ অসুখ ই সামান্য চেষ্টার মাধ্যমে প্রতিরোধ করা যায়।এমনকি ক্যান্সারের মত রোগ ও।কর্কট রোগ বা ক্যান্সার দুইটি শব্দই এত খটমট ধরনের যে শুনলেই ভয় লাগে।অবশ্য ক্যান্সার তো ভয়ঙ্কর এক অসুখের ই নাম।৪ বছর আগের কোন এক সন্ধ্যায় যখন শুনেছিলাম আব্বার কোলন ক্যান্সার হয়েছে মাথার উপর বাস্তবিক অর্থেই যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়েছিল।এত শেষ পর্যা
আম্মুর হারিয়ে যাওয়া
হঠাৎই কেন যেন সেদিন সেই চাষীর বলা কথাটি মনে পড়ে গেল।