মির্জাপুর বাস স্ট্যান্ড, দিনাজপুর।
আগের অংশ এখানে। ৭। পাশাপাশি ঘুমিয়ে যাই আমরা, আমাদের দুটো হাত পরস্পরকে ধরে থাকে, একে অপরকে সাহস দেয় স্পর্শের বৈদ্যুতি-ভাষায়, আস্তে আস্তে হাত দু'খানাও ঘুমিয়ে পড়ে৷ ঘুমের মধ্যেও কিন্তু সেই বিঁধে থাকা কাঁটার মতন অস্বস্তিটা থেকে যায়, যেন কেউ লক্ষ্য করছে আমাকে৷ যেন আমার হৃদয় মস্তিষ্ক মন বুদ্ধি সব খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে কারা দেখছে, আঁতিপাতি করে কিছু খু
গ্রামের একটি ভোর
১.
‘’আচ্ছা, এ দেশের মানুষ ৭১ এ যুদ্ধ করেছিল কেন?’’ চিন্তাটা গত কয়েকদিন ধরে উদয় হাসানের মাথায় ক্ষণে ক্ষণে ক্ষরিত হচ্ছে!
নানা ধরনের পুনর্মিত্রতার জ্ঞানচর্চা চালু হচ্ছে চারিদিকে। বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্ঞানী গুণী গবেষকেরা সহজ সরল কথা না বলে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের অপরাধকে হালকা করানোর নানান আজগুবি তত্ত্ব তথ্য হাজির করছেন একের পর এক। তারা নির্মোহ দৃষ্টিতে দেখতে গিয়ে নৃশংসতা, ধর্ষণ, গণহত্যার পেছনের লোকজনদের দিকে জমে থাকা ঘৃণার ভার হালকা করতে চান। এই জ্ঞানী গবেষকেরা কখনো যুদ্ধাপরাধের শাস্তির পক্ষে সোচ্চার থাকেন না। যুদ্ধের দামামায় রক্তলিপ্সু হয়ে ওঠা অমানুষদের মধ্যে সামান্য মানবিক বিচ্যুতির বেশি কিছু এরা টের পান না। তারা নিজেদের মানবিকতা সরিয়ে রেখে আমাদেরকে তাদের মাপের মানবিকতার জামায় ঢোকাতে চান। আর এই গোত্রের একজন নতুন সংযোজন গবেষক ইয়াসমিন সাইকিয়া।
আমাদের বাড়ীতে একটা রঙিন টিভি ছিল, সেটাতে শুধুমাত্র বিটিভি চলত। তখনো আমাদের মফস্বল শহরে ডিশ এন্টেনা আসেনি। আমাদের শহরে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ডিশ আসে সম্ভবত ৯৪-৯৫ সালের দিকে। কিন্তু তার আগে অনেকের বাড়ির ছাদে এরিয়েল টিভি এন্টেনা দেখা যেতো। আমাদের ছাদেও একটা ছিল। মাসিক বিল দেওয়ার ঝামেলা না থাকাতে আমার বাবা মনে হয় এন্টেনা বসাতে কার্পণ্য করেননি। আমাদের ভাইবোনদের কোন দাবী ছিল না যে এন্টেনা বসাতে হবে। স
মেঘ পেরোলেই দেশ
দীর্ঘ ত্রিশ ঘন্টা প্লেনে কাটিয়ে আমার অবস্থা পারলে দরজা খুলে নেমে যাই, এমন সময় প্লেন পৌঁছাল ঢাকার উপরে, অবশ্য তাল তাল মেঘের আড়ালে কিছু দেখার উপায় নেই। শীতের সকালে পুকুরে ঝাপ দিতে গিয়ে ইতস্তত বালকের মত প্লেনটা বার কয়েক সাঁ করে একটু নেমেই আবার উপরে উঠে যাচ্ছিল। একটু পর পাইলটের ঘোষণা, “লো ভিজিবিলিটির জন্য আমরা এখনি নামতে পারছি না, আমাদের কাছে আরো দেড় ঘন্টা উড়ার মত তেল আছে”।
এক
গত তিনমাসে আমি একটা পুরো অমানুষ হয়ে গেছি। গাধার মতো খাটতে খাটতে আর ঘোড়ার মতো দৌড়াতে দৌড়াতে আমি যে একটা মানুষ সেটাই ভুলে গেছি। সচল খুলেছি এক-আধবার, একটু চোখ বুলিয়ে সটকে পড়েছি। কতো প্রিয় লেখকের কতো লেখা পড়া হয়নি। তিনমাস ধরে একটা লাইন ও লিখিনি অফিসের মেইল বা মীটিং মাইনুটস ছাড়া...
একটা আস্ত শীতকাল চলে গেলো, একদিন ও লেপের ভেতর ঢুকে গল্পের বই পড়িনি।
সচল সাবরিনা সুলতানা খুবই অসুস্থ। তার মাসকিউলার ডিসথ্রপি আগে থেকেই ছিল। আজ দুপুরে নিউমোনিয়া পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। শ্বাসযন্ত্রের পেশিগুলো ঠিকমতো কাজ করছে না। এ জন্যে বিকেলের দিকে আইসিইউতে নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।