১.
পশ্চিমাকাশ সূর্যহীন। হালকা লাল কমলা আভা। উর্ধ্বমুখে আকাশ পানে তাকালে নীল আকাশের পটে ধরা পড়ে ছোট ছোট কালো রঙ্গের পাখির ঝাঁক। অনেক উপর দিয়ে অস্থিরভাবে উড়ছে। কিচির মিচির তীব্র শব্দ তুলে ঘরে ফিরছে তারা। আজকের দিনের জন্য সব কাজ শেষ। নীড়ে ফিরে চোখ বুজবে।
সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছে।
ও হেড স্যার! আমার আশার হইতাছে কী গতি?
আমার পোলার পড়া লেখার করেন যে ক্যান ক্ষতি!
পাঠাইছিলাম পড়তে তারে হইতে মানুষ বড়
সেদিন জিগাই, এখন অ বাপ, মিছিলটা ক্যান কর?
আপনার কাজকর্মে না কি সক্কলে বিরক্ত
আপনে সরেন, চেয়ার ছাড়েন এই বেলা, এই অক্ত।
আর সব স্যার চইল্যা যাবে যদি না যান আপনে,
যার ইশারায় চলেন বলেন সে আপনের বাপ নে?
ভাড়া কইরা টিচার আইনা ক্লাশ চালাবেন কইলেন!
২০০১ এর জুন থেকে আমি দেশান্তরী। ২০০৭ এর নভেম্বর পর্যন্ত দেশে ফিরতে পারিনি। প্রথমে বাংলাদেশ থেকে জাপান। জাপান থেকে আমেরিকা। আমেরিকা থেকে কানাডা। এক দেশ থেকে আরেক দেশ। লম্বা জার্নি। জীবনটা কাটছিলো মোটামুটি দৌঁড়ের ওপর। কতো কতো প্রিয় জিনিস যে ফেলতে ফেলতে গেলাম! কতোজন যে আমার হাতছাড়া হয়ে গেলো! কতোজন যে আমার হাতটি ছেড়ে দিলো! কিন্তু একজনের সঙ্গে সম্পর্কটা আমার ছিন্ন হলো না। তিনি হুমায়ূন আহমেদ।
মৃতরা কী চায়? অদ্ভূত প্রশ্ন, কারণ জীবিতরা কী চায় এই প্রশ্নেরই উত্তর মিলে না। আর প্রশ্নটাও ঠিক অর্থপূর্ণও না। কত লোকে কত কিছু চায়। তার কী একটা উত্তর আছে? নাই। কিন্তু মৃতরা কী চায়, এমন প্রশ্নের পৃথিবীর সকল সংস্কৃতিতেই আবার একটা উত্তর পাওয়া যায়।
মৃতরা, কথিত আছে, চায় শান্তি। কিন্তু শান্তি জিনিসটাতো দৃশ্যমান না। মাপা কিংবা গোনাও যায় না। সুরতাং, বিবিধ সমাজের নিয়মনীতির দ্বারস্থ হলে জানা যাবে, মৃতরা চায় তাদের যথার্থ সৎকার হোক। নানা সমাজে নানা কালে সৎকারের বিচিত্র রীতি আছে। কিন্তু অন্তিমযাত্রা শান্তিপূর্ণ করবার দায়-দায়িত্ব মৃতর নিজস্ব সমাজের উপরই বর্তায়। প্রায় সমাজেই সাধারণত এটা সামাজিক দায়, কিন্তু আবার সমাজের সকল ব্যক্তির দায়িত্ব না। অর্থাৎ গ্রহণযোগ্য সংখ্যার লোক পালন করলেই চলে। 'ফর্জে-কিফায়া' বলে মুসলমানদের ব্যাকরণে।
