এই রক্ত ক্ষরণের দিনে
বলার শক্তিও রুদ্ধ হয়ে আসে
চোখের দৃষ্টি সবার মতো আমারও ঝাপসা এখন
যখন ষ্পষ্ট ছিলো তখনও
তোমাকে দেখতে শুয়োরের চেয়ে বেশি সুন্দর লাগেনি
তুমি দারুণ বাক ভঙ্গিমায় যখন
বেশ্যাকে মায়ের কাতারে তোলো
কী দারুণ শব্দমালা!
এবং মাকে যখন বেশ্যার কাতারে নামাও?
তোমার দক্ষতা সর্বত্র সমান!
তুমি আমাদের পথের দিশারী
শব্দের আতসবাজিতে জনসভা পুড়িয়ে করো খাক
আমাদের চোখে ঠুলি পরাও
[justify]
বার্ধক্যের সাথে নিজের বয়সের যোগসূত্র আছে কোথাও। সেদিন এক আড্ডায় বলে বসলাম...আরে ঝন্টু ভাই, উনিতো ইয়াং লোক আমাদের কয়েক বছরের সিনিয়ার, বয়স মাত্র ৪৬। সোভিয়েত রাশিয়ার পলিটব্যুরোর তরুণ নেতাদের বয়সই হতো ষাট। সাতচল্লিশ বেশ তরুণই বলা চলে। বন্ধুরাও সবাই একমত হলো তাতে। আমাদের বয়স যতই বাড়ছে, তারুণ্যের সিলিং ততই বেড়ে যাচ্ছে। চল্লিশ পার হওয়ার পরে মনে হয় ষাট পর্যন্ত মানুষ ছোকরা থেকে যায়। আর ত্রিশ বছর বেচে থাকলে হয়ত আশিকেও যুবক যুবক লাগবে। মনে মনে কেউ নিজেকে বুড়ো ভাবে না বোধহয়।
তখন চৈত্র মাসেই স্কুল হয়ে যেত মর্নিংস্কুল। সকাল আটটা থেকে দুপুর বারোটা পর্যন্ত। দুপুরে দাপিয়ে সাতারের যো ছিলো না, গরমে পানি শুকিয়ে যাওয়া পুকুরে। তবুও স্কুল যতদিন চলতো, রুটিন থাকতো, হারিকেনের আলোয় গোল হয়ে বসে হোম ওয়ার্ক করতে হোত। তারপর গরমের ছুটির দিন স্কুলে হোত উৎসবের মত, সব্বাই বাসা থেকে ক্লাস টিচারের জন্য আনতো উপহার। সেবার শেফালি দুই রঙের জামরুল দিয়ে চমৎকার এক মালা গেঁথে নিয়ে এলো, সেটা
ল্যাবরেটরিতে বসে একমনে কাজ করছেন ড. জামিল। হঠাৎ জগমোহন ঢুকল। জামিল মুখ তুলে তাকালেন ওর দিকে।
'সাহেব, ভীমকে দেখেছেন?' ওর চেহারায় উৎকণ্ঠা।
'না।' এক শব্দে জবাব দিলেন জামিল।
'সকাল থেকে ওকে খুঁজে পাচ্ছি না। কোথায় যে গেল!'
'চিন্তা করো না জগমোহন। সেখানেই থাক, ঠিক ফিরে আসবে।'
[justify][justify][left][center][justify]আজকাল মেয়েটি একদম চুপচাপ থাকে। অফিস থেকে বাসায় ফেরার পর টুকটাক কিছু কথাবার্তা বলার পরেই হটাত করেই চুপ হয়ে যায়। কেমন যেন একটা অদ্ভুত নিরব অন্ধকার এসে গ্রাস করে নেয় তাকে। ছেলেটি বুঝতে পারে তার মনের মধ্যে একটা ঝড় উঠবে যে কোন মুহূর্তে। কিছুক্ষন চেষ্টা করে একটু ভাল রাখার, কিন্তু যখন দেখে মেয়েটি তাকে বুঝতে দিতে চায় না, তখন আস্তে আস্তে নিজেকে গুটিয়ে নেয়, সময় দেয় ম
আজ বিকেলটা যেন অন্য সব দিনের চেয়ে আলাদা। রাস্তাটা কেমন ধোঁয়া ধোঁয়া লাগছিল। গাড়ি থেকে নামতে যাচ্ছি, হঠাৎ মাথার কাছে ওয়েদার অ্যালার্ম বিপ বিপ করে বেজে উঠল। আমি বিল্ট-ইন ড্রাইভারের কাছে জানতে চাইলাম, ‘কী সমস্যা শোফার?’
হিলারী বাংলাদেশের সাথে আড্ডা দিয়ে গেলেন। বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মের সাথে। আসলেই কি তাই?
হিলারী আরো অনেক আড্ডা দিছেন এবং ভুল না হয়ে থাকলে দিবেন। মনে করি, এই আড্ডাসকল হিলারীর জন্য গুরুত্বপুর্ণ না হলেও অন্য পক্ষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
হিলারী বাংলাদেশের সাথে আড্ডা দিয়ে গেলেন। বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মের সাথে। আসলেই কি তাই?
দৃষ্টি প্রতিবন্ধির অন্তর্দৃষ্টি
মানুষের দুটি চোখ ছাড়াও আর একটি চোখ নাকি আছে। যার নাম মনের চোখ। চোখ বন্ধ করলে সবকিছু অন্ধকার কিন্তু তারপরও অনেক কিছু অনুভব করা যায়। আর এই অনুভুতি ক্ষমতার প্রখরতা যার দৃষ্টি নেই মনে হয় তারই সবচাইতে বেশি। আমি দৃষ্টি প্রতিবন্ধিদের কথা বলছি।
বেশ ব্যস্ত কিছু সময় পার করলাম গত এক মাসে। এই কয়েকদিনের অভিজ্ঞতা আমার ধারাবাহিক স্মৃতিচারণকে অন্ততঃ এক পর্ব বাড়িয়ে দেবে, এতে কোন সন্দেহ নেই। সন্দেহ যেখানে সেটা হলো, পাঠক ধৈর্য ধরে আরো পড়বেন কি না। প্রথম দুই পর্বে কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা লিখেছিলাম। অপ্রিয় বিষয় নিয়ে কথা বললে তিক্ততাই বাড়ে শুধু, তাই ঠিক করেছি ফাঁকে ফাঁকে অন্য বিষয় জুড়ে দেব, যাতে পাঠক একঘেয়েমিতে না ভোগেন।
বুকে পাথর বেঁধে ছাব্বিশটা বসন্ত পার করেছি, কখনো কোন সমস্যা হয়নি। কিন্তু এবারের বসন্ত ছিলো অন্যরকম। বলছি তারই গল্প।