#বাড়িতে ঢুকতে না ঢুকতেই বিকট শব্দে ট্রান্সফর্মার বিস্ফোরিত হলো আগুনের ঝিলিক মেখে আর সমস্ত এলাকা অন্ধকার হয়ে চাঁদের আলোকে বরণ করে নিলো। চাঁদ তখনো পূর্ণ বিকশিত হয় নি। জ্যামিতিক অর্ধবৃত্তের মতো আকাশের গা বেয়ে ঝুলছে। এই ঘুটঘুটে অন্ধকারে চাঁদটিকে এক বিষণ্ণ তরুণীর কপালের সাদা টিপের মতো লাগছে। সমস্ত অন্ধকার একটি বিন্দুতে মিলে গিয়ে তৈরী করছে অপার্থিব কোনো এক জাদুকরী দৃশ্য।
ইদানিং কী যেন হয়েছে! ঘর থেকে বাইরে এলে মনে হয় ঘরে ফিরে যাই; বাইরে থেকে ঘরে এলে মনে হয় বাইরে চলে যাই আবার। অবশ্য মানুষের জন্যে স্বল্প কথায় ঘর আর বাহির-বাহির আর ঘর ছাড়া তো লুকোবার তেমন কোনো জায়গা নেই! সম্ভবতঃ ঘর এবং বাহির কোনোটাই আমার ভালোলাগছেনা। এই সমস্যা নিয়ে অনেক ভেবেছি।সমস্যা নিয়ে ভাবার আগে যেটা করতে হয়, নিজেকে নিজে বিচার বিবেচনা করে নিতে হয়-সমস্যার একমাত্র বা প্রধান কারণ আমি নিজে নই তো?
ইন-বক্স খুলতেই মিলন ভাইয়ের নামটা চোখে পড়ল। অপঠিত এই একটাই মেল। এসেছে তাও সপ্তাহখানেক হল। বাদবাকী মেলগুলো সব পড়া। অধিকাংশই সুচরিতার। ইচ্ছে করেই রেখে দিয়েছি। ডিলিট করতে মন চায়নি। স্মৃতি। শেষ মেলটির বয়সও হবে প্রায় বছর দেড়েক। এছাড়া আছে ইয়াহু থেকে আসা কিছু অর্থহীন মেল। ওগুলো বোধ হয় ডিলিট করার পরিশ্রমটুকুও করতে ইচ্ছে হয়নি বলে এখনও রয়ে গেছে। আর আছে মাঝে মাঝে আসা মিলন ভাইয়ের কিছু মেল। মিলন ভ
ক্যামেরা হাতে এসেছে খুব বেশীদিন হয় নি। মাত্র কয়েক মাস। তাও যদি ধুমছে ছবি তুলতে পারতাম, তাহলেও দুঃখ থাকতো না। (উন্নত প্রজাতীর অলস হলে যা হয় আর কি :D ) । তারপরেও মাঝে মাঝে ক্যামেরা হাতে নিয়ে বের হই। যেহেতু ছবি তোলার জন্য তেমন সময় পাই না ..... তাই ছবি তোলার প্রধান বিষয় হিসেবে বেছে নিয়েছি 'দৈনন্দিন জীবন'-কেই। চলতে ফিরতে চোখের সামনে যা পাই সেটাই তোলার চেষ্টা করি।
মন খারাপ থাকলেই এই পাগলার গান শুনি। পাগলা পারেও !! জিও পাগলা! এইটা আমার ট্রিবিউট টু ইউ।
[i]২০০৫ এর শেষ দিকে সন্ধানীর একটি অনুষ্ঠানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে পারফর্ম করে সোলস। অনুষ্ঠানের শেষে আমি হোটেলে সোলসের দলনেতাদের সাথে প্রায় দুঘণ্টার সাংগীতিক আড্ডায় যোগ দিই। আমার সাথে ছিল আমার বন্ধু তাওহীদ। সন্ধানীর কর্মী হিসেবে ওই ইন্টারভিউ এর ব্যবস্থা করে দিয়েছিল। আজ এখানে সেই আড্ডার একটা সারমর্ম প্রকাশ করছি। এখানে বক্তাদের বাচনভঙ্গি ও ভাষা হুবহু রাখা হয়েছে এবং এই মতামত একান্তই তাদের ব্যক্তিগত। [
ঘাটে গিয়ে বসি । ঘাট নেই । যা আছে পরিত্যক্ত জীবন । যেন কোন কালে ছিল শৈশব । ছিল ভরা পূর্ণিমা দেখা রাত বা জল ভেজা ঘোমটা বেলা । পাপ-পুণ্য ধোঁয়া বিস্তৃত সময় অনেক হয়েছে গত । প্রতিদিন দেখাদেখি নিয়মের ফাঁকে যখনই আড়াল পথ মাপা, তখনই আপন যত্নে মাকড়শা করে নিয়েছে বাসা- শেওলার কাল ।
[justify]এখানে ও মেঘলা আকাশ, সূর্যহীনা বিবর্ণ শহর কেমন বিশ্রী আর ফ্যাকাসে লাগে বড্ডো। ম্যাকে ঢুকে নাস্তা সেরে চটজলদি বের হয়ে জেটির দিকে হাঁটতে লাগলাম, বোটের খোঁজ নিতে। পঁয়তাল্লিশ মিনিটের একটা ট্যুর আছে কিছুক্ষণ বাদেই, ওটা সেরে শহরটা ঘুরে দেখা যাবে। ছোট্ট শহর তেমন কিছুই নেই, পায়ে হেঁটে ঘুরতে হয়তো ঘন্টাখানেক লাগবে।