পর্ব ৫
কিছু দিন আগে (গত ১০ অক্টোবর) ছিল জগজিত সিং-এর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী।
দেখতে দেখতে এক বছর হয়ে গেল তাঁর চলে যাবার।
মানুষের সবচেয়ে বড় শক্তি খুব সম্ভবত তার শোক সামলে ওঠার ক্ষমতাটা।
যত বড় শোক আসুক না কেন--- কালে কালে আমরা ঠিকই সেরে উঠি। আমাদের মাঝে যারা ভাগ্যবান তারা হয়ত ভুলেও যাই।
আমি খুব ভাগ্যবান কেউ নই। কিছু কিছু জিনিস আমার কিছুতেই ভোলা হয় না। কিছু কিছু ক্ষত আমার কিছুতেই সারে না।
~উপক্রমণিকা~
- “হ্যালো, রিমি পালের সাথে কথা বলা যাবে?”
- “হ্যাঁ, বলছি, আপনি কে বলছেন?”
রাগের মাথায় অথবা অবজ্ঞা অবহেলা করে অতি তুচ্ছ কারণেই মা'কে আঁতে ঘা দিয়ে কথা বলি, মনের ঝাল মিটিয়ে শান্তি পাই মনে; মা শুধু নির্বাক হয়ে তাকিয়ে থাকে, কিংবা বড়জোর মা অভিমান করে একদিন খাবার টেবিলে কথা না বলে চুপচাপ শুধু খাবার দিয়ে যায়;- মায়ের ঐসব ছেলেমানুষি আবেগে ভারাক্রান্ত হয়ে মান ভাঙাগড়ার সময় আছে? আগামি কালকের ইন্টার-কলেজ ফাইনালে কাপটা আমাদের হাতছাড়া হয়ে যায় কিনা- এই চিন্তায় বাঁচি না!
আচ্ছা দেশে ফোন করা হয়নি আজ কদিন হোল? দশ দিন, নাহ পনের দিনতো হবেই। বাবা মা নিশ্চয়ই চিন্তা করছেন খুব। ফোনের দিকে পায়ে পায়ে এগিয়ে যায় দিপম, দেশে এখন রাত ১ টা প্রায়, ফোন করা কি ঠিক হবে? যদিও জানে এক দুবার বাজলেই মা দৌড়ে এসে ফোনটা ধরবেন, ব্যাকুল হয়ে জানতে চাইবেন দিপম কেমন আছে, এতদিন ফোন করেনি কেন?
এক.
ছোটবেলা থেকেই মানুষ নানান ভয়ে ভীত থাকে। শৈশব, কৈশোর, বড়বেলায় অনেকের জীবনই নানান ভয়ে কাটতে থাকে। কেউ ভয় পায় ভূতপ্রেত, কেউ কুকুর বেড়াল, আর কেউ বা মাস্টারের বকুনি, মায়ের শাসনের ভয়ে কিছুই করতে পারে না। অনেকে আবার অফিস জীবনটা বসের ভয়েই কাটিয়ে দেয়। আমিও তার ব্যতিক্রম না।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১১ সালে ভর্তি ফি ছিল ১,৮২৫ টাকা, যা ২০১২ সালে বাড়িয়ে করা হয় ৫,৯৮৪ টাকা। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন অভ্যন্তরিন আয় বৃদ্ধির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে্র বাজেটে ঘাটতি পূরণের তাগিত দেওয়ায় কতৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই বর্ধিত ভর্তি ফি প্রত্যাহারের দাবিতে প্রগতিশীল ছাত্র জোটের ব্যানারে ছাত্রফ্রন্ট ও ছাত্র ইউনিয়ন আন্দোলন শুরু ক
[ছবিসুত্র]
মাত্র ১৪ বছরের মেয়েটিকে মাথায় এবং ঘাড়ে গুলি করা হয়েছে হত্যার জন্য। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দীর্ঘসময় মেয়েটি মৃত্যুর সাথে লড়াই করেছে। চার ঘন্টার দীর্ঘ অস্ত্রোপচারের পরে চিকিৎসকরা তার মাথা থেকে শেষপর্যন্ত গুলি বের করতে সক্ষম হয়েছেন। জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আছে এখন সে। যে মেয়েটিকে এই অল্প বয়সেই কট্টরপন্থী উগ্রবাদী তালেবানদের রোষের শিকার হতে হয়েছে তার নাম মালালা ইউসাফযাই। শুধু মালালাই নয় গুলিবিদ্ধ হয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছে তার আরও দুজন সহপাঠিনী। হয়তো এই যাত্রায় বেঁচে যাবে মালালা। কিন্তু তারপর?