বাংলার আদি ঐতিহ্য ও সভ্যতার পন্ড্রুবর্ধন বা বরেন্দ্রভূমি এই রাজশাহী। যুগ যুগ ধরে বিশাল পদ্মার তীর ধরে পৃথিবীর কত প্রান্ত থেকে কত মানুষ এসে বসতি গড়েছে এখানে, রেখেছে স্ব স্ব ঐতিহ্যের ছাপ। রাজশাহির আনাচে কানাচে নানা উপজাতির বাস, তাদের ভিন্ন জীবন প্রণালী আর ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা নানা প্রাচীন নিদর্শন তারই সাক্ষ্য বহন করে।
প্রফেসরের কাছ থেকে ব্রাজিলের সম্মেলনে যোগদানের খবরটা যেদিন পাকাপাকিভাবে পেলাম সেদিন খুব খুশি হয়েছিলাম। জীবনের প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলন, তাই সাথে একটু উত্তেজনাও কাজ করছিল। কাগজপত্র হাতে পেয়ে দেখি সম্মেলন তিনদিনের, প্রতিদিন সকাল নয়টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত। “জীবনের জন্য সম্মেলন, সম্মেলনের জন্য জীবন নয়” বলে মাঝখানে কফি ব্রেক আর লাঞ্চ ব্রেক আছে। হোটেল আর সম্মেলনের বাইরে দুনিয়া দেখা বলতে তৃতীয় দি
শুক্রবার সকাল – সপ্তাহান্তের দু’দিন ছুটির কেবল শুরু; এই কিছুদিন আগেও এসময়টাতে আমাকে বিছানা থেকে উঠানো কারো সাধ্যে ছিলোনা!
আবদুল্লাহ আবু সাইদ স্যারের “নিউইয়র্কের আড্ডায়” পড়েছি বেশ কিছুদিন আগে। খাতায় দেখছি, তারিখটা ২০০৯ সালের অক্টোবর মাসের! লেখাটা টাইপ করা হয়নি আমার কুখ্যাত আলস্যের কারণে!
পেদরুর সঙ্গে কদিন আছি। পেদরুর বাড়ি লিসবোঁয়া। সেখান একদিন জলে ভেসে এসেছিল। কেনো এসেছিল সেটা এক রহস্য। নানা বৃত্তান্ত তৈরি আছে সে রহস্যে।
[পর্ব 1]
[justify]
“বাবা ওই গাড়িটা কি গাড়ি”, রন্টু মুগ্ধ দৃষ্টিতে লাল রঙের সশব্দে চলে যাওয়া ফায়ার ব্রিগেডের গাড়িটির দিকে চেয়ে প্রশ্ন করল।
“ফায়ারব্রিগেড এর গাড়ি, বাবা”।
“ওটা কই যায় ?”
“আগুন থামাতে যায় বাবা, কোথাও আগুন লাগলে ওই গাড়িটা গিয়ে আগুন নেভায়”।
ফ্রান্সের সীমান্ত ঘেঁষে ইতালীর উত্তর-পশ্চিমের প্রদেশ কুনিও। এই প্রদেশে লাঙ্গে পর্বতমালার পাদদেশের একটি গ্রাম সান্তো স্তেফানো বেলবো। লাঙ্গে পর্বতের উপরে এক কালে দেবতাদের প্রধান - আকাশ আর বজ্রের দেবতা জুপিটারের মন্দির বানানো হয়েছিল। জুপিটারের পূজারীরা স্বধর্ম ত্যাগ করলে মন্দিরের ধ্বংসাবশেষের উপর গড়ে ওঠে বেনেডিক্টাইন কনভেন্ট। সান্তো স্তেফানো বেলবো’র মানুষ নিজেদের ধর্ম পরিবর্তন করলেও মূল পেশার পরিবর্তন করেননি। প্রাচীন কাল থেকে লাঙ্গে পর্বতমালা অঞ্চল আঙুর চাষ আর আঙুরের রস থেকে বানানো মদের জন্য বিখ্যাত। এখানকার স্পার্কলিং হোয়াইট ওয়াইন ‘মোসকাতো দো আস্তি’ পানরসিকদের পছন্দের পানীয়।
ছোটবেলা থেকে বই পড়ার ক্ষেত্রে একটা বিচ্ছিরি অভ্যাস গড়ে উঠেছে আমার। বই পড়ছিতো পড়ছি, সেদিন আর অন্যকিছু করা হচ্ছে না। বই পড়া শুরু করে তার ভেতরে ঢুকে গেলামতো হলো, ওটা শেষ না হওয়া পর্যন্ত বাকি সব কাজ বন্ধ। আগে এতে খুব একটা সমস্যা হত না। তেমন কাজকর্মতো ছিল না, অঢেল সময়। ইচ্ছেমত বই পড়ে যাচ্ছি। ইদানীংকালে এতে বেশ সমস্যা হয়। এই অভ্যাসের কারণে বই পড়াই বেশ কমে গিয়েছে আজকাল। কাজ-অকাজ-কুকাজের ভীড়ে