জানি না দেশের মানুষ কতটা আগ্রহি মেইড ইন বাংলাদেশ লেখা পন্যের প্রতি, কিন্তু প্রবাশে থেকে আমার নিজের খুব ভাল লাগে যখন দেশি কোন পন্য দেখি দোকানে। চেষ্টা করি কিনতে এই ভেবে যে অন্তত কিছুটা পয়সা হলেও হাতে যাবে আমার দেশের খেটে খাওয়া হাসিমুখের মানুষের হাতে।
রিকশাটা থামল প্রকান্ড একটা গেটের সামনে । আমি আব্বুর কোল থেকে নামলাম , চোখ মেলে দেখলাম গেটের ওপাশে একটা ইটের রাস্তা শুরু হয়ে থেমে গেছে একটা পলেস্তরা খসে পরা বিল্ডিং এর সামনে । বিল্ডিং এর উপরের দিকে বড় বড় করে লেখা “খুলনা পাবলিক কলেজ” । কলেজ ?
ক্লাস টুতে স্কুলের বাংলা টিচার আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন যে বড় হলে কি হব। আমি উত্তর দিয়েছিলাম 'পুলিশ'। কারন পুলিশরা তখন আমার চোখে ছিল বীরত্ব-ক্ষমতার প্রতীক। এখন যদি আমাকে একই প্রশ্ন জিজ্ঞেস করা হয়, তাহলে চোখ বুঁজে অবশ্যই বলব ভিআইপি।
‘’আইজ আপনেরা কি লক্ষ্য করতেছেন? আমাদের বউঝিগো ঘর থেকে বাইর করনের ফন্দি ফিকির শুরু হইছে! হাজার হাজার যুবক পোলা বেকার ঘুইরা বেড়াইতেছে, তাগো কাম দেয় না; কাম দেয় খালি মহিলা মানুষগো! এইডাই নাকি তাগো প্রতিষ্ঠানের শর্ত! এইগুলা আর কিছু না; সব ইহুদি নাসারা চক্রান্ত!’’ ইমাম মওলানা জাহেদ উদ্দিন বাতেন এরপর সামান্য বিরতি নিলেন!
ছোটবেলায় পৃথিবীর সপ্তাশ্চার্য চীনের প্রাচীরের বিশালত্বের কথা জেনে অবাক হতাম। জ্ঞানার্জনের জন্য চীনে যাও - এমন কথাও ধর্মীয় কোন উৎস (হাদীস) থেকে শুনেছিলাম। তারপর সস্তা মেড ইন চায়নার জয় জয়কার, বিশ্ব অর্থনীতিতে চীনের প্রভাব, এ্যাথলেটিকসে চীনের দক্ষতা ইত্যাদি দেখে দেখে চীনের ব্যাপারে খবরাখবরে অবাক বা কৌতূহলী হওয়া ছেড়ে দিয়েছিলাম। এই সব হলে কি হবে, চীন বা জাপান তেমন কোন উন্নত মৌলিক গবেষণা হয়না; কিংবা, ও
১. সকাল টা বলে বারেবার
ওই সূর্য আমার
দুপুরটা হেসে একাকার
এই রোদ্দুর আমার
বিকেল টা ম্লান করে মুখ
এই গোধুলি আমার
আমি শুধু বলি উত্সুক
এই 'তুমি' টা আমার
বাদশা মিয়ার হাঁপানির টান উঠেছে।
নিঃশ্বাস নিতে গেলে জীবন বেরিয়ে যাওয়ার মত কষ্ট হচ্ছে তার। চারিদিকে বাতাসের ছড়াছড়ি, কিন্তু তার মধ্যে একটু বাতাসও বাদশা মিয়ার জন্যে না। বেঁচে থাকার জন্য যা কিছু দরকার, তার সবটুকুই যুদ্ধ করে আদায় করতে হয়। নিঃশ্বাস নেওয়ার লড়াই করে বাদশা মিয়ার সেটা বুঝে নিতে হচ্ছে। সে প্রানপণে শ্বাস টানে। তার বুক হাপরের মত ওঠা নামা করে। তাতে তেমন কোন লাভ হয় না। বায়ু শূন্য বুকে বাদশা মিয়া কিছুক্ষণের জন্য হাল ছেড়ে দেয়; পরক্ষণে আবার যুদ্ধ শুরু করে।
“...কেউ বলছে কিছু বলছে কেউ বলব বলব করছে
কেউ বলতে না পারা যন্ত্রনা নিয়ে গুমড়ে গুমড়ে মরছে...।“
ডেস্কটপের স্ক্রিনে নানান রঙের ঢেউ ভেসে বেড়াতে থাকে মিডিয়া প্লেয়ারের জানালায়, আর শ্রীকান্ত গাইতেই থাকেন, অবিরাম। কী-বোর্ডে হাত দিয়ে বসে থাকি কেবল- লেখার খোলা পাতা সাদাই থাকে, মাঝে মাঝে একটা দুটো শব্দ উঁকি দেয় আবার কিসের পিছুটানে ফিরে যায়, হয়ত সঙ্গী শব্দদের খুঁজে আনবে বলে।
এখনকার কাচ্চা বাচ্চাগুলি ঘুমায় কখন বুঝিনা। চব্বিশ ঘন্টা কার্টুন দেখার সুযোগ থাকলে আমি দিনে কয় ঘন্টা ঘুমিয়ে নষ্ট করতাম বলা মুশকিল!
গত পরশু থিসিস এর কাজে উইকিপিডিয়ায় ঢুকে একটু থমকে গেলাম। উইকিপিডিয়ার হেডারে কালো রঙের ব্যানারে বড় বড় করে লেখা "In less than 18 hours wikipedia will be blacked out globally in protest of SOPA and PIPA"