সবাইকে সাধারণত আলোর গুণকীর্তন করতে দেখা যায়। আলোকে সমস্ত সৌভাগ্য ও ভালোর উপমা হিসাবে তুলে ধরা হয়; অন্যদিকে অন্ধকারকে প্রতিকায়িত করা হয় মন্দ, অশুভ বা দুর্ভাগ্যের লক্ষণ হিসাবে। ও হ্যাঁ, অনেক সময় অন্ধকারকে সামান্য দয়া করা হয় বটে- বলা হয় যে, অন্ধকার আছে বলেই আলো এত ভাল লাগে বা অন্ধকার আছে বলেই আলোর সার্থকতা; তাই অন্ধকারকে হিসাবের খাতা থেকে বাদ দেয়া যাবে না। তাহলে কি আলোর করুণা নিয়েই বাঁচতে হবে অন্ধকার
[justify]
বাথরুমকে যে বাংলায় প্রক্ষালনকক্ষ বলে সেটা আমি আমেরিকায় না আসলে জানতে পারতাম না। একটু চিন্তায় পড়ে গেলেন কি? দাঁড়ান খুলে বলি। সারাজীবন ধরে মানুষকে এয়ারপোর্টে বিদায় জানাতে এসেছি - লোকজন চোখ-টোখ মুছে ভেতরে ঢুকে যাওয়ার পরে আমিও বাসে করে ফার্মগেটে ফিরে গেছি। এয়ারপোর্টের ভেতরে জীবনেও ঢুকতে হয় নি। প্লেন ছাড়াও ওতে আর কি কি আছে সেটা জানা ছিল না। প্রথমবার ঢোকা হলো আমেরিকাতে আসার উছিলায়। এতোদিন পর্যন্ত আমেরিকা গমন নাটকের অবসান হতো এয়ারপোর্টের সামনে থেকে - এই প্রথম নিজে নায়কের চরিত্র পাওয়াতে ভেতরের ব্যাপারগুলোর খুঁটিনাটি সব চোখে পড়ল।
- তোমার বয়স কত?
- উনিশ।
- আরে সার্টিফিকেট না, আসল বয়স।
- আসল বয়সই উনিশ।
ঢাকা শহরে আমার তিনবছর পূর্ণ হয়েছে। প্রথমদিকে রাস্তা পার হতে পারতামনা, সহায় হয়ে রাস্তার পাশে দাড়ঁইয়ে থাকতাম আর করুন চোখে ফুটওভার ব্রীজ খুঁজতাম। আর না পেলে এক দৌড়!
তোমার কথাই ঠিক।
তুমি যা যা বলো;
আমি মাথা-ঘাড়-লেজ নাড়ি...ঠিক...ঠিক...
তুমি বললে - ওড়াও ঘুড়ি
আমি মাঞ্জা দেয়া সূতা আর লাটাই নিয়ে তৈরি ততক্ষনাত
ঘুড়িবাজ, মাঠ-ঘাট, গাছ-গাছালি, লাটাই-সূতা
সব্ই উড়লো
হালায় খালি ঘুড়িটাই উড়লো না...
তুমি বললে - বড়শি ফেলো
আকর্ষনীয় খাবার (টোপ) আর ছিপ নিয়ে আমি তৈরি নিমিষেই
মাছ ধরা নৌকা স্থির; বড়শি ফেল্লাম -
কুলদা রায়
এমএমআর জালাল
মুসলমান খণ্ড—৫
সুফিয়া কামাল রবীন্দ্রনাথের জন্মদিনে একটি কবিতা লিখে পাঠিয়েছিলেন। ১৩৪৪ বঙ্গাব্দের বৈশাখে। কবি তখন আলমোড়ায়। কবি সুফিয়া কামালকে কয়েকটি লাইন লিখে পাঠালেন—
বিদায়-বেলার রবির সনে
বনশ্রী তার অর্ঘ্য আনে
অশোক ফুলের বরুণ অঞ্জলি।
আভাস তারই রঙিন মেঘে
শেষ নিমিষে রইল লেগে
রবি যখন অস্তে যাবে চলি।
অজপাড়া গাঁয়ে থাকি আমি। সন্ধ্যায় হারিকেন আর কুপির আলোয় আলোকিত হয় গ্রামের প্রতিটি পরিবার। রাতের নির্জনতা এখানে ঝিঁঝিঁ পোকার ডাকে গভীর হয়। শিয়ালের দল হুক্কাহুয়া শব্দে লুকোচুরি খেলে গম ক্ষেতের আড়ালে। বাতাসে লুটোপুটি খেয়ে বাঁশ ঝাড়ে একটি আরেকটির উপর আছড়ে পড়ে সৃষ্টি হয় আদি ভৌতিক শব্দ। ঝিরি ঝিরি হাওয়ায় ভর করে ভেসে আসে হুতুম পেঁচার ডাক। ভোরে মুয়াজ্জিনের আহবান ও পাখির গানে জনপদ জেগে উঠে। আলো আধারীতে মাটির ক
একটা খবর পড়ে ভালই লাগলো। সরকার সংসদে বলছে বাংলাদেশে এখন ৯৯’৪৭ শতাংশ বাচ্চা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যায়। কিন্তু এটা কততুকু সত্য সেটা নিয়ে একটু সন্দেহ আছে। আশেপাশের অবস্থা দেখে তেমন টি মনে হয় না। তবুও আশাবাদি হতে ভাল লাগে, ১০০ শতাংশ হলে আর ভাল লাগত। এবারের সমাপনী পরীক্ষার ফলাফল টা অবশ্য আশাপ্রদ......।
বিচ্ছিন্ন থাকাটা আমার জন্মগত অসুখ । ছোটবেলা থেকেই আমি প্রায়ই বাইরে খেলা বাদ দিয়ে ঘরে বসে একা একা কথা বলতাম, একা একা খেলতাম। আমার বাবা মা আত্মীয়স্বজন বন্ধুদের অনেক প্রচেষ্টার পরও এই রোগ থেকে আমি মুক্ত হইনি, এখন আর কেউ চেষ্টাও করে না আমাকে ঠিক করার। শুধুমাত্র বিচ্ছিন্ন থাকার কারণে আমি অনেক কিছু থেকেই বঞ্চিত হই, অনেক বন্ধুদের হারিয়ে ফেলি,অনেক প্রিয় মানুষদের কষ্ট দেই, অনেক সুন্দর সুন্দর দিন একা একা
১৯৭১ এ বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন বা ৭১ এর মার্চ থেকে যে সব বাঙালী পশ্চিম পাকিস্তানে ছিলেন অথবা এভাবে বললে, ৭১ এর মার্চ থকে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জনের পর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের আগ পর্যন্ত পাকিস্তানে আটকে পড়া বাঙালীরা কেমন ছিলেন ?