ভূমিকা
আমি বিজ্ঞানী রণক্লান্ত, আমি সেইদিন হব শান্ত, যবে ...। নাহ, আমার শান্ত হবার কোন উপায় সত্যিকারের বিজ্ঞানীরা রাখেন নাই। তারা অক্লান্তভাবে বিজ্ঞান চর্চা করে যাচ্ছেন, আর আমার মত বিজ্ঞানের মুগ্ধ দর্শক, পাঠক, উপকারভোগীকে অশান্তিতে রেখে চলেছেন। সেই অশান্তি আমি সচলায়তনে ছড়িয়ে দিতে চাই।
সচলায়তন পড়ি অনেক দিন ধরে, কিন্তু অনেক ব্যাপারেই কম জানি আর বুঝি বলে অংশ গ্রহন করতে সংকোচ হয়। ভুলভাল কিছু বলে বসলে বিজ্ঞ সচলরা কিভাবে তুলা ধুনে দেন, তা তো রোজই দেখি। আগেকার দিনে শুনেছি দূত রাজার দরবারে ঢুকে বলত, ভয়ে বলব না নির্ভয়ে। আমারও তাই সচলায়তনের কাছে জিজ্ঞাসা, ভয়ে লিখব না নির্ভয়ে। ভয়ে ভয়ে একটি লিখা দিচ্ছি, জানি না ছাপা হবে কি না। যদি ছাপা হয়, আরও একটি লিখব। সেটি ছাপা হলে আরও একটি। সেটি ছাপা হলে ... এভাবে চালিয়েই যাব। তারপর সেইদিন হব শান্ত, যবে ...।
জোসেফকে ধাক্কা মেরে নিচে ফেলে দিলাম আমি।
এইসব চৈত্রদিনে সেই বাড়িটা মনে পড়ে। ছোট্টো একটা বাড়ি, চারপাশে একটু উঠান আর ফলফলারির গাছ। বেড়ালতার বেড়া দেওয়া সীমানা। তার পরেই বিরাট এক আদিগন্ত ধানক্ষেত। আর একটা শিমূলগাছ, বাড়ীর লাগোয়া দক্ষিণের একটুখানি ফাঁকা জমিতে। ওটা ধানক্ষেতের পাশেই। আশ্চর্য গাছ এই শিমূল, শীতে পাতাটাতা সব ঝরে ন্যাড়া ডালপালা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে, শীতের শেষে হঠাত করে ভরে যায় কুঁড়িতে,সেই কুঁড়ি ফুটে টকটকে লাল ফুলের মেলা বসে যায় বসন্তে,
মেসেজটা গেল কিনা বুঝলাম না।
অনেক সময় চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেও অনেকে দেখেনা। অনেক আবার দেখতেও চায় না। অনেকে দেখে ; দেখে শুনে কাজের সময় কর উল্টোটা।
হিমুর পর্যটন শিল্পে বেলুন নিয়ে লেখাটা চুরি করে পোস্ট করেছিলাম। সাথে ছিল কৃতজ্ঞতা স্বীকার না করে প্রকাশ করা একটি ছবি। লেখাটির নীচে সূত্র হিসেবে উল্লেখ করেছিলাম "নেট"-এর কথা। এই নেট এত সাধারণ একটা সূত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে যে পত্রিকা এবং ব্লগে প্রায়ই দেখা যায় এই "নেট"-সূত্রের ব্যবহার।
ছায়া-প্রিয় গাছটার নাম ভুলে গেছি
সেই বেনামী গাছটা ছায়া-সর্বস্বই বটে
না-আছে পাতার ছিরি
না-ভালো গায়ের ডাল-পালা, শাখা-কাণ্ড;
ওই এক ছায়া -
ওটুকুই আছে তার -
ডালে-আবডালে।
গাছটা এখন বিশ;
কাহারোল গ্রামে ছায়া-খোঁজা মানুষের হাত ধরে হাঁটে
মাঠ-মাঠান্তরে,,,
বাড়ি যাচ্ছি
বরিশালের বরগুনায়
অথবা বরগুনা নয়, নামহীন কোন দ্বীপে
কমা, দাড়িহীন এক জলজ পথের টানে
স্রোতে ভাসা কচুরিপানার মতো, ভেসে ভেসে
স্রোতই এখানে কান্ডারির ভূমিকায়
এমন কখনো নিয়ন্ত্রনহীন হয় মানুষ অথবা
হতে হয় তাকে বেলা-অবেলায়
বাড়ি যাচ্ছি
একটা লাশবহনকারী-এ্যাম্বুলেন্সে
এখন অনেক রাত
শেওলা-সবুজ-পথটা অসীম অসীম অসীম,,,
একটি মুহূর্ত
একটি বীজের মতো
সেখানে ঘুমিয়ে আছে অনন্তকাল।
গাছ ১০১
বিষয়টা সহজ নয়, তাই আগেই কিছু ব্যাকগ্রাউন্ড স্টাডি করে নেব। প্রথম বিষয় হচ্ছে গাছ বা ট্রি। কম্পিউটার সায়েন্স এবং ভূততত্ত্বে গাছের ভূমিকা অপরিসীম। কে না জানে মামদো ভূত থেকে শুরু করে কুলো ভূত সবাই কোন না কোন গাছে বসবাস করে। তবে ফ্যাশন সচেতন হওয়ায় মহিলা ভূত অর্থাৎ পেত্নীদের পছন্দের গাছ হচ্ছে শেওড়া গাছ। অন্য দিকে কম্পিউটার বিজ্ঞানীরা তাদের সহায় সম্বল অর্থাৎ তথ্য লুকানোর জন্য গাছ ব্যবহার করেন। তারা তথ্য রাখেন গাছের কান্ড যেখানেই ভাগ হয়ে নতুন শাখার জন্ম দিয়েছে সেখানে কিংবা গাছের পাতায়। ডালগুলোকে অবশ্য তারা তেমন ঘাটান না, মাঝে মাঝে রঙ করা ছাড়া।
এক টুকরো মেঘ ছুয়ে রোদ্দুরালোকিত হতে চেয়েছিলো মেয়েটি। আর দশজন মানুষের মতোন স্বাভাবিক একটি জীবন যাপন করতে চেয়েছিলো। কিন্তু সামাজিক প্রতিবন্ধকতাই যেনো তার জীবনের নির্মম অভিশাপ হয়ে দাড়ালো!
ভালো করে তাকালেই মনে হবে
দিঘীটার জলে জোছনার ফুল ফুটে আছে
তখন অনেক রাত, তখন জোছনা পরিপক্ব
তখন জোছনা হীরার কুচির মতো
কথার-খেই-হারিয়ে-ফেলা-কোন-বৃদ্ধের চোখের মতো জোছনা তখন...
অথবা-সে জোছনাই নয়,
নগ্ন কোন যুবতীর মৃত লাশ জোছনার মতো
দীঘিটার এপাড় ওপাড় জোছনার মতো
তখন অনেক রাত, তখন জোছনা পাগলপারা
অথবা আপনি জীবনের সব অভিজ্ঞতা হাতের মুঠিতে
নিয়ে সসংকোচে দাঁড়াতে পারেন দীঘিটার ঘাটে