চায়ের সাথে আমার বন্ধুত্ব আমার ২ বছর বয়স থেকে। আব্বু আম্মু অফিসে থাকার কারণে এবং বাসায় আর কোন বাচ্চা না থাকার কারণে আমাকে দিনের বেশীরভাগ সময় চাচাদের সাথে থাকতে হত, সঠিক করে বললে বলতে হয় চাচাদেরকে আমার সাথে থাকতে হত। তাই আমার অনেক বদভ্যাসের মত চা খাওয়ার বদভ্যাসটাও আমি তাদের কাছ থেকেই পেয়েছি। কেন যেন আমার ধারনা ছিল চা বড়দের খাবার তাই ওটা আমাকে খেতেই হবে। বড় হওয়াটা কত কষ্টের , বড় মানুষেরা কতটা হ
“শইদুল ভাই, ও শইদুল ভাই।“
ইসমাইলের ঠেলায় ঘুম ভাঙ্গে শহীদুলের। ভোর হয়ে গেছে এত জলদি? ধুর। পিঠের ব্যথাটা আরো পোক্ত হয়েছে মনে হচ্ছে, কাজ করতে ইচ্ছে করছে না। কিন্তু উঠতে হবে, খদ্দের চলে আসবে কিছু ক্ষনের মধ্যেই। মালিক উঠে তাড়া দিবে আরেকটু পর।
উঠে পিছনে গিয়ে সকালবেলার কাম সেরে দাঁতন দিয়ে দাঁত খিলাতে শুরু করে শহীদুল, ততক্ষনে ইসমাইল হাঁড়িকুড়ি নামিয়ে ফেলেছে। ওইগুলো সাফা করায় হাত লাগায় শহীদুল।
সেই প্রাচীনকাল থেকে যে কোনো বিচার-শালিশ, মিটিং-দরবার ইত্যাদি ইত্যাদি জায়গায় কোনো না কোনো মাষ্টারের থাকাটা অতি-আবশ্যিক একটা ব্যাপার। কারণ যে ঠিক কোনটা, ঠিক বুঝি না। জ্ঞান-গরিমা, প্রচুর কথা বলতে পারার ক্ষমতা, সভার শোভাবর্ধন, যে কোনোটাই হতে পারে। তবে বাংলাদেশে লোডশেডিং কম হয়, এটা শুনলে যেমন অনুভূতি হয়, ঠিক একই অনুভূতি হয় যখন শুনি, মাষ্টাররা কথা কম বলে । অথচ এইরকম অভিযোগ আমাকে প্রায়ই শুনতে হয়।
আমার শৈশব অথবা কৈশোরকালের স্মৃতিতে 'বর্ষবরণ' বলে কিছু নেই। এ ধরনের কোন আনুষ্ঠানিকতার কথাও তখন জানতাম না। সে সময়ের স্মৃতিতে যা আছে সেটা হলো, পহেলা বৈশাখের আগে-পরে কয়েকদিন ধরে 'চৈত-সংক্রান্তি'র মেলা ও 'বৈশাখী' মেলা বসতো। আমার শৈশবে বড় ভাই-বোনদের হাত ধরে মেলায় যেতাম। মেলায় পৌঁছে দেখতাম তাদের আনন্দ-উল্লাস। তারা বন্ধু-বান্ধবদের পেয়ে তাদের সাথে আনন্দে মেতে উঠতো। আমার কথা তারা ভুলেই যেত।
একদিকে আমাদের চামড়া মোটা, আমাদের ভেতরে খুব সহজে কিছু ঢোকে না। আবার ঢুকলেও কীভাবে যেন আমরা খুব দ্রুত ভুলে যাই, আমরা খুব দ্রুত ভুলে যেতে ভালবাসি। আমাদের চাই প্রতিদিন ব্র্যান্ড নিউ খবর, তাও ছাপার অক্ষরে হালকা বা ঝাপসা খবরে আমাদের চলে না, আমাদের চাই একেবারে ভিডিও। সেই কবেকার কথা! জানুয়ারীর প্রথম দিকের কথা! তিনমাস হয়ে গেল। এত আগের কথা কি আমাদের মনে আছে? মনে থাকে?
আমার গ্রামের নাম "ক" (ছদ্ম নাম)। পাবনা জেলার সুজানগর থানার সাতবাড়িয়া ইউনিয়নে পদ্মার পাড়ে অবস্থিত নিভৃত এক পল্লীগ্রাম। জেলা শহর থেকে ৩০ কিঃমিঃ আর থানা সদর থেকে ১০ কিঃমিঃ দক্ষিণপূর্ব দিকে। (এই কথা শোনার পর অনেক বন্ধু তখন হঠাৎ অনেক সিরিয়াস হয়ে বলে “হ, তোরে দেখলেই সেইডা টের পাওয়া যায়” )।
রঙ খসে গিয়ে, লতা-পাতায় আচ্ছাদিত হয়ে বাড়িটি মৃতের ছায়া ধারণ করে আছে; রঙচটা বিল্ডিংটির ঠিকপাশে রয়েছে আরেকটি আভিজাত্যহীন তিনতলা মেসবাড়ি। সেখানে থাকে বেশ কয়েকজন যুবক; কেউ চাকরি করছে, কেউ পড়াশোনা। প্রায় বিকেলবেলা কিংবা লোডশেডিংময় কোনো রাতে যুবকেরা ছাদে গিয়ে বসত, এখনো বসে তবে আগের তুলনায় অনেক কম।
কুলদা রায়
এমএমআর জালাল
ডেইলি স্টার আয়োজিত “অদম্য চট্রগ্রাম” উৎসব গত বেশ কিছুদিন ধরে চট্রলা বাসীকে মাতিয়ে রেখেছে। এর মধ্যে নানা ধরনের প্রতিযোগীতা আয়োজন উৎসবের মধ্যে একটা নতুন মাত্রা যোগ করেছে। চট্রগ্রাম নিয়ে তোলা ছবি দিয়ে একটি ফটোগ্রাফী কম্পিটিশন আয়োজন করা হয় যার প্রদর্শনী চট্রগ্রামের থিয়েটার ইন্সটিটিউটে অনুষ্টিত হয় গত ৩০ মার্চ থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত। প্রতিযোগীতায় প্রায় ছয়শ পঞ্চাশটি ছবি গৃহিত হয় যার মধ্যে হতে
এক দুপুরের হঠাৎ মেঘ-
দুপুর হতে হতেই মেঘের বান ডাকলো আকাশে। নিঃশব্দে সমস্ত চরাচর ডুবে গেল বিবশ এক অন্ধকারে। টেবিলের উপর রাখা বই খাতা কলম সবই ঠিক আছে, কিন্তু কলম নিয়ে লিখতে গিয়ে টের পেলাম খাতাজুড়ে সেই মেঘের অন্ধকার কালি ছড়িয়ে গেছে, লিখতে পারছি না। বন্ধ জানালা দিয়ে দূরে তাকালাম। ধুসর অন্ধকার চারদিকে। মাথার উপর জ্বলতে থাকা দুটো টিউবলাইটও সেই অন্ধকার ছাড়াতে পারছে না। বই খুলে বসলাম, সেই বইয়ের অক্ষরগুলো লেপ্টে গেছে অন্ধকারে। পড়তে পারছি না। তারপরই নামলো ঝুম বৃষ্টি। আবার বাইরে তাকাই। দিগন্ত অদৃশ্য হয়ে গেছে, চারদিকে কেবলই ধোঁয়াশা। আমার দুচোখের সমস্ত আলো অর্থহীন হয়ে গেল।