সিলেটে আমরা যে বাসায় থাকতাম, তার বারান্দায় টবে একটা বেলি গাছ ছিলো। সেই বাসা ছেড়ে আমরা যখন চলে আসি, আমরা পেছনে ফেলে আসি চারপাশের সুপারি গাছে সারি, বারান্দার আকাশ দখল করে রাখা কৃষ্ণচূড়া, রান্নাঘরের উল্টোদিকের পেয়ারা গাছ, স-মিলের জন্যে আনা কাঁচা কাঠের ঘ্রাণ, আমাদের তেরো বছরের জীবন, শুধু বোকার মতো সঙ্গে করে নিয়ে আসতে চেয়েছিলাম টববন্দী গাছগুলোকে। আমরা জানতাম না, ট্রাকে করে ফুলের টব দূরের শহরে আন
প্রিয় হুমায়ূন আহমেদ,
আপনাকে নিয়ে এরকম ভাবে লিখতে হবে কখনো ভাবিনি। মৃত্যু তো খুবই একটা স্বভাবিক ব্যাপার, এমনি করে সবাই যাবে। তবুও কেউ চলে যাবে একদিন জেনেও আমরা প্রস্তুত থাকি না। অথবা আমরা এটা সচেতন ভাবে ভাবতে চাই না। তাই খুব অপ্রস্তুত অবস্থায় আপনাকে স্মরন করা যাদুকর।
গতমাসের ২৭ তারিখ ৫দিনের জন্যে গিয়েছিলাম মালয়শিয়াতে। মেজ মামা পরিবারসহ যাবে, আমিও সাথে যাই। ২৬ তারিখের সন্ধ্যা ৭.১৫ এর বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে রওনা দেই, মালয়শিয়ার সিপাং এয়ারপোর্টে নামি স্থানীয় সময় রাত ১টায়। প্লেন থেকে নেমে এক ট্রেনে করে আসল এয়ারপোর্টে আসা লাগে। ৩০মিনিট এর মধ্যে লাগেজ নিয়ে প্রায় ৫ঘন্টা এয়ারপোর্ট বসে থাকা লাগলো। কারণ ট্যাক্সি ভাড়া অনেক আর বাস ভোর ৬টার আগে ছাড়ে না। তো ৫ঘন্টা ধরে ওদের এয়ারপোর্ট ঘুরলাম। সে এক এলাহি এয়ারপোর্ট! পুরাই মুগ্ধ হয়ে গেলাম। ছবি তুলার খুব ইচ্ছা ছিল কিন্তু ভয়ে তুলি নাই পাছে ক্যামেরা নিয়ে যায় :-<
১. রোজা আসছে। কসম খোদার, ভালো হয়ে যাবো এবার। একবেলা কম খেয়ে দুইবেলা বেশী খাবো।
২. বেশী কথায় বেশী পাপ। ফজুল বাতে সময় নষ্ট না করে ইবাদত করতে না পারার আক্ষেপে মন ভারী করে রাখবো।
৩. ঘুষ খাওয়া হারাম বলে রোজায় ড্রয়ার খুলে রাখবো। খোলা ড্রয়ারে কেউ খাম রেখে গেলে বিব্রত হলেও কাউকে না করতে পারি না।
জীবনানন্দ দাশের প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস ‘মাল্যবান’। উপন্যাসের নায়িকা উৎপলা। আর নায়ক মাল্যবান। উপন্যাসে মাল্যবান উৎপলা সম্পর্কে কিছু মন্তব্য করেছে। সেই মন্তব্যে একটু নজর বুলিয়ে নিই-
‘মরা নদীর বালির চেয়েও বেশি বিরসতায়’
‘একটা অদ্ভুত নিরেট নিগ্রহময়তায়’
উৎপলা ‘জলভারানত নীল মেঘ নয়-সাদা কড়কড়ে মেঘ-দূরতম আকাশের’
‘ভাল বংশের সুন্দর শরীরের নিচু কাণ্ডজ্ঞানের নিরেস মেয়েমানুষ’