সববয়সী

শ্বাপদের পাল ঠেলে প্রতিদিন তুমি কাজে যাও,
তাদের লালার স্রোত বিস্মৃতির বর্মে ঠেকাও।
তোমার চলার পথে অক্ষমেরা বসে ঠোঁট চাটে
নিন্দার তুফান রোজ কড়া নাড়ে তোমার কপাটে।
কখনও চড়ালে গলা একশোটা পাল্টা গলা চড়ে
হায়েনা শেখায় এসে নিঃশব্দে কাঁদবে কী করে।
"অল্পে থাকো তুষ্ট আর গল্পে থাকো মায়াবতী হয়ে"
এ মন্ত্রে আকাশ ফাটে অশিক্ষিত-শিক্ষিত বলয়ে।
যুবক গোপনে পায় স্বস্তি সে যুবতী নয় বলে

আহা রে---এই লোকটার এত ভালো হবার কোনই দরকার ছিল না! ছোট দেশের ছোট ছোট মন নিয়ে ঘুরে-বেড়ানো মানুষ আমরা। বড় মাপের মানুষ এই দেশে আঁটবে কেন?

[justify]ইতিহাস গবেষণায় যে সব বড় বাধা আছে তার মধ্যে তথ্যের অপ্রতুলতা ও বিভিন্ন উৎস থেকে প্রাপ্ত তথ্যের অসঙ্গতি অন্যতম। এই দুটোর কারণে চাইলেও একটি সুনির্দিষ্ট বিষয়ে গুছানো রচনা কঠিন হয়ে পড়ে। এর বাইরে সম্ভাব্য আকরের নাগাল না পাওয়া মনোবেদনার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তবু একটি প্রচেষ্টা থেকে যা কিছু পাওয়া যায় তা একত্রে প্রকাশ করে রাখলে ভবিষ্যতে কোন গবেষক একই বিষয়ে আগ্রহী হলে তার জন্য পরিশ্রম কিছুটা লাঘব হয়।

(ডারউইন দিবসে তাঁর শ্রদ্ধার্ঘ্যে বিজ্ঞানী আর্নেস্ট মায়ারের একটি লেখার অনুবাদ করছি)

চন্দ্রাবতী । শুধুমাত্র নামটা শুনেই মুগ্ধতা ছেয়ে গিয়েছিল অন্য কিছু জানার আগেই । কে রাখলেন এত সুন্দর নাম?

এক।।

বিয়ের পর এই প্রথম অরণিদের গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে এসেছি। গ্রামের নাম কাৎলাসেন। সেখানে থাকেন অরণির বড়মামা, তিনি অকৃতদার। কাৎলাসেন ঢাকা থেকে খুব বেশি দূরে নয় অথচ যাই যাই করেও যাওয়া হয়নি এতদিন। এবারে ঈদ, বড়দিন, আর অনিন্দ্যর স্কুলের ছুটি, সব একসাথে পড়ে যাওয়ায় বেশ লম্বা একটা সময় মিলে গিয়েছে হাতে। বছর জোড়া ট্রাফিকজ্যাম-অফিস-বাজার আর ড্রইংরুমের বৃত্তে আটকে থেকে আমিও হাঁপিয়ে উঠেছিলাম। অরণির মামার চিঠি পেয়ে ভাবলাম, যাই তিনটা দিন কাটিয়ে আসি।

অনিন্দ্য কখনো গ্রাম দেখেনি। আমি ঢাকায় বড় হওয়া মানুষ, গ্রামের সাথে যেটুকু যোগাযোগ ছিল বাবার মৃত্যুর পরে তার সবটুকুই ঘুচে গিয়েছে। আমার আগ্রহ অনিন্দ্যের চেয়ে কম নয় কোন অংশেই। অরণি অবশ্য চেয়েছিল দেশের বাইরে বেড়াতে যাই, নেপাল, শিলং কিংবা ভুটান।

[justify]১৭.