চড়ুই পাখি
মুরাদুল ইসলাম
খুব ছোটবেলায় আমি এবং আমার ভাই যখন ক্লাস থ্রি ফোরে পড়ি তখন আমাদের বাসার ভেন্টিলেটরের ফাকেঁ একজোড়া চড়ুই পাখি বাসা বাঁধে।ভেন্টিলেটরের এক ভাঙা অংশ দিয়ে ভিতরে ঢুকে শুকনো খড় পাতা দিয়ে তৈরী করে তাদের বাসস্থান।
দাদী বললেন চড়ুই পাখির বাসা সৌভাগ্যের লক্ষণ।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি (পাস) পরীক্ষার বাংলা (আবশ্যিক) প্রশ্নপত্রের একটি প্রশ্ন--
১০। বাংলায় অনুবাদ কর ঃ-
[ চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলের ১৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে ]
“ যাবেন? আইস ফ্যাক্টরী রোড, কলেজিয়েট স্কুল?” “ যাব।” “কত?” থতমত খাই। এইদিনও তো মনে হয়, বাসা থেকে ১০টাকায় যেতাম। মনটাকে একটু পিছনে ফেরাই। এসএসসি পরীক্ষার পরও আট বছর হয়ে গেল । সময় এভাবে পালিয়ে যায় কেন? বুকের ভেতরটা কেমন যেন ফাঁকা হয়ে যায়।
-মাইনুল এইচ সিরাজী
এক দেশে ছিল এক জোছনা...
- এক দেশে ছিল এক জোছনা? রূপকথার গল্প?
-শুনুন না। ভালো লাগবে।
- আচ্ছা বলুন।
-এক দেশে ছিল এক জোছনা। সে একা একা জোছনা দেখে। জোছনা দেখে সে অবাক হয়। অবাক হয়ে স্বপ্ন দেখে। স্বপ্ন দেখে তার পেট গুলিয়ে আসে।
-ওমা। স্বপ্ন দেখে পেট গুলিয়ে আসবে কেন? সে কি বমি করে?
সবকিছু হরেদরে মিলে গেছে বলে কি মিলে যেতে হবে? মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে ছবিতে যাদের দেখি জামাতের সাথে হাত মেলায়, ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক হয়ে যায়, সব করতে পারে - তাদের দেখে কি হতাশ হয়ে হাল ছেড়ে দিতে হবে? মেনে নিতে হবে আমার নিজস্ব সামর্থ্যে যতটা করা সম্ভব আমি তাও করবোনা?
তা সে বেশকিছুকাল আগের কথা। গ্রামে একদিন এক গ্রাম্য ডাক্তারের দোকানে বসে আছি। ডাক্তারের কাছ থেকে গ্রাম্য চিকিৎসা পদ্ধতি ও এর হাল হকিকত সম্পর্কে জানার চেষ্টা করছি।
কুলদা রায়
এমএমআর জালাল
একাদশ পর্ব
জমিদারীর সঙ্গে আসমানদারীর সূত্রপাত
কমোড দেখেননি এমন লোক খুঁজে পাওয়া বাংলাদেশে অসম্ভব নয়। আর কমোডের ব্যবহার কিভাবে করতে হয় জানেন না সেরকম লোকেরও অভাব নাই দেশে। তবে কমোড সঠিকভাবে ব্যবহারের তরিকা জানেনা বিদেশেও এরকম লোক পাওয়া যায় বলেই মনে হয়। না না প্রবাসী বাঙালী না, একেবারে প্রথম বিশ্বের আসল এবং খাঁটি বিদেশীর কথাই বলছি। সেজন্যই জাপানে টয়লেটের দরজার ভেতরের দিকে কিংবা কমোডের ঢাকনার উপরে, অথবা টয়লেটের ভেতরে এমন কোন জায়গায় - যে
#
আমাদের বাসার পাশে থাকা উৎকট গন্ধ ছড়ানো ডাস্টবিনটি একদিন চুরি হয়ে গেলে কিংবা বলা যায় গায়েব হয়ে যাওয়াতে আমরা সবাই খুব অবাক হই এবং কিছুক্ষণের মাঝে বুঝতে পারি এই অবাক হয়ে যাওয়াটা আনন্দে পরিণত হচ্ছে। আমি নিশ্চিত করেই বলতে পারে ডাস্টবিনের আশেপাশে থাকা সকল বাড়িতে এক-ই ধরনের আনন্দের হিল্লোল বয়ে যাচ্ছে। প্রাথমিক উচ্ছ্বাস থেমে গেলে আমি গিয়ে জানালাটা খুলে দেই। দীর্ঘদিনের পঙ্গুত্তে জানালাটি নবজাতক শিশুর মতো কেঁদে ওঠে, মেঠোপথে ধুলোর ঝড় ওঠার মতো করে ধুলো উড়ে, আমি চোখ বন্ধ করে ফেলি।