ভোর হয়ে আসে পুবের দিগন্তে। একটা অতি হাল্কা সাদা আলোর চাদর এসে পড়ে মাটিতে, সেই ক্ষীণ নীহারশুভ্র আলোয় ঢেকে যায় নক্ষত্রমালা, হারিয়ে যায় সেই টলটলে নিবিড় রাত্রিনীল যার মধ্যে মণিকণার মতন টলমল দুলছিলো নক্ষত্রেরা, নীহারিকাসমূহ ছড়িয়ে ছিলো শুভ্র উর্ণাতন্তুর মতন!
অফিসের ব্যক্তিগত লকারগুলো দেখতে ছোট হলে কি হবে, রাক্ষুসে পেট। ল্যাপটপসহ অন্যান্য টোপলা-টুপলি দিব্যি এঁটে যাচ্ছে। অথচ, এই অফিস বিলডিঙ এ অফিস শুরু করার আগে একদিন ঘুরতে এসেছিলাম, দেখলাম নতুন অফিসে ব্যক্তিগত স্থান বলতে শুধুমাত্র এই ছোট্ট লকার তখন কি মন খারাপটাই না হয়েছিল। আগের অফিসে সবার একটা করে কাঠের ক্যাবিনেট তো ছিলই আবার সেই সাথে কারও কারও একটা ইয়া বড় স্টিলের লকারও ছিল। এখন হবে কি উপায়, এত সব রাখব
শরীরের সমস্ত নোঙর একসাথে গেঁথে যায় মাটির ভেতর
আমি চোখ রাখি দিগন্ত-ধূসরে
মহাসাগরের নীল থেকে মহাকাল মুছে যায়
আমি বাতিঘর খুঁজে মরি দিগন্তে, আকাশে, আতুঁড় ঘরের বারান্দায়
যারা আমাকে নাবিক বলে ডাকেন তারা জানেন না
ক্ষুধার্ত গাঙচিলের ডানা যখন হাওয়ায় পালক মেলে
তখন নন্দনতত্ত্ব দেখতে অনেকটা ফ্লাইং ফিশের মতো
পৃথিবীর তলদেশ নিকটবর্তী হয়
শেফালির সন্ধ্যা-স্মৃতি বারবার চোখে ফিরে আসে
সালেক খোকন
যুদ্ধে যাওয়ার ইচ্ছার কথা শুনে মা হাউমাউ করে কেঁদে ওঠেন। ছেলেকে তিনি কিছুতেই ছাড়বেন না। যুদ্ধে গিয়ে কি কেউ জীবন নিয়ে ফিরবে! এই তার ভয়। মা আমাকে চোখে চোখে রাখলেন। যদি পালিয়ে যুদ্ধে চলে যাই। মাকে শান্ত করতে মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দেই। না, কখনোই মুক্তিযুদ্ধে যাব না।
ঘটনাটি বছর বারো আগের অথচ এখনো মনে হয় কিছুদিন আগে ঘটেছে।
ক।
২০০০ সালে বড় আপার বিয়ের মাস খানেক পড়ে দুলাভাই ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ট্রান্সফার হন। আপার শ্বশুর-শ্বাশুরী আমেরিকা থাকে। তাই, আপার শ্বশুর বাড়িতে থাকার চাপ ছিল না।
আমি ঠিক জানিনা আশ্রমের মেয়েটাকে এতটা অসাধারণ দেখায় কেন। রোজ সূর্যোদয়ের সময় তাকে দেখি এই বিশালাকার শতবর্ষী গাছটার নিচে এসে দোলনায় দুলতে দুলতে গুনগুন করে গান গাইতে। আমি মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে শুনি। একটু একটু সুর তুলতে চেষ্টাও করি মাঝেমধ্যে। কিন্তু বুঝি না, তার সুরের অর্থ, তার গানের কথার অন্তর্নিহিত ভাব। তার গানের সুরে মোহিত পল্লবেরা নেচে ওঠে। বাতাস এসে তাতে ঢেলে দেয় অনিঃশেষ মাধুর্য। আমি খুব বিরক্ত হ
বুয়েটে পড়ি। আমাদের ডিজিটাল মুখপাত্র পলাশীর আলুর সুবাদে ছাত্রলীগকে আমরা মামাবাহিনী হিসেবে চিনি। হলে থাকার কারণে মামাবাহিনীর দু-একজন মামার সাথে আমার অল্পস্বল্প খাতির আছে। তাদের সাথে পথে-ঘাটে-মাঠে মাঝে-সাজে দেখা হলে কুশল বিনিময় হয়।
অপেক্ষায় আছি, বসন্তে
আমি অপেক্ষায় থাকি
বাতাসের দরজায় কড়া নাড়ে মেঘ
আমি নিস্পলক থাকি
একটা নক্ষত্র জন্ম নেবে শীঘ্রই
ঘুমে ঢুলু-ঢুলু একটা পাহাড় হঠাত চমকে ওঠে
আর আমি মগ্নতায় চেয়ে দেখি
পলাশের রক্তে লাল একটা ভোরের পাখি চৈত্র পাড়ি দ্যায়
অস্থির আমার ভেতরটা তরপায়
একটা ভোরের অপেক্ষায় থাকে কোটি কোটি চোখ
একটা গুবরে পোকা সারারাত পাহাড় বেয়ে ওঠে
একটা ঝিঁঝিঁ পোকা নৈ:শব্দের বনে ডাকে
অন্য দেশে আয় করে আমার দেশে পাঠাচ্ছে। এদের ওপর কোনো কর আরোপ করা হয় না। এতে টাকা কালো হচ্ছে।
ঝিম ধরা দুপুরের নিরবতা তোমার কেমন লাগে? হা হা হা... তোমাকেই জিজ্ঞেস করছি!? যার কাছে কিনা দুপুরের মানে জেনেছি! আজকাল আমার কাছে দুপুর মানেই তুমি। যেমন রুদ্রের কন্ঠে দুঃখু মিয়ার বিদ্রোহী আবৃত্তি। একটার সাথে আরেকটা ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে যেনো।