এইবেলা নদীর কথা না বললে আর শান্তি পাচ্ছি না। কিন্তু মুশকিল হলো কিভাবে বলবো? যতই বলি খুব সুন্দর, মনোমুগ্ধকর, অস্থির কিংবা অদ্ভুত- কিছুতেই তৃপ্তি হয় না। শুধু মনে হয়- হলো না! ঠিক করে বলতে পারলাম না। তাই ভাবলাম চুপ যাই। কিছু ফটুক তুলে দেই- তারপর ঐ বিশেষন গুলো না হয় আপনারাই ঠিক করে নিবেন।
[ধরলা-১]
দেশ, খুঁটি, মাটি। খুব অদ্ভুত রকম শক্তিশালী এক ধারনা। দেশ ছেড়ে দূরে সরে যাওয়া যায়, দেশের সাথে সকল সংস্রব ত্যাগ করা যায়, শুধু যায় না দেশের সাথে জড়িয়ে থাকা অস্তিত্বটুকু অস্বীকার করা। যত দূর পথ হাঁটি না কেন, যত উচ্চতায় আরোহণ করি না কেন, শিকড় তো আমাদের ছোট্ট দেশেই পড়ে আছে। বিদেশে এসে এই বোধটুকু প্রায় সবার মাঝেই অনেক গভীর হয়। বিশেষ করে আমাদের ইতিহাসের সবচেয়ে গৌরবজনক অধ্যায়গুলো এলে।
…
১.০
বিগত মেলাগুলোর সাথে এবারের বইমেলার যে বাহ্যিক পরিবর্তনটা উল্লেখযোগ্যভাবে চোখে পড়লো, বাঙালির এই প্রাণের মেলাটা বুঝি শেষমেষ নিজেকে কর্পোরেট সংস্কৃতির কাছে পুরোপুরি সপেই দিলো। এইটা আমার টাকায় করা, ওইটা আমার টাকায় করা, ওইগুলা আমাদের টাকায় করা, এরকম আগ্রাসী মনোভাব ছড়িয়ে আছে গোটা মেলা জুড়ে স্পন্সরদাতার বিজ্ঞাপন আধিক্যে। এখানেই হয়তো দান বা সহায়তার সাথে বেনিয়াবৃত্তির তফাৎ।
এখন রাত প্রায় মাঝামাঝি
তিনশো বছরের হট্টগোলের এই শহর
নিঝুম ঘুমে তলিয়ে আছে কয়েক ঘণ্টার জন্য ।
দিনভর ক্লান্তির পর
যেমন মড়ার মত পরে থাকে
স্টেশনের কুলি, অফিসপাড়ার সরবতওয়ালারা –
কিংবা ঐ তিনজন রিক্সাওয়ালা ।
স্যাঁতস্যাঁতে গলির হলুদ আলোআবছায়ায়
চাকায় চাকা ফেলে
ঘুমিয়ে আছে তিনটে রিক্সা ।
কে জানে,
ওদের অন্ধকার বুকে শুয়ে আছে কিনা
পাড়ার নেড়ি, হুলো আর ইঁদুরেরা !
As soon as I conquer Egypt, I will establish relations with Tipu Sahib and together with him, I will attack the English in their possessions in India and drive them to Arab sea.-নেপোলিয়ান বোনাপার্ট, ১৭৯৮১
শহীদ দিবস, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের গান।
সচল নিঘাত তিথি, কনফুসিয়াস ও হিমু গানটির প্রথমাংশ ধারণ করে আমাদের কাছে পাঠিয়েছেন।
ছয় দশক আগে মাতৃভাষার জন্যে বন্দুকের সামনে বুক পেতে দেয়া বীর মানুষগুলোর প্রতি আমাদের আভূমিনত শ্রদ্ধা জানাই। কামনা করি, তাঁদের সেই সাহস, অনমনীয় সংকল্প আমাদের সবার মাঝে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে সঞ্চারিত হোক।
কুলদা রায়
এমএমআর জালাল
প্রজানিপীড়ণ খণ্ড : পাঁচ
কাঙাল হরিনাথ ওরফে হরিনাথ মজুমদার : খুঁজে দেখা
------------------------------------------------------------------------
প্রথমেই আপনাদের ধন্যবাদ জানিয়ে নিচ্ছি আমার এই সিরিজের প্রতি আগ্রহ প্রকাশের জন্যে। শুরুতে যেভাবে বলেছিলাম, এখনও বলবো, আমার লক্ষ্য যারা বৃটেন এবং আয়ারল্যান্ডে পড়তে আসতে চান তাদের কাছে তথ্য পৌছে দেয়ার মাধ্যমে তাদের সচেতন করে তোলা। প্রথম ও দ্বিতীয় পর্বে আমি আলোচনা করেছি যথাক্রমে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং সেগুলোতে ভর্তির প্রস্তুতি নিয়ে। যারা এই পর্ব থেকে সিরিজটা পড়তে শুরু করেছেন, তাদের অনুরোধ করবো প্রথম দুটো পর্ব পড়ে আসার জন্যে। এই পর্বে আমি বিভিন্ন স্থানে ঐ দুটো পর্বে আলোচনা করা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং ডিগ্রীর কথা উল্লেখ করবো।
ক্লাস এইটের বার্ষিক পরীক্ষার পর এক ইঁচড়ে পাকা বন্ধু বলছিল এবার ক্লাস নাইনে উঠবো তারপর 'লাইন' করবো। 'লাইন' করা মানে প্রেম করা সেটা শিখলাম ওইদিন। শেখার কোন বয়স নেই। নাইনে উঠে লাইন করার ভাগ্য না খুললেও টেনে উঠে আরেকটা শিক্ষা পেলাম। এবার আরেকজনকে বলতে শুনলাম, কলেজে উঠলে নাকি স্বাধীন। ইচ্ছেমতো ক্লাস ফাঁকি দেয়া যায়। রোলকল করা হয় ঠিকই স্কুলের মতো বেতিয়ে ক্লাস করানো হয় না। যেদিন ইচ্ছে যাবি যেদিন ইচ্ছে যাব